Ajker Patrika

সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়

প্রতিনিধি, জবি (ঢাকা) 
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২১, ১৩: ৩০
সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়

টানা ১৪ দিন কঠোর বিধিনিষেধের পর আজ থেকে স্বল্প পরিসরে সারা দেশে গণপরিবহন চালু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সদরঘাটে শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। ঈদুল আজহা সামনে রেখে সদরঘাটে দেখা গেছে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া-আসা করছে লঞ্চ। ভোর ৫টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোলা, ইলিশা, সুরেশ্বর, ওয়াপদা ও চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে মোট ১৮টি লঞ্চ।

সরেজমিনে দেখা যায়, লালকুঠি ঘাটে চাঁদপুরগামী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। লঞ্চগুলোয় অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কেউ। তবে ঠিকই ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। চাঁদপুর থেকে ঢাকায় আসা দুটি লঞ্চে গাদাগাদি করে যাত্রী আনতে দেখা গেছে। মাস্ক পরতেও অনীহা যাত্রীদের। ঘাটে সর্বত্র বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। বরিশালগামী লঞ্চগুলো বিকেলে ছাড়লেও সকালেই যাত্রীদের এসে বসে থাকতে দেখা গেছে।

অনেক দিন বন্ধ থাকার পর লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের সুবিধার্থে পন্টুন ও গ্যাংওয়ের কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া আগের ১৮টি পন্টুনের সঙ্গে নতুন আরও ৮টি যোগ করা হয়েছে।

মুলাদীগামী যাত্রী আবদুর রশীদ বলেন, ‘উত্তরার একটি মাদ্রাসায় কাজ করি। লকডাউনে সব বন্ধ থাকায় এত দিন আটকে ছিলাম। আজ সুযোগ বুঝে চলে যাচ্ছি। লঞ্চে জায়গা পামু না ভেবে সকালেই এসে বসে আছি।’

চাঁদপুরগামী যাত্রী আবদুল হক বলেন, ‘আমি ঘোড়াশাল গ্যাসলাইনে কাজ করি। লকডাউনে কাজ-কর্ম সব বন্ধ। আজকে লঞ্চ চালু হবে শুনে আর দেরি করি নাই, বাড়ি চলে যাচ্ছি।'

পরিবার নিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন আজিজ ব্যাপারী। অনেক দিন ধরে ব্যবসা বন্ধ থাকায় নিরুপায় হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘আজকে লঞ্চ চালু হওয়ায় শান্তি লাগছে। পরিবার নিয়ে ঈদের উদ্দেশে বাড়ি যাচ্ছি। কবে ফিরব ঠিক নেই।’ 

এ বিষয়ে ঢাকা নদীবন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সকাল থেকেই আমরা টার্মিনালে আছি। আমরা আমাদের ট্রাফিক পুলিশ দ্বারা মাইকিং করে শতভাগ মাস্ক নিশ্চিত করেছি। প্রতিটি টিকিট কাউন্টারে আমাদের লোক দ্বারা নিজ উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ করছি। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের অসচেতন অনেককেই জোর করে মাস্ক পরাতে হচ্ছে। যাত্রী ওঠানোর বিষয়ে আমরা লঞ্চ মালিক ও কর্মচারীদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি ৷ আমি নিজে সকাল থেকে বেশ কয়েকটি লঞ্চ নির্দিষ্ট সময়ের ১০ থেকে ২০ মিনিট আগে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ছাড়তে বাধ্য করেছি।’

জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সকাল থেকে আমাদের ১৮টি লঞ্চ সারা দেশে ছেড়ে গেছে। সাধারণত দিনে ১৫০টি লঞ্চ আসা–যাওয়া করলেও যাত্রীদের সুবিধায় ঈদের আগে আমাদের নতুন আরও ৩০টি লঞ্চ যোগ হবে।’

লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘সরকারের সব নির্দেশনা মেনেই লঞ্চ চলাচল করছে।’

লঞ্চ বোঝাই করে যাত্রী নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফেরি বোঝাই করে যখন যাত্রী ও গাড়ি নেওয়া হয়, তখন আপনারা কোথায় থাকেন? ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের ভিড় থাকবেই। আমরা নিয়ম মেনেই চলছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত