বিরাট বিরাট কংক্রিটের ভিড় তখনো জমেনি বাংলার শহর, গঞ্জ, মফস্বলে। তাই তো কাশফুলে ভরা মাঠ পেরিয়ে অপু-দুর্গা ছুটেছিল রেলগাড়ি দেখতে। অথচ বাঙালিকে আজ সেই কাশফুল দেখতেই শহর ছাড়িয়ে ছুটতে হয় প্রত্যন্ত গ্রামে! যেখানে আজও কাশের দল বেঁচে থাকার লড়াই করছে।
শরৎকাল মানে কাশফুল। নদীমাতৃক এ দেশের আনাচকানাচে অযত্নে ফুটে থাকে। দোল খায় বাতাসে। শিউলি নাকি কাশফুল—শরৎকাল কার জন্য বিখ্যাত, এ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু এর সৌন্দর্য নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। দেশের সবখানে প্রায় দেখা যাবে এ ফুল।
শরতে নীল আকাশে সাদা মেঘ যেমন মুগ্ধতা ছড়ায়, তেমনি নদী-নালা, খাল-বিলসহ বিভিন্ন জায়গায় শোভা বর্ধন করে কাশফুল। কাশফুলের অপরূপ এই শুভ্র সৌন্দর্য চোখে পড়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায়ও। আর কাশফুলের এই অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করতে এসব জায়গায় ভিড় করছে সৌন্দর্যপিয়াসী মানুষ। মনের আনন্দে কাশফুলের সঙ্গে ছবি তুলছে তারা।
শরৎ এসে গেছে। স্বচ্ছ নীল আকাশ। তাতে উড়ে বেড়ায় সাদা সাদা মেঘ। আর নদীর জলে স্পষ্ট প্রতিবিম্ব দেখা যায়। দুই ধারে ফোটা সাদা কাশফুল হাওয়া-বাতাসে দোল খায়। নদীর বুকে পালতোলা নৌকা। গলা ছেড়ে গেয়ে ওঠেন মাঝি-মাল্লারা।