Ajker Patrika

পুলিশের ভয়ে নাম-ঠিকানা বদলে এনআইডি তৈরি, তাতেও হলো না শেষ রক্ষা

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
পুলিশের ভয়ে নাম-ঠিকানা বদলে এনআইডি তৈরি, তাতেও হলো না শেষ রক্ষা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে পুলিশের ভয়ে নিজের নাম-ঠিকানা বদলে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করে ১৪ বছর পলাতক ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নুরুল ইসলাম (৩৩)। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে কালীগঞ্জ থানা-পুলিশ ময়মনসিংহের গলগন্ডা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

আজ শুক্রবার দুপুরে কালীগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিং মে।

গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। পরিবর্তন করা জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর নাম দেন ফারুক মিয়া। সেখানে বাবার নাম রফিক মিয়া ও মাতার নাম নাছরিন। ঠিকানা হিসেবে শেরপুর সদরের দক্ষিণ নৌহাটা গ্রাম উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ২০০৮ সালে কালীগঞ্জ থানার আলোচিত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নুরুল ইসলামকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ সদরের গলগন্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, নুরুল ইসলাম ২০০৮ সালে উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের ফজলু রহমানের ১৫ বছর বয়সী ছেলে মহিউদ্দিনকে একটি মোবাইল ফোনের জন্য পাঁচজন মিলে হত্যা করে লাশ বিলের ধারে ফেলে দেন। এই ঘটনায় মামলার পর থেকে সব আসামি পলাতক ছিল। বিচারে আসামিদের সবাইকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। কিন্তু আসামি নুরুল ইসলাম বাঁচার জন্য নিজের নাম-ঠিকানা বদলে এনআইডি তৈরি ১৪ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।

ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, কালীগঞ্জ থানা-পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামির অবস্থান এবং নাম-ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে মামলার বাদী, স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসী তাঁকে শনাক্ত করে। তা ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে আসামি নিজেও স্বীকার করেন যে, তিনি নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে এনআইডি তৈরি করেছিলেন। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলায় বিয়ে করেন। বিয়ের কাগজপত্রে নাম-ঠিকানা নুরুল ইসলামই আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত