Ajker Patrika

দৌলতদিয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ 

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ মে ২০২২, ২২: ২৯
দৌলতদিয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ 

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া আক্কাছ আলী হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ঘর বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগও করেছেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের (২০২১ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী) শিক্ষার্থীরা গতকাল সোমবার গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেছে।

জানা যায়, গত বছর করোনা মহামারির কারণে এসএসসি পরীক্ষা আংশিক (৩টি বিষয়ে) অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেসব বিষয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি, সেসব বিষয়ে নেওয়া ফরম পূরণের অর্থ শিক্ষার্থীদের স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ফেরত দেয় শিক্ষা অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা বোর্ড ফি থেকে ৩১০ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা শিক্ষার্থীদের। তবে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া আক্কাছ আলী হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা ওই অর্থ পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের ঘর বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া আক্কাছ আলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন টাকা ফেরত পেলেও বিভিন্ন কৌশলে ৭০ শিক্ষার্থীর অর্থ ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার গোয়ালন্দের ইউএনওর কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।

আক্কাছ আলী হাইস্কুলের শিক্ষার্থী মো. জনি প্রামাণিক বলে, ‘শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ফেরত প্রদান করা টাকা চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক আমাকে অপমান ও ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন। এবং বলেন, “বিদ্যালয়ের বেতন বাবদ ওই টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।” এ ছাড়া প্রশংসাপত্র আনতে গেলে ওই অতিরিক্ত টাকা প্রাপ্তির স্বাক্ষরসহ প্রশংসাপত্র বাবদ আরও ২০০ টাকা আদায় করেন।’ 

অপর এক শিক্ষার্থী মো. আতিয়ার রহমান বলে, ‘আমার বেতন মওকুফ ছিল। তারপরও আমার টাকা ফেরত দেননি হেড স্যার। তিনি আমাদের টাকা আত্মসাৎ করায় আমরা বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছি।’ 

এদিকে নদীভাঙনের কারণে হাইস্কুলটি কয়েক বছর আগে আইনদ্দিন বেপারীপাড়ায়  স্থানান্তর করা হয়। আগের স্থানে থাকা স্কুলঘরটি অনুমতি ছাড়া বিক্রি করে সেই টাকাও প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। 

এসব বিষয়ে দৌলতদিয়া আক্কাছ আলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীদের অনুমতি সাপেক্ষেই তাদের ফরম পূরণের টাকা প্রদান করা হয়নি। এ মর্মে তারা স্বাক্ষরও করেছে। 

ওই টাকা আত্মসাৎ করেননি দাবি করে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টাকা আমার কাছে আছে, কেউ এখনো ফেরত চাইলে তা দিয়ে দেওয়া হবে। বিদ্যালয়ের ঘর বিক্রির ব্যাপারে তিনি জানান, ৫২ হাজার টাকায় ওই ঘর বিক্রি করা হয়। সেই টাকা  বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতির কাছে ছিল। তিনি ওই টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দেননি। এ কারণে ওই টাকার আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাবও বিদ্যালয়ের নথিতে নেই। 

এ ব্যাপারে ইউএনও মো. আজিজুল হক খান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত