Ajker Patrika

আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুকুর দখল মুক্তের দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধি, ধামরাই
আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুকুর দখল মুক্তের দাবিতে মানববন্ধন

ঢাকার ধামরাইয়ে আদর্শ গ্রামের (সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র) তিনটি পুকুর অবৈধ ভাবে দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুকুর তিনটি দখল মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বালিয়া ইউনিয়নের উত্তর বাস্তা ৩ নম্বর আদর্শ গ্রামের বাসিন্দারা। 

আজ শুক্রবার ১২টার দিকে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা বাজার সংলগ্ন ব্রিজে এ মানববন্ধন করেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা এলাকার কয়েকজনের নামে অভিযোগ তোলান। 

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের আমছুমুড় নয়াপাড়া এলাকার মৃত মো. খালেকের ছেলে মো. দাউদ (৫০), মৃত রাইজুদ্দীনের ছেলে মাঠু (৪৭) ও আব্দুর রশিদ (৫০), মৃত চান মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০)। 

মানববন্ধনে উত্তর বাস্তা ৩ নম্বর আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, `আমরা ১৫ / ২০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি। সরকার এই আদর্শ গ্রাম তৈরি করার সময় তিনটি পুকুর কেটে সেই মাটি দিয়ে ভরাট করে আদর্শ গ্রামের ঘর তৈরি করেন। প্রথম থেকেই পুকুর তিনটি আমাদের ভোগ করার কথা থাকলেও তা স্থানীয় লোকজনদের ভোগদখলে আছে। এমনকি তাঁরা আমাদের একটি পুকুরেও নামতে দেয় না। গোসল করতে গেলে তাঁরা আমাদের বাঁধা দেয়। আমাদের গৃহপালিত হাঁসও পুকুরে নামতে পারে না তাড়িয়ে দেয় তাঁরা। 

দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, `পুকুর তিনটি দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করে আমাদের মসজিদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হোক। আমরা যেন পুকুর গুলো ব্যবহার করতে পারি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার পরিবারসহ আমাকে আমার ভাতিজা সাগর উদ্দিন কে (৩০) বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে তাঁরা। এ কারণে আমি আমাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য থানায় একটি জিডি করেছি।' 

অভিযুক্ত মো. দাউদ জানান, এই পুকুরের অর্ধেক জমি আমাদের নামে রেকর্ড করা। আমরাই পুকুর খাইতেছি। কয় বছর ধরে ওই জমিতে আপনারা ভোগদখলে আছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, `২০ বছর ধরে আমরা ভোগদখলে আছি। যে দিন থেকে আদর্শ গ্রাম হইছে সেদিন থেকেই আমরা ভোগদখলে আছি। ওই জমি আমাদের।' 

অভিযোগের বিষয়ে ধামরাই কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, `আদর্শ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন নামে একজন অভিযোগ করেছিলেন তাঁকে স্থানীয় কয়েকজন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। অভিযোগ পাওয়ার পরে আমি দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলি। তখন তাঁরা বলেছিল যে আমরা এই বিষয়টি নিজেরাই বসে মিটিয়ে ফেলব। এর পরে আমাকে আর কেও কিছু বলেনি।' 

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, `আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত