গাজীপুরের শ্রীপুরে সড়ক সংস্কারের পাঁচ মাসের মাথায় ফাটল ও দেবে যেতে শুরু হয়েছে। খসে যাচ্ছে কোনো কোনো স্থানের কার্পেটিং। স্থানীয়দের অভিযোগ—নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে এবং তড়িঘড়ি করে রাস্তা সংস্কারের কারণে সড়কের ফাটল ধরেছে। সেই সঙ্গে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সড়কটিতে খানা–খন্দের সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছে এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা।
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের সংশ্লিষ্টদের দাবি—সড়ক সংস্কারের পর থেকে অতিরিক্ত ওজনের ড্রামট্রাক চলাচলের কারণে সড়কের কয়েকটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার টেংরা গ্রামের বাদশা নগর হাজারী মোড় থেকে টেংরা শিশুপল্লি পাস পর্যন্ত ১৬০০ মিটার সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এ বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়। সংস্কারের পাঁচ মাসের মাথায় পাকা সড়কের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো অংশের কার্পেটিং ঢালাই ইতিমধ্যে উঠে গেছে। দেবে গেছে সড়কটির বেশির ভাগ অংশ। কোনো কোনো স্থানের সড়ক ফুলে উঠেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে রাস্তা কাজ শেষ করা হয়েছে। এ জন্য এত অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তায় ভাঙন শুরু হয়েছে।
টেংরা গ্রামের বাসিন্দার মোহাম্মদ সুনু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুরো রাস্তায় ঘুইরা দেহেন, কি অবস্থা হয়ছে। সকালে রাস্তা করল আর বিকেলে ভাইঙা গেল, এ রকম হয়ছে আর কি! তড়িঘড়ি করে মাটি ভরাট করে তার ওপর ইটের সুরকি আর কার্পেটিং করার কারণে রাস্তা ভাইঙা যাইতাছে। কোনো ভালো মালামাল দেয় নাই রাস্তায়।’
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস ছালামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি সড়কের এই অবস্থা, আর কয়েক মাসপর কী হবে? এভাবেই ভাঙতে থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাস্তায় ব্যাপক খানা–খন্দের সৃষ্টি হবে। এটা এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিকেরা তাদের কর্মস্থলে যাওয়া আসা করে। সড়কটির কাজ একেবারে ভালো হয়নি! যার কারণে এত দ্রুত ফাটলসহ দেবে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ‘রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি শুনেছি। বেশি দিন হয়নি পাকাকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এত তাড়াতাড়ি ভেঙে নষ্ট হওয়ার কারণ কি, খোঁজ খবর নিয়ে এ বিষয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলব।’
‘মেসার্স মাহবুব আলম’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নির্মাণ সামগ্রী নিম্নমানের ব্যবহার করা হয়নি।’
তাহলে কি কারণে এত অল্প সময়ের মধ্যে পাকা সড়ক দেবে যাওয়া ফাটল দেখা দিলো? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই রাস্তায় অতিরিক্ত ওজনের ড্রামট্রাক প্রতিনিয়ত চলাচল করে এ জন্য ফাটল দেখা দিতে পারে। আমি রাস্তার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করব।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রীপুরে বেশির ভাগ সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত ওজনের ড্রামট্রাক চলাচলের ফলে রাস্তায় ভাঙন দেখা দেয়। যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে, তার দেওয়া জামানত রয়েছে। প্রয়োজন হলে খোঁজ খবর নিয়ে জামানতের টাকা দিয়ে রাস্তার নষ্ট হওয়া অংশটুকু পুনরায় সংস্কার করে দেওয়া হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে সড়ক সংস্কারের পাঁচ মাসের মাথায় ফাটল ও দেবে যেতে শুরু হয়েছে। খসে যাচ্ছে কোনো কোনো স্থানের কার্পেটিং। স্থানীয়দের অভিযোগ—নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে এবং তড়িঘড়ি করে রাস্তা সংস্কারের কারণে সড়কের ফাটল ধরেছে। সেই সঙ্গে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সড়কটিতে খানা–খন্দের সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছে এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা।
অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের সংশ্লিষ্টদের দাবি—সড়ক সংস্কারের পর থেকে অতিরিক্ত ওজনের ড্রামট্রাক চলাচলের কারণে সড়কের কয়েকটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার টেংরা গ্রামের বাদশা নগর হাজারী মোড় থেকে টেংরা শিশুপল্লি পাস পর্যন্ত ১৬০০ মিটার সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এ বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়। সংস্কারের পাঁচ মাসের মাথায় পাকা সড়কের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো অংশের কার্পেটিং ঢালাই ইতিমধ্যে উঠে গেছে। দেবে গেছে সড়কটির বেশির ভাগ অংশ। কোনো কোনো স্থানের সড়ক ফুলে উঠেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে রাস্তা কাজ শেষ করা হয়েছে। এ জন্য এত অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তায় ভাঙন শুরু হয়েছে।
টেংরা গ্রামের বাসিন্দার মোহাম্মদ সুনু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুরো রাস্তায় ঘুইরা দেহেন, কি অবস্থা হয়ছে। সকালে রাস্তা করল আর বিকেলে ভাইঙা গেল, এ রকম হয়ছে আর কি! তড়িঘড়ি করে মাটি ভরাট করে তার ওপর ইটের সুরকি আর কার্পেটিং করার কারণে রাস্তা ভাইঙা যাইতাছে। কোনো ভালো মালামাল দেয় নাই রাস্তায়।’
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস ছালামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এত তাড়াতাড়ি সড়কের এই অবস্থা, আর কয়েক মাসপর কী হবে? এভাবেই ভাঙতে থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাস্তায় ব্যাপক খানা–খন্দের সৃষ্টি হবে। এটা এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিকেরা তাদের কর্মস্থলে যাওয়া আসা করে। সড়কটির কাজ একেবারে ভালো হয়নি! যার কারণে এত দ্রুত ফাটলসহ দেবে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, ‘রাস্তা সংস্কারের বিষয়টি শুনেছি। বেশি দিন হয়নি পাকাকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এত তাড়াতাড়ি ভেঙে নষ্ট হওয়ার কারণ কি, খোঁজ খবর নিয়ে এ বিষয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলব।’
‘মেসার্স মাহবুব আলম’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নির্মাণ সামগ্রী নিম্নমানের ব্যবহার করা হয়নি।’
তাহলে কি কারণে এত অল্প সময়ের মধ্যে পাকা সড়ক দেবে যাওয়া ফাটল দেখা দিলো? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই রাস্তায় অতিরিক্ত ওজনের ড্রামট্রাক প্রতিনিয়ত চলাচল করে এ জন্য ফাটল দেখা দিতে পারে। আমি রাস্তার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করব।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রীপুরে বেশির ভাগ সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত ওজনের ড্রামট্রাক চলাচলের ফলে রাস্তায় ভাঙন দেখা দেয়। যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে, তার দেওয়া জামানত রয়েছে। প্রয়োজন হলে খোঁজ খবর নিয়ে জামানতের টাকা দিয়ে রাস্তার নষ্ট হওয়া অংশটুকু পুনরায় সংস্কার করে দেওয়া হবে।’
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় অন্তত ৭৪টি মামলার তদন্ত করছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট—পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসব ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কিছুটা বিপাকে পড়ছেন।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে সফলতার পর এবার আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে নবীন ও উদীয়মান বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার এ্যাস্ট্রা। এই লক্ষ্যে এয়ারবাসের চারটি উড়োজাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এয়ারলাইনসটি। বহরে উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়া সাপেক্ষে চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রচলিত আঞ্চলিক...
৪ ঘণ্টা আগেরংপুরের কাউনিয়ায় মরা তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। খুঁটি নির্মাণের পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও অর্থাভাবে সেতুর বাকি নির্মাণকাজে হাত দেওয়া হয়নি। এতে চরাঞ্চলের ছয় গ্রামের মানুষের উপজেলা সদর ও হারাগাছ পৌর এলাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগ দূর হচ্ছে না।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রায় দেড় মাস ধরে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নীলক্ষেতে প্রধান সড়কের এক পাশের প্রায় পুরোটা বন্ধ করে সুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছে। বাকি অংশ দখল করে রেখেছেন হকাররা। বিপরীত সড়কে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করলেও জনদুর্ভোগ কমেনি। এতে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
৫ ঘণ্টা আগে