Ajker Patrika

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উৎকণ্ঠায় পিরোজপুরের নদীপাড়ের মানুষ

পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, ১৭: ০১
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উৎকণ্ঠায় পিরোজপুরের নদীপাড়ের মানুষ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড় রিমাল রূপ নেওয়ায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পিরোজপুরে। আজ শনিবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ ও ভ্যাপসা গরম পড়ছে। ফলে ভ্যাপসা গরমে জনজীবন হয়ে পড়ছে বিপর্যস্ত। সব মিলিয়ে এখানে একটা গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। দুপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। কঁচা, বলেশ্বর, কালীগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর পানি জোয়ারে এক থেকে দেড় ফুট বেড়েছে। উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বাড়ছে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নদীপাড়ের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে। 

জেলা ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা মঠবাড়িয়ার মাঝেরচর, বড়মাছুয়া, সাপলেজা ও ইন্দুরকানী উপজেলার সাঈদখালী চর এলাকায় মানুষের মধ্যে অনেকটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়া ভান্ডারিয়া ও কাউখালী উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। এসব এলাকার অনেকেই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসন উপকূল এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিতে চেষ্টা করছে। 

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় জেলার ৭টি উপজেলায় ৩৯৫টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় ২ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। ৭ উপজেলায় ৬০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া সিপিবির ৭ হাজার ২০০ এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব স্বেচ্ছাসেবক উপকূল এলাকায় মাইকিং করাসহ তাঁদের কার্যক্রম অনেকটাই শুরু করেছে। 

তবে নদীপাড়ের মানুষের মাঝে ভয় কাজ করছে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায়। জেলায় ৩৩৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত রয়েছে। তাই আতঙ্কের মধ্যে আছে মঠবাড়িয়া ভান্ডারিয়া ইন্দুরকানী উপকূল এলাকার মানুষজন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপকূলীয় এলাকায় মানুষের তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্র কম। এ ছাড়া অনেক আশ্রয়কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সেখানে নেই বিদ্যুৎ ও পানির সুব্যবস্থা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত