Ajker Patrika

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের দাবি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের দাবি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধা’ উল্লেখ করে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের দাবি জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের নাজনীন স্কুল ও কলেজে বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি জানান।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে কামাল ভাই আমাদের একজন শ্রদ্ধার মানুষ। তিনি যেভাবে লড়াই করেছেন, আমার কষ্ট হয় কামাল ভাই এখনো একটা পদক পায়নি। কামাল ভাই স্বাধীনতা পদক পাওয়ার যোগ্য। আমি কামাল ভাইকে খুশি করার জন্য বলছি না। বললে স্তুতি হয়, না বললে অবিচার হয়। যে সময় তিনি কাঠের গুঁড়ি নিয়ে, বাঁশ নিয়ে লাঠি নিয়ে ট্যাংকের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন সেটা ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ। কামাল ভাই মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধা।’ 

এই লাইব্রেরি গঠনে যাবতীয় সকল সহযোগিতা তিনি করবেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কামাল ভাইয়ের নামে একটি লাইব্রেরি হবে এটা শুনেই আমি আসতে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের বই থাকবে, জাতির পিতার বই থাকবে, স্বাধীনতার ইতিহাসের বই থাকবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বই থাকবে, কামাল ভাইয়ের বই থাকবে—সেই সব লাইব্রেরির কাজের সঙ্গে আমি আছি।’ 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের স্বার্থে প্রয়োজন মতো কিছু কাজ করার জন্য বরাদ্দ দিয়েছিলেন। মধুবাগের মাঠে একটি কমিউনিটি সেন্টার করলাম। বাকি যা ছিল তা দিয়ে কি করা যায় যখন ভাবছিলাম তখন মাসুদ, বাদশা এরা এসে বলল, আমাদের একটা লাইব্রেরি করে দেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও যখন জায়গা পাওয়া গেল না তখন নাজনীন স্কুলের পরিচালনা পর্ষদে যারা ছিলেন তাঁরা এগিয়ে আসলেন। লাইব্রেরিটি করতে সবাই অনেক সহযোগিতা করেছে। যারা এই লাইব্রেরি তৈরির পেছনে ছিল তাঁদের আমি শ্রদ্ধা জানাই। আমি ছোট থেকেই বই পড়তে পছন্দ করতাম। স্কুল-কলেজ শেষে বিভিন্ন লাইব্রেরিতে ঘুরে বই পড়তাম। তখন অবশ্য খুব বেশি লাইব্রেরি ছিল না। বই পড়ার একটা নেশা আমার ছিল।’ 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান বলেন, ‘এই পাঠাগার হওয়াতে আমাদের বাচ্চারাসহ এলাকার যারা বয়স্ক ব্যক্তিরা আছেন তাঁরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে সময় কাটাতে পারবেন। পাঠাগারের জায়গাটি ছোট হলেও এটিকে একটি উন্নতমানের পাঠাগার হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহায়তা চাই।’ 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবদুল গাফফার, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুরসহ নাজনীন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিংগাইরে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৫
আজ দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ উচ্চবিদ্যালয়ে আল রোমান নামের এক শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জয়মন্টপ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক আল রোমানকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে স্থানীয় সাদ্দাম হোসেনসহ একদল বহিরাগত ব্যক্তি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভে নামে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। খুব দ্রুত শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় ২২ বোতল উইন কোরেক্স ও ১০৫টি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

খুলনা প্রতিনিধি
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও খালিশপুর থানা-পুলিশ আলাদাভাবে দুটি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার রাতে এই অভিযান দুটি পরিচালিত হয়।

কেএমপির মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খালিশপুর থানাধীন নুরনগর মেইন রোড এলাকায় অভিযান চালায়।

মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত

অভিযানে মো. আবুল কালাম সরদার (৩৫) নামের এক ব্যক্তির শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে ২২ বোতল কোডিন ফসফেটযুক্ত উইন কোরেক্স উদ্ধার করা হয় এবং তাঁকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আবুল কালাম ঝালকাঠি জেলার ভাংগাদেওলা গ্রামের মৃত আমির আলী সরদারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে খুলনা মহানগর এলাকায় এই মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে কেএমপির অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খালিশপুর থানা-পুলিশ একই রাতে খালিশপুর হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০৫টি ইয়াবাসহ জয় কাজী ওরফে জুবায়ের (২৫) নামের এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ফরিদপুর জেলার রতনদিয়া গ্রামের ইসহাক কাজীর ছেলে। এই ঘটনায়ও সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

কেএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) খোন্দকার হোসেন আহম্মদ এই বিষয়ে বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযানের অংশ হিসেবে পৃথক পৃথকভাবে এই অভিযান দুটি পরিচালিত হয়। সমাজে মাদকের বিস্তার রোধে আমাদের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৮
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নাজমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় থাকেন, বিদ্যালয়ে যান না। কিন্তু শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হচ্ছে নিয়মিত। বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও মিলছে তাঁর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাজমা আক্তারের হয়ে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন হ্যাপি আক্তার নামে এক স্নাতকপড়ুয়া। খাতায় নাজমা আক্তারের স্বাক্ষর করছেন হ্যাপি। এমন ঘটনা নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধনু নদের তীরঘেঁষা নূরারীপুর গ্রামে ২০১৮ সালে স্থাপিত হয় রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৭৪ শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তার। তিনি ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পর থেকেই তিনি বিদ্যালয়ে অনিয়মিত। বিদ্যালয়ে না গেলেও নাজমা আক্তারের নামে শিক্ষক হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করা হচ্ছে। নিয়মিত বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাজমা আক্তার ঢাকায় বসবাস করেন। নাজমা আক্তারের হয়ে প্রক্সি দিচ্ছেন স্নাতকপড়ুয়া হ্যাপি আক্তার। হ্যাপি আক্তার তাঁর নামেই পাঠদান ও শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। আর এই অনিয়মে সহায়তা করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। এর মধ্যে নাজমা আক্তার বিদ্যালয়েই আসেন না। তিনি থাকেন ঢাকায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

গত ২৮ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে দুজন উপস্থিত। আর নাজমা আক্তার বিদ্যালয়ে হাজির না থাকলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় তাঁর স্বাক্ষর রয়েছে।

জানতে চাইলে হ্যাপি আক্তার স্বীকার করেন, ‘নাজমা ম্যাডাম ঢাকায় আছেন। এ জন্য কয়েক মাস তাঁর ক্লাস আমি নিচ্ছি। ম্যাডামের কথা মতো, শিক্ষক হাজিরা খাতায় আমি “নাজমা” লিখে স্বাক্ষর করছি। এটা আমার ভুল হয়েছে।’

প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার বলেন, ‘নাজমা আক্তার আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। আমি ভয়ে শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাইনি।’

শিক্ষক নাজমা আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকার কারণে ঢাকায় আছি। হ্যাপি আক্তারকে দিয়ে আমার শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করানো ঠিক হয়নি।’

খালিয়াজুরী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবু রায়হান বলেন, ‘নাজমা আক্তার নামের এক শিক্ষক ঢাকায় আছেন। বিদ্যালয়ে না এসেও অন্যজনকে দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করাচ্ছেন বলে শুনেছি। এটি নিয়মবহির্ভূত। নাজমা আক্তারসহ বিদ্যালয়ের যারা এই কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার জন্য সুপারিশ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রিপোন মাখাল (৩৫) নামের এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে পাইকগাছা থানার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের সামনের একটি ডোবা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তবে সেখানে তখন পানি ছিল না।

উদ্ধারের পর পুলিশ রিপোনকে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রিপোন মাখাল পৌর সদরের খ্রিষ্টানপাড়ার বাসিন্দা মিখায়েল মাখালের ছেলে।

যুবকের বাবা মিখায়েল মাখাল বলেন, ‘আমাদের ভাইদের মধ্যে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। তখন আমার ছেলেকে আমার ভাই ও ভাইপোরা বসতঘরে মারধর করে। তখন আমার ছেলে রিপোন ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমি গিয়ে ছেলেকে থানা থেকে নিয়ে আসি।’

ছেলেকে পুনরায় মারধর করা হতে পারে আশঙ্কায় তিনি রিপোনকে অন্য কোথাও চলে যেতে বলেন। এর পর থেকে ছেলে ঠিকমতো বাড়িতে যেত না। মিখায়েল মাখালের ভাষ্য অনুযায়ী, পারিবারিক বিরোধের জেরে এই কাজ করা হতে পারে।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নিরাপদ মন্ডল জানান, পুলিশ রিপোন নামের এক যুবককে রোববার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত