নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল কোহিনূর বেগমের মরদেহ। সে সময় তাঁর স্বামী কে বি এম মামুন রশীদ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। কোহিনূরের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় অপমৃত্যুর মামলাও হয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পুলিশ বলছে, কোহিনূর আত্মহত্যা করেননি, থুতনির নিচে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে দায়ের করেন কোহিনূর বেগমের ভাই সালাউদ্দিন রহমাতুল্লাহ। মামলাটি এখন তদন্ত করছে পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ। মামলায় কোহিনূরের স্বামী ও তাঁর পালিত মেয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অর্গানাইজড ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম বলেন, ‘হত্যা মামলা হওয়ার পর মামুন রশীদ ও তাঁদের পালিত মেয়েকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। কোহিনূরের স্বামী ও মেয়েকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত শেষে এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।’
কোহিনূর বেগম শহীদ পরিবারের সন্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর করে তিনি স্বনামধন্য একাধিক ওষুধ কোম্পানিতে কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর স্বামী কে বি এম মামুন রশীদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং পালিত মেয়ে ফাইজা নূর রশীদ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশ-আইসিডিডিআরবি ঢাকার কর্মকর্তা।
মামলার এজাহার ও পিবিআই সূত্র বলছে, চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের নিজ বাসায় ঘটনাটি ঘটে। সে বাসায় কোহিনূর তাঁর স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন।
কোহিনূরের স্বজনেরা বলেন, বিয়ের কয়েক বছর হয়ে গেলেও কোহিনূর মা হতে পারছিলেন না। তখন তিনি ফাইজা নামের এক মেয়েকে দত্তক নেন। এর মধ্যেই কোহিনূর নিজে এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। কোহিনূর বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করায় দুই সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে সন্তানেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এই অবস্থা দেখে কোহিনূর চাকরি ছেড়ে সংসারে মনোযোগ দেন। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হয়নি। ফাইজার আচরণ এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে তিনি সামান্য কথাতেই মায়ের গায়ে হাত তুলতেন। আর মেয়েকে সমর্থন করতেন বাবা মামুন রশীদ। একপর্যায়ে ঘটনাটি ঘটে।
পিবিআই জানায়, কোহিনূর বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামী মামুন রশীদ ধানমন্ডি থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। গত ১৫ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ জানতে পারে কোহিনূরকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এরপর কোহিনূরের ভাই সালাউদ্দিন রহমতুল্লাহ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে মামুন রশীদ ও ফাইজার নাম উল্লেখ করা হয়।
কোহিনূরের ভাই সালাউদ্দিন রহমাতুল্লাহ বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সালাউদ্দিন রহমাতুল্লাহ বলেন, তাঁর চাওয়া এই ঘটনার প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসুক এবং তাঁর বোনের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল কোহিনূর বেগমের মরদেহ। সে সময় তাঁর স্বামী কে বি এম মামুন রশীদ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। কোহিনূরের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় অপমৃত্যুর মামলাও হয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পুলিশ বলছে, কোহিনূর আত্মহত্যা করেননি, থুতনির নিচে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে দায়ের করেন কোহিনূর বেগমের ভাই সালাউদ্দিন রহমাতুল্লাহ। মামলাটি এখন তদন্ত করছে পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ। মামলায় কোহিনূরের স্বামী ও তাঁর পালিত মেয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অর্গানাইজড ক্রাইমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম বলেন, ‘হত্যা মামলা হওয়ার পর মামুন রশীদ ও তাঁদের পালিত মেয়েকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। কোহিনূরের স্বামী ও মেয়েকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত শেষে এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।’
কোহিনূর বেগম শহীদ পরিবারের সন্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি অনুষদ থেকে স্নাতকোত্তর করে তিনি স্বনামধন্য একাধিক ওষুধ কোম্পানিতে কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর স্বামী কে বি এম মামুন রশীদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এবং পালিত মেয়ে ফাইজা নূর রশীদ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র বাংলাদেশ-আইসিডিডিআরবি ঢাকার কর্মকর্তা।
মামলার এজাহার ও পিবিআই সূত্র বলছে, চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের নিজ বাসায় ঘটনাটি ঘটে। সে বাসায় কোহিনূর তাঁর স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন।
কোহিনূরের স্বজনেরা বলেন, বিয়ের কয়েক বছর হয়ে গেলেও কোহিনূর মা হতে পারছিলেন না। তখন তিনি ফাইজা নামের এক মেয়েকে দত্তক নেন। এর মধ্যেই কোহিনূর নিজে এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। কোহিনূর বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করায় দুই সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে সন্তানেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এই অবস্থা দেখে কোহিনূর চাকরি ছেড়ে সংসারে মনোযোগ দেন। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হয়নি। ফাইজার আচরণ এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে তিনি সামান্য কথাতেই মায়ের গায়ে হাত তুলতেন। আর মেয়েকে সমর্থন করতেন বাবা মামুন রশীদ। একপর্যায়ে ঘটনাটি ঘটে।
পিবিআই জানায়, কোহিনূর বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামী মামুন রশীদ ধানমন্ডি থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। গত ১৫ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ জানতে পারে কোহিনূরকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এরপর কোহিনূরের ভাই সালাউদ্দিন রহমতুল্লাহ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে মামুন রশীদ ও ফাইজার নাম উল্লেখ করা হয়।
কোহিনূরের ভাই সালাউদ্দিন রহমাতুল্লাহ বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সালাউদ্দিন রহমাতুল্লাহ বলেন, তাঁর চাওয়া এই ঘটনার প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসুক এবং তাঁর বোনের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক।
রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের শৌচাগারে এক কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। মাসুদ রানা (৩৪) নামের ওই কনস্টেবল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানাচ্ছে। আজ রোববার সকালে ব্যারাকের শৌচাগারে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মাসুদ রানা রাজশাহীর বাগমারা থানার যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত
৩০ মিনিট আগেরাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে মোহাম্মদ মুঈদ (৩২) ও স্ত্রী আইরিন আক্তার রত্না (৩৫) নামে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে ওয়ারী থানার ওয়ার স্ট্রিটের জমজম টাওয়ারের পাঁচতলার একটি বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
৩১ মিনিট আগেগত ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আহত করা, ভিসিসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও প্রতিটি বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হলে শিক্ষকেরা পাঠদানে ফিরবেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেঘটনাটি ঘটেছে নগরের বোয়ালিয়া থানা থেকে মাত্র প্রায় ৪০০ মিটার দূরে। মোটরসাইকেলে আসা দুই ছিনতাইকারী রিকশা থামিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই ছিনতাই করে।
১ ঘণ্টা আগে