জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
সবাই কাশবন ঘুরে এল, আমরাই বাদ! হতে পারে না।
এরই মধ্যে শরৎ যাই যাই করছে, তাই এক ছুটে দিয়াবাড়ী। আগে থেকেই শোনা, এখানে রয়েছে কাশের বন।
উত্তরার রাস্তাগুলোয় যান চলাচল বেড়েছে আবার। দোকানগুলোও খুলে গেছে। বিকেলের মৃদু আলোয় আকাশটা গাঢ় নীল। মাঝে মাঝে মেঘের আনাগোনা।
একটু পর আমরা যেখানে পৌঁছালাম, সেই জায়গাটিকে বলা হয় দিয়াবাড়ী বটতলা। একটু পরপরই সেখানে কাশবন। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে একটি খাল। তার পাশে খাবারের দোকান। চটপটি এখানেও ফেভারিট। তবে ফাস্টফুডের ভ্যানও দেখা গেল কয়েকটা।
কিছু দোকান আছে, যেখানে চা-বিস্কুট পাওয়া যায়। আমাদের দেখে একজন বললেন, তাঁর দোকানে গরুর খাঁটি দুধের চা পাওয়া যাবে। করোনার মধ্যে যেখানে-সেখানে মাস্ক খোলা যাবে না। তাই চা খাওয়ার এই উদার আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া গেল না।
এখানেই রয়েছে চরকি, বাচ্চাদের খেলনা। আর রয়েছে বন্দুকের খেলা। বেলুনগুলো বন্দুকের গুলি দিয়ে ফাটাতে হবে।
যিনি এই খেলাটি নিয়ে বসেছেন, তাঁর নাম আনোয়ার হোসেন। বেশ দিলখোলা মানুষ।
‘আপনি কত দিন এখানে বন্দুকের খেলা নিয়ে?’
‘প্রায় দুই বচ্ছর।’
‘প্রতিদিন আসেন?’
‘এখন আসি। মাঝে তো এক বছর করোনার সময় দ্যাশে ছিলাম।’
‘বাড়ি কোথায়?’
‘ময়মনসিংহ।’
‘দিয়াবাড়ীতে কি সব সময় ভিড় হয়?’
‘শুক্রবার হলে ভিড় হয়। শুক্রবারে হাজার-বারো শ ট্যাকা কামাই করি।’
‘অন্য দিন?’
‘অন্য দিন একটু কম হয়।’ বিজনেস-সিক্রেট মনে হয়, তাই টাকার পরিমাণটা আর বললেন না।
‘এখানে লোকজন কেমন আসে?’
‘৫টা-৬টার দিকে মানুষে ভইরা যায়। বোঝেন না, যাওনের জায়গা কই? এখানে খোলা হাওয়া। একটু তো ঘুরতে মন চাইবই।’
‘থাকেন কোথায়?’
‘এই উত্তরাতেই।’
‘ছেলেমেয়ে কয়জন?’
‘এক ছেলে এক মেয়ে। আর বউ।’
‘সংসার ভালোভাবেই চলে?’
‘আপনারে একটা সিক্রেট বলি। আমি আসলে গুল্লির খেলার ব্যবসাটা পার্টটাইম করি। আমার আরও একটা চাকরি আছে, গার্মেন্টসে। সেখানে আমি ফায়ার ডোরে কাজ করি।’
তাতে বোঝা যায়, আনোয়ার হোসেনের অভাব নাই।
‘বাড়িতে গিয়ে কী করেছিলেন?’
‘বাড়িতে তো আমার জমিজমা আছে। একটু চাষবাস করি।’
‘বর্গা দিয়েছেন?’
‘আরে না। নিজের জমিতে নিজেই চাষ করি। সময়মতো বাড়ি গিয়া চাষ করি। মাঝে মাঝে দেইখ্যা আসি।’
‘আচ্ছা, সুখ মানে কী?’
‘সুখ? সুখ মানে কথা হইল যে আমার, সুখের তো শ্যাষ নাই। ছেলেমেয়ে নিয়া আছি, এইটাই তো সুখ।’
এই কাশবনে না এলে এ রকম একজন সুখী মানুষের সঙ্গে তো দেখা হতো না! কাশবনের মতোই তাঁর মনটাও উড়ে চলেছে…
সবাই কাশবন ঘুরে এল, আমরাই বাদ! হতে পারে না।
এরই মধ্যে শরৎ যাই যাই করছে, তাই এক ছুটে দিয়াবাড়ী। আগে থেকেই শোনা, এখানে রয়েছে কাশের বন।
উত্তরার রাস্তাগুলোয় যান চলাচল বেড়েছে আবার। দোকানগুলোও খুলে গেছে। বিকেলের মৃদু আলোয় আকাশটা গাঢ় নীল। মাঝে মাঝে মেঘের আনাগোনা।
একটু পর আমরা যেখানে পৌঁছালাম, সেই জায়গাটিকে বলা হয় দিয়াবাড়ী বটতলা। একটু পরপরই সেখানে কাশবন। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে একটি খাল। তার পাশে খাবারের দোকান। চটপটি এখানেও ফেভারিট। তবে ফাস্টফুডের ভ্যানও দেখা গেল কয়েকটা।
কিছু দোকান আছে, যেখানে চা-বিস্কুট পাওয়া যায়। আমাদের দেখে একজন বললেন, তাঁর দোকানে গরুর খাঁটি দুধের চা পাওয়া যাবে। করোনার মধ্যে যেখানে-সেখানে মাস্ক খোলা যাবে না। তাই চা খাওয়ার এই উদার আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া গেল না।
এখানেই রয়েছে চরকি, বাচ্চাদের খেলনা। আর রয়েছে বন্দুকের খেলা। বেলুনগুলো বন্দুকের গুলি দিয়ে ফাটাতে হবে।
যিনি এই খেলাটি নিয়ে বসেছেন, তাঁর নাম আনোয়ার হোসেন। বেশ দিলখোলা মানুষ।
‘আপনি কত দিন এখানে বন্দুকের খেলা নিয়ে?’
‘প্রায় দুই বচ্ছর।’
‘প্রতিদিন আসেন?’
‘এখন আসি। মাঝে তো এক বছর করোনার সময় দ্যাশে ছিলাম।’
‘বাড়ি কোথায়?’
‘ময়মনসিংহ।’
‘দিয়াবাড়ীতে কি সব সময় ভিড় হয়?’
‘শুক্রবার হলে ভিড় হয়। শুক্রবারে হাজার-বারো শ ট্যাকা কামাই করি।’
‘অন্য দিন?’
‘অন্য দিন একটু কম হয়।’ বিজনেস-সিক্রেট মনে হয়, তাই টাকার পরিমাণটা আর বললেন না।
‘এখানে লোকজন কেমন আসে?’
‘৫টা-৬টার দিকে মানুষে ভইরা যায়। বোঝেন না, যাওনের জায়গা কই? এখানে খোলা হাওয়া। একটু তো ঘুরতে মন চাইবই।’
‘থাকেন কোথায়?’
‘এই উত্তরাতেই।’
‘ছেলেমেয়ে কয়জন?’
‘এক ছেলে এক মেয়ে। আর বউ।’
‘সংসার ভালোভাবেই চলে?’
‘আপনারে একটা সিক্রেট বলি। আমি আসলে গুল্লির খেলার ব্যবসাটা পার্টটাইম করি। আমার আরও একটা চাকরি আছে, গার্মেন্টসে। সেখানে আমি ফায়ার ডোরে কাজ করি।’
তাতে বোঝা যায়, আনোয়ার হোসেনের অভাব নাই।
‘বাড়িতে গিয়ে কী করেছিলেন?’
‘বাড়িতে তো আমার জমিজমা আছে। একটু চাষবাস করি।’
‘বর্গা দিয়েছেন?’
‘আরে না। নিজের জমিতে নিজেই চাষ করি। সময়মতো বাড়ি গিয়া চাষ করি। মাঝে মাঝে দেইখ্যা আসি।’
‘আচ্ছা, সুখ মানে কী?’
‘সুখ? সুখ মানে কথা হইল যে আমার, সুখের তো শ্যাষ নাই। ছেলেমেয়ে নিয়া আছি, এইটাই তো সুখ।’
এই কাশবনে না এলে এ রকম একজন সুখী মানুষের সঙ্গে তো দেখা হতো না! কাশবনের মতোই তাঁর মনটাও উড়ে চলেছে…
খুলনা জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন হাজতিকে ঢাকার হাইসিকিউরিটি কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে পুলিশ পাহারায় প্রিজন ভ্যানে তাদের তিনজনকে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে, তাদের তালিকা পরবর্তী সময়ে ঢাকায় পাঠানো হবে বলে কারা সূত
১৮ মিনিট আগেবিদেশ যেতে না পেরে ক্ষোভে মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসীকে গালাগাল করেছেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার এক যুবক। পরে সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
২২ মিনিট আগেবয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা ও স্বতন্ত্র কোটা পুনর্বহালসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্রাজুয়েট পরিষদ।
২৭ মিনিট আগেশাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের সময় দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ঘটনাস্থলে থাকা কুরিয়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা। ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের ইনচার্জ পরিচয় দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ওই কর্মকর্তা গতকাল রাতে সাংবাদিকদের বলেন...
৩৪ মিনিট আগে