নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: দীর্ঘ বিতর্ক শেষ হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে ভাসানচরে কার্যক্রম চালাবে জাতিসংঘ। আগামীকাল প্রকাশ হতে যাওয়া যৌথ রেসপন্স প্লানে (জেআরপি) এর প্রতিফলন দেখা যাবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ঢাকায় কর্মরত প্রতিনিধিরা।
বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থীশিবির হিসেবে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প বিশ্বের কাছে পরিচিত। এই চাপ কমাতে প্রায় ক্রমান্বয়ে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তবে কারিগরি সমীক্ষার আগে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর নিয়ে আপত্তি ছিল জাতিসংঘের। সেখানে কারিগরি সমীক্ষার আবেদনও করে আসছিল সংস্থাটি। দীর্ঘদিন পর অবশেষে ভাসানচরে জাতিসংঘকে কারিগরি সমীক্ষার জন্য যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। জাতিসংঘের একটি দল দ্বীপটি ঘুরে আসার পর প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। বর্তমানে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে তাদের দেন দরবার চলছে। এর উপর ভিত্তি করে ভাসানচরে অর্থায়নের বিষয়টি জেআরপিতে উঠে আসবে।
ভাসানচর নিয়ে জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক অবস্থান এবং জেআরপিতে অর্থায়ন নিয়ে জানতে চাইলে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের মুখপাত্র মোস্তফা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সালের মার্চে জাতিসংঘ প্রথম ভাষানচরে সফর করে। সেখানে এরইমধ্যে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষা দরকার বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
মোস্তফা মোহাম্মদ সাজ্জাদ আরও বলেন, দ্বীপটিতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন ও কল্যাণের জন্য নীতি নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন। এ আলোচনাগুলোর সফলতার মধ্য দিয়েই ভাসানচরে জাতিসংঘ কার্যক্রম শুরু করবে। সেই সঙ্গে সেখানে অর্থায়নসহ কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে দাতা সংস্থা, সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একমত হওয়ার বিষয় রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছে। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় বিভিন্ন রোগের প্রকোপ রয়েছে সেখানে। বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারিতে এ ঝুঁকি আরও বেড়েছে। তবে সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু অনেক কম। নিরাপত্তাসহ ক্যাম্পের ঝুঁকি কমাতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর চায় বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই কিছু রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়েও যাওয়া হয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার যখন থেকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তখন থেকেই জাতিসংঘ সেখানে গিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল। কারণ শরণার্থীদের যেখানে জায়গা দেবে, জাতিসংঘ সেখানে গিয়েই কাজ করবে। কিন্তু সরকার শুরুতে সেখানে পরিদর্শনে যেতে দেয়নি। যেতে দিলে এ নিয়ে এত বিতর্ক হতো না।
জাতিসংঘের সূত্র জানায়, বর্তমানে সরকারের সঙ্গে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে দেনদরবার চলছে সংস্থাটির। সেখানে কীভাবে কাজ করা হবে, কোন সংস্থার কতটুকু সংশ্লিষ্টতা থাকবে, কয়টি হাসপাতাল হবে এসব নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই ভাসানচরে কার্যক্রম শুরু করবে জাতিসংঘ। আগামীকাল জেনেভায় প্রকাশ হতে যাওয়া জেআরপি ২০২১–এ বিষয়টির প্রতিফলন দেখা যাবে।
২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বরের জাতিসংঘের কারিগরি সমীক্ষা দল নিয়ে ভাসানচরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সরকারের। তবে যাত্রার দিন সকালেই তা স্থগিত করা হয়। পরে সরকার জাতিসংঘের কাছে সেখানে যাওয়ার কারণ জানতে চায় এবং লিখিত আবেদন জানানোর আহ্বান জানায়। এর প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পুরো দ্বীপের সুরক্ষা, নিরাপত্তা, জীবন সম্ভাব্যতার কারিগরি সমীক্ষার টার্মস অব রেফারেন্স সরকারের কাছে জমা দেয় সংস্থাটি। তার প্রেক্ষিতেই গত মার্চে জাতিসংঘের একটি দলকে ভাসানচরে যেতে দেয় সরকার।
ঢাকা: দীর্ঘ বিতর্ক শেষ হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে ভাসানচরে কার্যক্রম চালাবে জাতিসংঘ। আগামীকাল প্রকাশ হতে যাওয়া যৌথ রেসপন্স প্লানে (জেআরপি) এর প্রতিফলন দেখা যাবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ঢাকায় কর্মরত প্রতিনিধিরা।
বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থীশিবির হিসেবে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প বিশ্বের কাছে পরিচিত। এই চাপ কমাতে প্রায় ক্রমান্বয়ে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তবে কারিগরি সমীক্ষার আগে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর নিয়ে আপত্তি ছিল জাতিসংঘের। সেখানে কারিগরি সমীক্ষার আবেদনও করে আসছিল সংস্থাটি। দীর্ঘদিন পর অবশেষে ভাসানচরে জাতিসংঘকে কারিগরি সমীক্ষার জন্য যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। জাতিসংঘের একটি দল দ্বীপটি ঘুরে আসার পর প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। বর্তমানে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে তাদের দেন দরবার চলছে। এর উপর ভিত্তি করে ভাসানচরে অর্থায়নের বিষয়টি জেআরপিতে উঠে আসবে।
ভাসানচর নিয়ে জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক অবস্থান এবং জেআরপিতে অর্থায়ন নিয়ে জানতে চাইলে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের মুখপাত্র মোস্তফা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সালের মার্চে জাতিসংঘ প্রথম ভাষানচরে সফর করে। সেখানে এরইমধ্যে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষা দরকার বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
মোস্তফা মোহাম্মদ সাজ্জাদ আরও বলেন, দ্বীপটিতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন ও কল্যাণের জন্য নীতি নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন। এ আলোচনাগুলোর সফলতার মধ্য দিয়েই ভাসানচরে জাতিসংঘ কার্যক্রম শুরু করবে। সেই সঙ্গে সেখানে অর্থায়নসহ কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে দাতা সংস্থা, সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একমত হওয়ার বিষয় রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছে। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় বিভিন্ন রোগের প্রকোপ রয়েছে সেখানে। বর্তমানে কোভিড-১৯ মহামারিতে এ ঝুঁকি আরও বেড়েছে। তবে সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু অনেক কম। নিরাপত্তাসহ ক্যাম্পের ঝুঁকি কমাতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর চায় বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই কিছু রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়েও যাওয়া হয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার যখন থেকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তখন থেকেই জাতিসংঘ সেখানে গিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল। কারণ শরণার্থীদের যেখানে জায়গা দেবে, জাতিসংঘ সেখানে গিয়েই কাজ করবে। কিন্তু সরকার শুরুতে সেখানে পরিদর্শনে যেতে দেয়নি। যেতে দিলে এ নিয়ে এত বিতর্ক হতো না।
জাতিসংঘের সূত্র জানায়, বর্তমানে সরকারের সঙ্গে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে দেনদরবার চলছে সংস্থাটির। সেখানে কীভাবে কাজ করা হবে, কোন সংস্থার কতটুকু সংশ্লিষ্টতা থাকবে, কয়টি হাসপাতাল হবে এসব নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই ভাসানচরে কার্যক্রম শুরু করবে জাতিসংঘ। আগামীকাল জেনেভায় প্রকাশ হতে যাওয়া জেআরপি ২০২১–এ বিষয়টির প্রতিফলন দেখা যাবে।
২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বরের জাতিসংঘের কারিগরি সমীক্ষা দল নিয়ে ভাসানচরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সরকারের। তবে যাত্রার দিন সকালেই তা স্থগিত করা হয়। পরে সরকার জাতিসংঘের কাছে সেখানে যাওয়ার কারণ জানতে চায় এবং লিখিত আবেদন জানানোর আহ্বান জানায়। এর প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পুরো দ্বীপের সুরক্ষা, নিরাপত্তা, জীবন সম্ভাব্যতার কারিগরি সমীক্ষার টার্মস অব রেফারেন্স সরকারের কাছে জমা দেয় সংস্থাটি। তার প্রেক্ষিতেই গত মার্চে জাতিসংঘের একটি দলকে ভাসানচরে যেতে দেয় সরকার।
গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত পরিদর্শন করে। এ সময় তারা ষাটনল, ষাটনল বাবু বাজার, মোহনপুর ও এখলাছপুর এলাকা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে প্রাথমিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যান।
১০ মিনিট আগেআজ সকাল থেকে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে ডাকা হরতালে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। ভোরে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তার চারটি রাস্তায় বাঁশ-বেঞ্চ দিয়ে বন্ধ করে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে উপজেলার প্রবেশপথ কালমেঘ বাজারে গাছ ফেলে হরতাল কর্মসূচি পালন করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তাতে সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে...
৩০ মিনিট আগেবিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আজ শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে দাবি পূরণের ঘোষণা না দেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায়...
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে