প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব এসেছে। রিমালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধের। এছাড়া উপকূলীয় মৎস্য সম্পদেরও বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার মাছের ঘের নষ্ট হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য বেড়িবাঁধ, রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কৃষি উপকরণ ও খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছে বাংলাদেশ কৃষক লীগ। আজ রোববার বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজার ও মহিরপুর থানার রাখাইন সম্প্রদায়ের কৃষক
ঘূর্ণিঝড় রিমালের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও ঝালকাঠি সদর উপজেলা ও কাঠালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়নি। এখনো বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন হাজারো গ্রাহক। তবে দু-এক দিনের মধ্যে সব জায়গায় লাইন চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
ঘূর্ণিঝড় রিমালে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ৩২ হাজার ৯৫৯ হেক্টর চিংড়ির ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘেরগুলোতে চাষ করা ৭ হাজার ৬৩০ টন চিংড়ি, ১ হাজার ১৭১ লাখ চিংড়ি পোনা, ১৫ হাজার ৫৭৮ টন সাদা মাছ ও ১৭২ টন কুঁচে ভেসে গেছে।