গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শহরের পুরাতন লঞ্চঘাট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা।
মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান।
এ ছাড়া একই দাবিতে আজ সকালে কোটালীপাড়া উপজেলা ও বেলা ৩টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
এদিকে গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীদের গাড়িবহরে হামলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহতের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত মামলা করা হবে বলে জানান স্থানীয় নেতা–কর্মীরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। সকাল থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গের সামনে জড়ো হয়। দুপুরে নিহতের স্বজনেরা গোপালগঞ্জে পৌঁছালে লাশ তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকায় পৌঁছানোর পরে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জেলা যুবদল সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপটন বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসী দল আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এস এম জিলানী ভাইয়ের গাড়িবহরে হামলা করে। এতে আমাদের একজন নিহত হয় এবং আহত হয় অনেক নেতা–কর্মী। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। যাতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে।’
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেনিন বলেন, ‘আমাদের যে কেন্দ্রীয় নেতা মারা গিয়েছেন, তাঁর ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। তাঁর পরিবারের লোকজন গোপালগঞ্জে এসেছেন। লাশ নিয়ে ঢাকায় যাওয়া হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মামলার বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেবে।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. কে এম বাবর বলেন, ‘শুক্রবার যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে। জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির এক জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। গোপালগঞ্জের বেদগ্রামে পথসভা শেষ করে তাঁরা স্থানীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে গাড়িবহর নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে ঘোনাপাড়া এলাকায় তাঁদের বহরটি পৌঁছালে কয়েকজন তাঁদের গাড়ি গতিরোধ করে ভাঙচুর করেন। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা এ হামলা চালান।
এ সময় বিএনপি নেতা–কর্মীরা রাস্তা থেকে লাঠিসোঁটা সংগ্রহ করে তাঁদের ধাওয়া দিলে পিছু হটেন তাঁরা। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে মারধরের শিকার হন সময় টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক এইচ এম মানিক। হামলার একপর্যায়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তাঁর স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না ও তাঁদের সন্তানসহ বিএনপির অন্তত ৩৫ নেতা–কর্মীকে।
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শহরের পুরাতন লঞ্চঘাট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা।
মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান।
এ ছাড়া একই দাবিতে আজ সকালে কোটালীপাড়া উপজেলা ও বেলা ৩টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
এদিকে গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীদের গাড়িবহরে হামলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহতের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত মামলা করা হবে বলে জানান স্থানীয় নেতা–কর্মীরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। সকাল থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গের সামনে জড়ো হয়। দুপুরে নিহতের স্বজনেরা গোপালগঞ্জে পৌঁছালে লাশ তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকায় পৌঁছানোর পরে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জেলা যুবদল সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপটন বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসী দল আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এস এম জিলানী ভাইয়ের গাড়িবহরে হামলা করে। এতে আমাদের একজন নিহত হয় এবং আহত হয় অনেক নেতা–কর্মী। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। যাতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে।’
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেনিন বলেন, ‘আমাদের যে কেন্দ্রীয় নেতা মারা গিয়েছেন, তাঁর ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। তাঁর পরিবারের লোকজন গোপালগঞ্জে এসেছেন। লাশ নিয়ে ঢাকায় যাওয়া হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মামলার বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেবে।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. কে এম বাবর বলেন, ‘শুক্রবার যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে। জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির এক জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। গোপালগঞ্জের বেদগ্রামে পথসভা শেষ করে তাঁরা স্থানীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে গাড়িবহর নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে ঘোনাপাড়া এলাকায় তাঁদের বহরটি পৌঁছালে কয়েকজন তাঁদের গাড়ি গতিরোধ করে ভাঙচুর করেন। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা এ হামলা চালান।
এ সময় বিএনপি নেতা–কর্মীরা রাস্তা থেকে লাঠিসোঁটা সংগ্রহ করে তাঁদের ধাওয়া দিলে পিছু হটেন তাঁরা। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে মারধরের শিকার হন সময় টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক এইচ এম মানিক। হামলার একপর্যায়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তাঁর স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না ও তাঁদের সন্তানসহ বিএনপির অন্তত ৩৫ নেতা–কর্মীকে।
রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের শৌচাগারে এক কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। মাসুদ রানা (৩৪) নামের ওই কনস্টেবল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানাচ্ছে। আজ রোববার সকালে ব্যারাকের শৌচাগারে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মাসুদ রানা রাজশাহীর বাগমারা থানার যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত
২৩ মিনিট আগেরাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে মোহাম্মদ মুঈদ (৩২) ও স্ত্রী আইরিন আক্তার রত্না (৩৫) নামে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে ওয়ারী থানার ওয়ার স্ট্রিটের জমজম টাওয়ারের পাঁচতলার একটি বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
২৪ মিনিট আগেগত ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আহত করা, ভিসিসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও প্রতিটি বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হলে শিক্ষকেরা পাঠদানে ফিরবেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩৭ মিনিট আগেঘটনাটি ঘটেছে নগরের বোয়ালিয়া থানা থেকে মাত্র প্রায় ৪০০ মিটার দূরে। মোটরসাইকেলে আসা দুই ছিনতাইকারী রিকশা থামিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই ছিনতাই করে।
১ ঘণ্টা আগে