Ajker Patrika

বেইলি রোডে আগুন: ঢামেক থেকে সর্বশেষ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

ঢামেক প্রতিবেদক
Thumbnail image

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনের অগ্নিকাণ্ডে মৃত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার মরদেহ বুঝে নেন বাবা মো. নজরুল ইসলাম। এর মধ্য দিয়ে নিহত ৪৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হলো। 

আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গ থেকে মরদেহটি হস্তান্তর করেন ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের সিআইডি পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ। 

এ বিষয়ে রমনা থানার পুলিশ উপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএনএ রিপোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে নাজমুল ইসলামের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৪৬টি মরদেহই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলো। 

ঢামেক মর্গে নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ দিন পর ছেলের মরদেহ পেয়েছি। আমরা প্রথম দিনেই আমার ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেছিলাম। অন্য এক পরিবার দাবি করায় ডিএনএ পর্যন্ত গড়ায়। আজকে ডিএনএ নমুনা মিলে যাওয়ায় ছেলের মরদেহ পেলাম।’ 

অশ্রুসিক্ত তিনি আরও বলেন, ‘এ রকম আর কোনো বাবা যেন তার ছেলেকে না হারায়। যারা ভবনের মালিক বা ব্যবসায়ী আছেন তাদের কাছে আমার অনুরোধ-তারা যেন সাবধান হয়ে যান। ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’ 

নিহত নাজমুল ইসলামের মামা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার নলবুনিয়া কান্দি গ্রামে। যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় নিজেদের বাড়ি। নাজমুল রামপুরা বনশ্রী-সি ব্লকের ৩ নম্বর রোডে থাকতেন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। 

যাত্রাবাড়ীর কাজলায় প্রথম জানাজা নামাজ হবে। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে নিয়ে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি। 

আনোয়ার হোসেন আরও জানান, ঘটনার দিন চার বন্ধু মিলে বেইলি রোডের হোটেলে খেতে গিয়েছিলেন। সেখানে আগুন লেগে নাজমুলসহ দুই বন্ধু মারা যায়। বাকি দুই বন্ধু বের হতে পেরেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত