নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ ৪–আসনের এমপি শামীম ওসমানের ডাকা একটি মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিব্রত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এজন্য জাতীয় সংসদে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন।
আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী স্টেডিয়ামে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধে করণীয় ঠিক করতে আয়োজিত সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি। এতে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ সময় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য সবাইকে নিয়ে ‘প্রত্যাশা’ নামক সংগঠনের ব্যানার প্রকাশ করেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ভূমিদস্যুতা বন্ধের জন্য আজকের আয়োজন করা হয়েছে। আমি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে দাওয়াত দিয়েছি। সেই ভয়েস মেসেজও আমার কাছে আছে। কিন্তু তাঁরা আসলেন না। রাজনৈতিক জীবনের এই ৪৫ বছরে আজকের মতো এত বিব্রত হইনি। তাঁরা কেন আসেননি তা সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন রাখব, যারা নারায়ণগঞ্জে জনগণের চাকরি করতে এসেছেন তাঁরা কেন আসেননি।’
তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন আমার নাম শামীম ওসমান। আমি কারও দয়া দাক্ষিণ্যে চলার লোক না। আমি রাজপথের মানুষ। মাথা নোয়াবার মানুষ নই আমি। প্রতিষ্ঠা হতে যাওয়া ‘প্রত্যাশা’র সাড়ে চার লাখ লোক রাস্তায় নেমে যদি বলে, আমরা নারায়ণগঞ্জে অমুককে চাই না, তাহলে কিন্তু কেউ থাকতে পারবেন না। অনেকেই অনেক কিছু করেন, আমরা সব দেখি। নারায়ণগঞ্জের টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়ীতে, আর কেস দেখান ফতুল্লাতে। আমাদের নারায়ণগঞ্জ আমরাই ঠিক করব।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ এসে অনেকেই সুযোগ নিচ্ছেন। প্রেসক্লাবে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনের কথা বলেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। আমি অবশ্যই থাকব সেখানে। আমার ছোট বোন মেয়র আইভীসহ অন্যদেরও বলতে চাই, তাঁরাও যেন আসেন। প্রকৃত সাংবাদিকেরা আমাকে কথা দিয়েছেন তাঁরা এই কাজের সঙ্গে আছেন। আজকের অনুষ্ঠানের জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াতকে নিজে টেলিফোন করেছি। উনি বলেছেন, কেন্দ্রের পারমিশন পেলে উনি আসবেন। চরমোনাই নেতাদেরও দাওয়াত করেছি। নাসিক মেয়রকেও দাওয়াত দিয়েছিলাম, হয়তো ব্যক্তিগত কারণে আসতে পারেননি তিনি।’
প্রত্যাশা সংগঠন থেকে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ী শক্তিশালী। ওদেরকে দুর্বল ভাববেন না। ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন না। যে মাদক খায় সে অসুস্থ, যে বেচে সে ইবলিশ শয়তান। আমরা মেডিকেল ক্যাম্প করব ঢাকা থেকে বড় বড় চিকিৎসক নিয়ে এসে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ ৪–আসনের এমপি শামীম ওসমানের ডাকা একটি মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিব্রত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এজন্য জাতীয় সংসদে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন।
আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী স্টেডিয়ামে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধে করণীয় ঠিক করতে আয়োজিত সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি। এতে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ সময় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য সবাইকে নিয়ে ‘প্রত্যাশা’ নামক সংগঠনের ব্যানার প্রকাশ করেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ভূমিদস্যুতা বন্ধের জন্য আজকের আয়োজন করা হয়েছে। আমি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে দাওয়াত দিয়েছি। সেই ভয়েস মেসেজও আমার কাছে আছে। কিন্তু তাঁরা আসলেন না। রাজনৈতিক জীবনের এই ৪৫ বছরে আজকের মতো এত বিব্রত হইনি। তাঁরা কেন আসেননি তা সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন রাখব, যারা নারায়ণগঞ্জে জনগণের চাকরি করতে এসেছেন তাঁরা কেন আসেননি।’
তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন আমার নাম শামীম ওসমান। আমি কারও দয়া দাক্ষিণ্যে চলার লোক না। আমি রাজপথের মানুষ। মাথা নোয়াবার মানুষ নই আমি। প্রতিষ্ঠা হতে যাওয়া ‘প্রত্যাশা’র সাড়ে চার লাখ লোক রাস্তায় নেমে যদি বলে, আমরা নারায়ণগঞ্জে অমুককে চাই না, তাহলে কিন্তু কেউ থাকতে পারবেন না। অনেকেই অনেক কিছু করেন, আমরা সব দেখি। নারায়ণগঞ্জের টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়ীতে, আর কেস দেখান ফতুল্লাতে। আমাদের নারায়ণগঞ্জ আমরাই ঠিক করব।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ এসে অনেকেই সুযোগ নিচ্ছেন। প্রেসক্লাবে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনের কথা বলেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। আমি অবশ্যই থাকব সেখানে। আমার ছোট বোন মেয়র আইভীসহ অন্যদেরও বলতে চাই, তাঁরাও যেন আসেন। প্রকৃত সাংবাদিকেরা আমাকে কথা দিয়েছেন তাঁরা এই কাজের সঙ্গে আছেন। আজকের অনুষ্ঠানের জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াতকে নিজে টেলিফোন করেছি। উনি বলেছেন, কেন্দ্রের পারমিশন পেলে উনি আসবেন। চরমোনাই নেতাদেরও দাওয়াত করেছি। নাসিক মেয়রকেও দাওয়াত দিয়েছিলাম, হয়তো ব্যক্তিগত কারণে আসতে পারেননি তিনি।’
প্রত্যাশা সংগঠন থেকে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ী শক্তিশালী। ওদেরকে দুর্বল ভাববেন না। ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন না। যে মাদক খায় সে অসুস্থ, যে বেচে সে ইবলিশ শয়তান। আমরা মেডিকেল ক্যাম্প করব ঢাকা থেকে বড় বড় চিকিৎসক নিয়ে এসে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমুখ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে