Ajker Patrika

সেতু ভেঙে খালে, ১০ গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে

  • টুঙ্গিপাড়ায় গত ৩০ ডিসেম্বর সেতু ভেঙে যাতায়াত বন্ধের উপক্রম
  • ভারী মালপত্র পরিবহন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি 
Thumbnail image
টুঙ্গিপাড়ার চিথলিয়ায় কাটা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে পড়ে রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একটি খালের সেতু ভেঙে হাজারো মানুষের যাতায়াত বন্ধের উপক্রম হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের লেবুতলা-ডুমরিয়া বাজার সড়কে কাটা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে পড়ে।

এ অবস্থায় স্থানীয়রা খালের স্লুইসগেটের ওপর কাঠ বিছিয়ে কোনো রকমে বিকল্প যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছেন। তবে ভারী মালপত্র পরিবহন ও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ।

চিথলিয়া গ্রামের গৃহবধূ সুবর্ণা মজুমদার বলেন, ‘ডুমরিয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। নতুন বছরের দুয়েক দিন আগে এ সড়কের কাটাখালের সেতুটি নদীভাঙনের কবলে পড়ে ভেঙে যায়। তারপর থেকে সড়ক যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেতুর পাশে স্থাপিত ইউনিয়ন পানি সরবরাহ পাইপলাইনও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ১০ জানুয়ারি স্থানীয়রা ওই খালের স্লুইসগেটের ওপর কাঠ বিছিয়ে কোনো রকমে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন। তাও বেশ কিছু পথ ঘুরে কাঁচা রাস্তার ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।’

সরদারপাড়া গ্রামের গৃহবধূ সুখী বেগম বলেন, ‘নিয়মিত আমি এ পথে যাতায়াত করি। সেতু ভেঙে যাওয়ায় আমাদের অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে আমাদের ছেলেমেয়েরা সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসায় ব্যাপক সমস্যা পড়ছে। এ ছাড়া ভ্যান-অটোসহ ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।’

ভ্যানচালক ইয়াকুব তালুকদার বলেন, ‘সেতু ভেঙে যাওয়ায় এখান দিয়ে গাড়ি চালাতে পারছিলাম না। সেই কয়েক কিলোমিটার ঘুরে পাটগাতী বাজারে যেতে হচ্ছিল। পরে স্লুইসগেটে কাঠ বিছিয়ে স্থানীয়রা যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছেন। তবে এখনো যাত্রীসহ পার হতে পারছে না। তাই সব মিলিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই। আমরা চাই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর লেবুতলা-ডুমরিয়া বাজার সড়কের শৈলদহ নদীরভাঙনে কাটা খালের সংযোগস্থলের সেতুটি ভেঙে গেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আর বিকল্প পথে চলাচলের ব্যবস্থা করতে আমরা গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে চিঠি দিয়ে অর্থ বরাদ্দ চেয়েছি। অর্থ বরাদ্দ পেলে ওই সেতুর বিকল্প চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত