নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
একই সময় কাছাকাছি স্থানে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই চাপা উত্তেজনা ছিল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশের দূতাবাসগুলো বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরব হওয়ায় রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো তাদের নজরে রয়েছে ধরে নিয়ে সংঘাত না হওয়ার বিষয়ে আশাবাদীও ছিলেন সাধারণ মানুষ।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংঘাতে জড়িয়েছে উভয় দল। বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। কাকরাইল থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত সংঘাতে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, চালানো হয়েছে ভাঙচুর। পুলিশের গাড়ি এবং পুলিশ হাসপাতালেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। প্রতিবাদে রোববার হরতাল ডেকেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন।
রাজধানীতে এমন রাজনৈতিক সংঘাত নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাঁরা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন শঙ্কায় আছেন, তেমনই দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অনাস্থা ও অবিশ্বাসের কারণে ক্রমেই সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আরামবাগ মোড়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ফকিরাপুলের একটি প্রেসের কর্মচারী আহসান মণ্ডল। পুরো ঘটনার সময় তিনি অফিসে ছিলেন, আতঙ্কে বাইরে বের হননি। ফলে কিছুই দেখেননি। তবে অফিস থেকে বের হয়ে পরিচিত আরামবাগ ও কমলাপুরের অপরিচিত রূপ দেখে বিস্মিত হয়েছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি অল্প কথায় বলেন, ‘বুঝতেয়াছি না, কিছুই বুঝতেয়াছি না। কিচ্ছু কওয়ার নাই!’
মো. বাদল মিয়া নামে এক রিকশাচালক পুরো সংঘর্ষের ভিডিও তিনি মোবাইল ফোনে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘এডি কওন যায় না। আইজকার এই ঘটনার জন্যে আওয়ামী লীগ দায়ী। নিজেগো মইধ্যে মীমাংসা কইরা নিলেই হইতো। এত আগুন, আহত, নিহত তাইলে আর হইতো না। এডি লস, পাবলিকের লস। দুই পক্ষ মিল্ল্যা একটা নির্বাচন করুক সুন্দর মতো, সুস্থ মতো। যে দলের কিসমতে থাকব, হেই দল ক্ষমতা পাইব। আওয়ামী লীগ একটু নরম হইলে এডি হইতো না।’
হাতে ফিটিংস পাইপ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন ফিটিংস মিস্ত্রি মো. ফিরোজ আলী। তিনি বলেন, ‘তত্ত্ববধায়ক সরকার না দিলে এই সমস্যার সমাধান হইব না। আর আওয়ামী লীগ এইটা দিব না। এহন যেইটা বুঝতাছি ওরাও ক্ষমতা থাইকা নামবো না, আর এরাও ছাড়ব না।’
একই সময় কাছাকাছি স্থানে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই চাপা উত্তেজনা ছিল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশের দূতাবাসগুলো বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরব হওয়ায় রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো তাদের নজরে রয়েছে ধরে নিয়ে সংঘাত না হওয়ার বিষয়ে আশাবাদীও ছিলেন সাধারণ মানুষ।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংঘাতে জড়িয়েছে উভয় দল। বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। কাকরাইল থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত সংঘাতে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, চালানো হয়েছে ভাঙচুর। পুলিশের গাড়ি এবং পুলিশ হাসপাতালেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। প্রতিবাদে রোববার হরতাল ডেকেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন।
রাজধানীতে এমন রাজনৈতিক সংঘাত নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাঁরা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন শঙ্কায় আছেন, তেমনই দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অনাস্থা ও অবিশ্বাসের কারণে ক্রমেই সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আরামবাগ মোড়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ফকিরাপুলের একটি প্রেসের কর্মচারী আহসান মণ্ডল। পুরো ঘটনার সময় তিনি অফিসে ছিলেন, আতঙ্কে বাইরে বের হননি। ফলে কিছুই দেখেননি। তবে অফিস থেকে বের হয়ে পরিচিত আরামবাগ ও কমলাপুরের অপরিচিত রূপ দেখে বিস্মিত হয়েছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি অল্প কথায় বলেন, ‘বুঝতেয়াছি না, কিছুই বুঝতেয়াছি না। কিচ্ছু কওয়ার নাই!’
মো. বাদল মিয়া নামে এক রিকশাচালক পুরো সংঘর্ষের ভিডিও তিনি মোবাইল ফোনে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘এডি কওন যায় না। আইজকার এই ঘটনার জন্যে আওয়ামী লীগ দায়ী। নিজেগো মইধ্যে মীমাংসা কইরা নিলেই হইতো। এত আগুন, আহত, নিহত তাইলে আর হইতো না। এডি লস, পাবলিকের লস। দুই পক্ষ মিল্ল্যা একটা নির্বাচন করুক সুন্দর মতো, সুস্থ মতো। যে দলের কিসমতে থাকব, হেই দল ক্ষমতা পাইব। আওয়ামী লীগ একটু নরম হইলে এডি হইতো না।’
হাতে ফিটিংস পাইপ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন ফিটিংস মিস্ত্রি মো. ফিরোজ আলী। তিনি বলেন, ‘তত্ত্ববধায়ক সরকার না দিলে এই সমস্যার সমাধান হইব না। আর আওয়ামী লীগ এইটা দিব না। এহন যেইটা বুঝতাছি ওরাও ক্ষমতা থাইকা নামবো না, আর এরাও ছাড়ব না।’
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৩৯ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৭ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৮ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৯ ঘণ্টা আগে