Ajker Patrika

‘এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারলে আত্মহত্যা করব’

প্রতিনিধি, সিদ্ধিরগঞ্জ
‘এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারলে আত্মহত্যা করব’

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারলে আত্মহত্যা করবে বলে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জের এক ছাত্র। আজ রোববার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের শিক্ষার্থী তানভীন ইসলাম জেলা প্রশাসকের কাছে এ আবেদন করেন।

আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমি গিয়াস উদ্দীন ইসলামিক মডেল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র (রোল নং-২১১৬২)। আমি করোনাকালীন সময়ে অসুস্থ থাকায় দীর্ঘ দিন যাবৎ অনলাইন ক্লাস করতে পারিনি। এ বিষয়ে আমার বাবা আমার পরীক্ষার জন্য অনুরোধ করার জন্য ডাক্তারি কাগজপত্র নিয়ে কলেজে যাওয়ার পর আমার বাবাকে অপমান করে কলেজের অধ্যক্ষ। তবে অনলাইন ক্লাস না করলেও আমি প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছি। কিন্তু আমার অনলাইন ক্লাস অনুপস্থিতির কারণে এবং আমার বাবার সঙ্গে তর্কের জেদ ধরে আমার পরীক্ষার ফরম পূরণ বাতিল করে দেয় কলেজ অধ্যক্ষ এবং আমাকে কলেজে ডেকে জানায়, আমি এ বছর আর পরীক্ষা দিতে পারব না। আমি তখন কলেজ থেকে বের হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। তখন আমার সঙ্গে আমার পূর্ব পরিচিত মো. দ্বীন ইসলাম ভাইয়ের দেখা হলে তিনি আমাকে আমার মন খারাপের কথা জিজ্ঞেস করেন। আমি তাঁকে বিষয়টি বলার পর তিনি আমার হয়ে অধ্যক্ষকে অনুরোধ করতে গেলে তাঁকেও অপমান করে বের করে দেয়। 

আবেদনপত্রে তিনি আরও জানান, এ বছর যদি আমাকে পরীক্ষার জন্য সুযোগ না দেওয়া হয় তাহলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো  উপায় থাকবে না। এ জন্য ওই ছাত্র জেলা প্রশাসকের কাছে ফরম পূরণের সুযোগ দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার অনুরোধ জানায় ওই আবেদনে। 

এ বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র তানভীন ইসলাম জানান, তুচ্ছ একটি তর্ককে কেন্দ্র করে আমার একটি বছর নষ্ট করে দিচ্ছে অধ্যক্ষ স্যার। 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ-সম্পাদক দ্বীন ইসলাম জানান, আমার সঙ্গে অধ্যক্ষ স্যারের কথাবার্তা, এবং ওই সময়ের কলেজের সকল ভিডিও ফুটেজ শব্দসহ তদন্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে। তাহলেই অধ্যক্ষ স্যারের মুখোশ উন্মোচিত হবে বলে জানান তিনি। 

ওই ছাত্রের ফরম পূরণ কেন করতে দেওয়া  হলো না জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান যে নির্দেশ দেবে আমি তাই পালন করব। 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, আবেদনপত্রটি এখনো আমার হাতে আসেনি। আবেদনপত্র হাতে পেলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

উল্লেখ্য, গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের ওই শিক্ষার্থী (তানভীন ইসলাম) গিয়াস উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পিএসসি, জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত