Ajker Patrika

‘বড় সাহেব'–এর ওজন ৩৫ মণ

প্রতিনিধি, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) 
‘বড় সাহেব'–এর ওজন ৩৫ মণ

ওঠা-বসায় কিংবা চলাফেরায় ভাবখানা যেন বড় সাহেবের মতো। তাই তো খামারি বিশাল দেহের গরুটির নাম রেখেছেন ‘বড়সাহেব’। ৩৫ মণ ওজনের বড় সাহেব নামের গরুটির নাম এখন সবার মুখে মুখে। অন্যদিকে পিছিয়ে নেই একই খামারে বেড়ে ওঠা ‘মাস্টারসাহেব’ নামের ৩০ মণ ওজনের গরুটিও। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার রসুলপুর গ্রামের জামান এগ্রো ফার্মে ফ্রিজিয়ান জাতের গরু দুটিকে লালন-পালন করছেন সিঙ্গাপুর ফেরত প্রবাসী শরিফুজ্জামান। 

সাদা-কালো রঙের ১০ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার বড়সাহেবের ওজন ১ হাজার ৪০০ কেজি অর্থাৎ ৩৫ মণ। বিশাল দেহের এ গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে একই খামারে বেড়ে ওঠা প্রায় সাড়ে ৯ ফুট লম্বা এবং পৌনে ৭ ফুট উচ্চতার কালো রঙের মাস্টারসাহেবের দাম হাঁকা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। গরু দুটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে লোকজন। 

স্থানীয়দের মতে, এই গরু দুটি ভৈরবসহ আশপাশের জেলা-উপজেলার মধ্যে সবচেয়েও বড় গরু। কোনো ধরনের ক্ষতিকারক ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে সুষম খাবারের মাধ্যমে এই দুটি গরু পালন করেছেন বলে দাবি বিদেশ ফেরত প্রবাসী খামারি শরিফুজ্জামানের। 

খামারি শরিফুজ্জামান জানান, দেশীয় গোখাদ্য অর্থাৎ খড়, ভাতের মাড়, খৈল, কুড়া, ভুসি ও সবুজ কাঁচা ঘাস খাইয়ে বড়সাহেব এবং মাস্টারসাহেবকে লালন-পালন করেছেন। প্রতিদিন দুটি গরুর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে প্রায় দুই হাজার টাকা খরচ হতো। হাঁকা দাম নয়, কাঙ্ক্ষিত দাম পেলেই দুটি গরুই ছেড়ে দেবেন বলে জানান এই খামারি। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভৈরব উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম খান বলেন, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক কোনো ধরনের স্টেরয়েট ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক গোখাদ্যের মাধ্যমে বেড়ে উঠেছে বড়সাহেব এবং মাস্টারসাহেব নামের দুটি গরু। প্রতিনিয়তই আমরা দুটি গরুর খোঁজ রাখছি এবং খামারিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি। ফলে মানুষের জন্য দুটি গরুর মাংসই শতভাগ নিরাপদ হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত