টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আরিফুল পেশায় রাজমিস্ত্রি, বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার লাউজানা গ্রামে। দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা। দুই সন্তান, স্ত্রীসহ চারজনের সংসার চলে এই আয়েই। টিকা নেবেন বলে আজ কাজে যাননি। সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ টিকা কেন্দ্রে এসে জানতে পারেন আজ টিকা দেওয়া হবে না। বিদ্যুৎ নেই তাই টিকা দেওয়া বন্ধ! এমন কথা শুনে হতাশ হয়ে বাইসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কী করবেন বুঝতে পারছেন না। টিকা তো পেলেনই না, সেই সঙ্গে আজকের উপার্জনটাও হাতছাড়া।
শুধু আরিফুল নন, তাঁর মতো অনেকেই আজ শনিবার টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা না পেয়ে ফিরে গেছেন।
টিকা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তি বলেন, আজ যে টিকা দেওয়া হবে না সেটি আগে থেকে জানালে ভালো হতো। বাড়ি থেকে আসতে একদিকে যাতায়াত বাবদ খরচ হয়েছে, অন্যদিকে দিনটাও গেল বিনা কাজে।
তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ফাইজারের টিকা দিতে গেলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণ করতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা থাকতে হয়। ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে টিকা কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সরেজমিনে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষ ভিড় করছেন। কিন্তু টিকা পাচ্ছেন না কেউ। ভেতরে গিয়ে জানা যায়, আজ এ কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে না।
এ সময় কথা হয় সদর উপজেলার পৌলী এলাকার ৮৫ বছর বয়সী আতোয়ার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নভেম্বর মাসে ফাইজারের প্রথম ডোজ নিয়েছিলাম, আজ দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছি। আমি বয়স্ক মানুষ, আসতে অনেক কষ্ট হয়। তবু এসেছি। কিন্তু আসার পর বলে আজ টিকা দিবে না। আবার আসতে হবে। কী আর করব, যে ভাবে করোনা বাড়তেছে না নিয়াওতো উপায় নাই!’
কথা হয় সুজায়েত হোসেন নামের আরেকজনের সঙ্গে। তিনি এসেছেন সদর উপজেলার আলোকদিয়া থেকে। সুজায়েত বলেন, ‘বাড়ি থেকে এখানে আসতে ১০০ টাকা খরচ হয়। সারাটা দিন চলে যায়। কাজ করা বাদ দিয়া আসলাম। কিন্তু টিকা পেলাম না। আবার টাকা খরচ করে, দিন কামাই করে আসতে হবে।’
এমন ভোগান্তির কথাই বলেন সদর উপজেলা করোটিয়ার কামরুল আলম সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা, এলেঙ্গা থেকে আসা মদন মোহন, সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের রিতাসহ আরও অনেকে।
বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাহাদত হোসেন বলেন, ‘প্রধান সঞ্চালন লাইনে আজ বার্ষিক মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। এ কারণে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। এ বিষয়ে আমরা আগেই প্রচার-প্রচারণা করেছি, যাতে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটি কম হয়।’
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হয় ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়। ডাইলুয়েট রাখতে হয় ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। যে কারণে ভ্যাকসিন সেন্টারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু রাখতে হয়। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় আজ ভ্যাকসিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে।’ টিকা নিতে আসা মানুষের এই ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন সিভিল সার্জন।
আরিফুল পেশায় রাজমিস্ত্রি, বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার লাউজানা গ্রামে। দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা। দুই সন্তান, স্ত্রীসহ চারজনের সংসার চলে এই আয়েই। টিকা নেবেন বলে আজ কাজে যাননি। সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ টিকা কেন্দ্রে এসে জানতে পারেন আজ টিকা দেওয়া হবে না। বিদ্যুৎ নেই তাই টিকা দেওয়া বন্ধ! এমন কথা শুনে হতাশ হয়ে বাইসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কী করবেন বুঝতে পারছেন না। টিকা তো পেলেনই না, সেই সঙ্গে আজকের উপার্জনটাও হাতছাড়া।
শুধু আরিফুল নন, তাঁর মতো অনেকেই আজ শনিবার টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ টিকা কেন্দ্রে এসে টিকা না পেয়ে ফিরে গেছেন।
টিকা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তি বলেন, আজ যে টিকা দেওয়া হবে না সেটি আগে থেকে জানালে ভালো হতো। বাড়ি থেকে আসতে একদিকে যাতায়াত বাবদ খরচ হয়েছে, অন্যদিকে দিনটাও গেল বিনা কাজে।
তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ফাইজারের টিকা দিতে গেলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণ করতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা থাকতে হয়। ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে টিকা কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সরেজমিনে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষ ভিড় করছেন। কিন্তু টিকা পাচ্ছেন না কেউ। ভেতরে গিয়ে জানা যায়, আজ এ কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে না।
এ সময় কথা হয় সদর উপজেলার পৌলী এলাকার ৮৫ বছর বয়সী আতোয়ার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নভেম্বর মাসে ফাইজারের প্রথম ডোজ নিয়েছিলাম, আজ দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছি। আমি বয়স্ক মানুষ, আসতে অনেক কষ্ট হয়। তবু এসেছি। কিন্তু আসার পর বলে আজ টিকা দিবে না। আবার আসতে হবে। কী আর করব, যে ভাবে করোনা বাড়তেছে না নিয়াওতো উপায় নাই!’
কথা হয় সুজায়েত হোসেন নামের আরেকজনের সঙ্গে। তিনি এসেছেন সদর উপজেলার আলোকদিয়া থেকে। সুজায়েত বলেন, ‘বাড়ি থেকে এখানে আসতে ১০০ টাকা খরচ হয়। সারাটা দিন চলে যায়। কাজ করা বাদ দিয়া আসলাম। কিন্তু টিকা পেলাম না। আবার টাকা খরচ করে, দিন কামাই করে আসতে হবে।’
এমন ভোগান্তির কথাই বলেন সদর উপজেলা করোটিয়ার কামরুল আলম সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা, এলেঙ্গা থেকে আসা মদন মোহন, সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের রিতাসহ আরও অনেকে।
বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের (পিডিবি) উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাহাদত হোসেন বলেন, ‘প্রধান সঞ্চালন লাইনে আজ বার্ষিক মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। এ কারণে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। এ বিষয়ে আমরা আগেই প্রচার-প্রচারণা করেছি, যাতে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটি কম হয়।’
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হয় ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়। ডাইলুয়েট রাখতে হয় ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। যে কারণে ভ্যাকসিন সেন্টারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু রাখতে হয়। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় আজ ভ্যাকসিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে।’ টিকা নিতে আসা মানুষের এই ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন সিভিল সার্জন।
বরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের চেয়ারম্যানের যাচ্ছেতাই নিয়মে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি বিষয়ের মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় চেইন হসপিটাল ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় ‘ফর্টিস’ নামে চারটি শাখা
২ ঘণ্টা আগেমাত্র ৩৫ শতাংশ শেয়ার নিয়ে রাজশাহীতে ১০ তলা একটি ভবন দখল করেছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। ভবনটির নাম থিম ওমর প্লাজা। রাজশাহী নিউমার্কেটের সামনের এই ভবনের প্রথম থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত শপিং মল। আর অষ্টম থেকে দশম তলা পর্যন্ত অ্যাপার্টমেন্ট।
৩ ঘণ্টা আগে