মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম
ধীরে ধীরে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে শরৎ। কাশফুলের যৌবনেও পড়ছে ভাটা। তারপরেও শরৎ মানেই নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের নিচে খানিক ধূসর কাশফুলের জন্য মন উড়ু উড়ু করবেই।
সেই উড়ু উড়ু ভাব কাটাতে এক পড়ন্ত দুপুরে মোটরসাইকেলে সওয়ার হয়ে ছুটে চললাম ধামরাই উপজেলার কাইজ্জার চর—ঢাকার একেবারে পাশে। সাভারের নামাবাজার ব্রিজ পার হয়ে রূপনগর পৌঁছাতেই শরতের আকাশ ভেঙে বর্ষার মতো ঝুম বৃষ্টি নেমে এল। মানুষের মতো হয়তো প্রকৃতিও তার চরিত্র হারাতে বসেছে! যাহোক, টংদোকানে বাইক থামিয়ে চা-বিস্কুট চলল। বৃষ্টি থামলে রূপনগরের পিচ ঢালা আর বৃক্ষরাজির ছায়াঘেরা সড়কে চলতে চলতে চৌঠাইল মৌজার পুরোনো কড়ইগাছে ঘেরা সরু সড়ক ধরে এগোতে এগোতে একেবারে বিশাল কাশবনের প্রান্তরে!
প্রথম দেখাতেই চুপসে যাওয়া মন হয়ে উঠল প্রাণবন্ত। ছোট্টবেলা দুষ্টুমির কারণে একচোট ধুমসে মার দিয়ে বাবা যখন হাতে ধরিয়ে দিতেন বাটারবান, তখন যেমন অনুভূতি হতো, শরৎ শেষের কাশবন দেখেও একই অনুভূতি হলো। বন্ধুরা একের পর এক ছবি ও ভিডিও তুলেই চলল। এদিকে আকাশের পশ্চিম কোলে সূর্যটা হেলান দিতে শুরু করল। এই বেলা এক দারুণ আলোর খেলা দেখা গেল কাশবনের মাথায়। মনে হলো, পুরো কাশবনে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। সোনারোদে কাশফুলের নরম ছোঁয়া দেহ-মনে ঝিলিক মেরে গেল।
এই আগুন ঝরানো গোধূলি, শুভ্র কাশফুলের বন, পরিষ্কার আকাশ—সবকিছু মিলিয়ে এখন এক অপার্থিব পরিবেশ এখানে। পাশেই বয়ে চলা ধলেশ্বরী নদী। বাংলা আশ্বিন মাস। শহরগুলোর বাইরে আবহাওয়া খানিকটা অন্য রকম। হেমন্তের টান ধরেছে। খানিক হিমের ছোঁয়া আছে সন্ধ্যার বাতাসে। বাকি কয়েকটা দিন পুরোটাই থাকবে কাশফুলের সমাহার। তবে তার রোঁয়া হয়ে যাবে আরও ধূসর। তারপর বাতাসে সেগুলো উড়তে শুরু করলে শরৎই হয়ে যাবে শেষ। আসবে হেমন্ত। ধানের দিন।
কাশফুলের আরেকটা প্রজাতির নাম কুশ। কাশফুলের আদি নিবাস আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশ। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানেও কাশফুল দেখা যায়। এ শুধু দেখার বিষয়ই নয়, এর আছে ঔষধি গুণ। শরীরের দুর্গন্ধ, পিত্তথলির পাথরসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে এর মূল। সব মিলিয়ে কাশফুল প্রকৃতির অপরূপ এক উপহার। তাই শরৎ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই কাছাকাছি থাকা কাশফুলের রাজ্য থেকে ঘুরে আসুন। ঢাকার পাশে ধামরাই ছাড়াও কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় কাশফুলের সাম্রাজ্য রয়েছে, থাকবে শরৎজুড়ে।
ধীরে ধীরে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে শরৎ। কাশফুলের যৌবনেও পড়ছে ভাটা। তারপরেও শরৎ মানেই নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের নিচে খানিক ধূসর কাশফুলের জন্য মন উড়ু উড়ু করবেই।
সেই উড়ু উড়ু ভাব কাটাতে এক পড়ন্ত দুপুরে মোটরসাইকেলে সওয়ার হয়ে ছুটে চললাম ধামরাই উপজেলার কাইজ্জার চর—ঢাকার একেবারে পাশে। সাভারের নামাবাজার ব্রিজ পার হয়ে রূপনগর পৌঁছাতেই শরতের আকাশ ভেঙে বর্ষার মতো ঝুম বৃষ্টি নেমে এল। মানুষের মতো হয়তো প্রকৃতিও তার চরিত্র হারাতে বসেছে! যাহোক, টংদোকানে বাইক থামিয়ে চা-বিস্কুট চলল। বৃষ্টি থামলে রূপনগরের পিচ ঢালা আর বৃক্ষরাজির ছায়াঘেরা সড়কে চলতে চলতে চৌঠাইল মৌজার পুরোনো কড়ইগাছে ঘেরা সরু সড়ক ধরে এগোতে এগোতে একেবারে বিশাল কাশবনের প্রান্তরে!
প্রথম দেখাতেই চুপসে যাওয়া মন হয়ে উঠল প্রাণবন্ত। ছোট্টবেলা দুষ্টুমির কারণে একচোট ধুমসে মার দিয়ে বাবা যখন হাতে ধরিয়ে দিতেন বাটারবান, তখন যেমন অনুভূতি হতো, শরৎ শেষের কাশবন দেখেও একই অনুভূতি হলো। বন্ধুরা একের পর এক ছবি ও ভিডিও তুলেই চলল। এদিকে আকাশের পশ্চিম কোলে সূর্যটা হেলান দিতে শুরু করল। এই বেলা এক দারুণ আলোর খেলা দেখা গেল কাশবনের মাথায়। মনে হলো, পুরো কাশবনে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। সোনারোদে কাশফুলের নরম ছোঁয়া দেহ-মনে ঝিলিক মেরে গেল।
এই আগুন ঝরানো গোধূলি, শুভ্র কাশফুলের বন, পরিষ্কার আকাশ—সবকিছু মিলিয়ে এখন এক অপার্থিব পরিবেশ এখানে। পাশেই বয়ে চলা ধলেশ্বরী নদী। বাংলা আশ্বিন মাস। শহরগুলোর বাইরে আবহাওয়া খানিকটা অন্য রকম। হেমন্তের টান ধরেছে। খানিক হিমের ছোঁয়া আছে সন্ধ্যার বাতাসে। বাকি কয়েকটা দিন পুরোটাই থাকবে কাশফুলের সমাহার। তবে তার রোঁয়া হয়ে যাবে আরও ধূসর। তারপর বাতাসে সেগুলো উড়তে শুরু করলে শরৎই হয়ে যাবে শেষ। আসবে হেমন্ত। ধানের দিন।
কাশফুলের আরেকটা প্রজাতির নাম কুশ। কাশফুলের আদি নিবাস আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশ। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানেও কাশফুল দেখা যায়। এ শুধু দেখার বিষয়ই নয়, এর আছে ঔষধি গুণ। শরীরের দুর্গন্ধ, পিত্তথলির পাথরসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে এর মূল। সব মিলিয়ে কাশফুল প্রকৃতির অপরূপ এক উপহার। তাই শরৎ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই কাছাকাছি থাকা কাশফুলের রাজ্য থেকে ঘুরে আসুন। ঢাকার পাশে ধামরাই ছাড়াও কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় কাশফুলের সাম্রাজ্য রয়েছে, থাকবে শরৎজুড়ে।
ডেজার্ট হিসেবে মিষ্টি কমবেশি সবার প্রিয়। বিশেষ দিনে প্রিয়জনের জন্য ঘরেই বানাতে পারেন সুস্বাদু রসে ভরা কাঁচাগোল্লা। আপনাদের জন্য রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৭ ঘণ্টা আগেকম শক্তি, পেট ফাঁপা কিংবা ত্বকের সমস্যার মতো উপসর্গগুলোকে অনেকে ব্যস্ত জীবন বা ভুল খাদ্যাভ্যাসের ফল বলে মনে করেন। এর জন্য তাঁরা ব্যস্ত জীবন বা বাজে খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করেন। ফলে এই বিষয়গুলো উপেক্ষা করা হয়। কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে খাদ্য অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতা।
১৯ ঘণ্টা আগেখুশকি নিয়ে সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারও মাথায় সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি উড়ে বেড়ায়, কারও আবার চুল সব সময় ভারী ও আঠালো লাগে। অনেক সময় মানুষ ধরে নেয়, এটি শুধু চুলে তেল জমে থাকার কারণে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে, তেলতেলে এবং আঠালো খুশকি একধরনের সমস্যা। এর যত্ন আলাদা ও নিয়মিত নিতে হয়।
২১ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন! ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন। আসলে দোষটা আর কারও নয়,
২১ ঘণ্টা আগে