Ajker Patrika

রায়পুরায় পল্লিচিকিৎসককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রতিনিধি (রায়পুরা) নরসিংদী
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৪, ২০: ৪৭
Thumbnail image
প্রতীকী ছবি

ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরায় মো. আব্দুল্লাহ (৭০) নামে এক পল্লি পশুচিকিৎসককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার চরাঞ্চলের বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের দিঘলিয়াকান্দি নতুন বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

আজ শনিবার ভোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আব্দুল্লাহ ওই এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে এবং পেশায় পল্লি পশুচিকিৎসক ছিলেন।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে ব্যাডমিন্টন খেলা উপভোগ করেন পল্লিচিকিৎসক আব্দুল্লাহর ছোট ছেলে সজীব (১৫)। খেলার সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সজীব ও একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে আনোয়ারের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয় পক্ষ বাড়িতে ফিরে যায়।

রাত পৌনে ১০টার দিকে আলী হোসেনের লোক ইউপি মেম্বার এরশাদ মিয়া ১০ থেকে ১৫ জন সহযোগী নিয়ে পল্লিচিকিৎসক আব্দুল্লাহ ও তাঁর ছেলের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় আব্দুল্লাহকে কিল-ঘুষি, লাথি ও টর্চলাইটের আঘাতে গুরুতর আহত করে চলে যায়। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে রাসেল মিয়া বলেন, ‘খেলার মাঠে আমার ভাইকে লাথি মারে আনোয়ার। ১০-১৫ জন লোক বাড়িতে এসে আমার বাবা ও ভাইদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের কিল-ঘুষি, লাথি ও টর্চলাইটের আঘাতে আমার বাবার মারা গেছেন।

‘স্থানীয় ইউপি মেম্বার, আলী হোসেন ও লিটন মিয়া আগে থেকেই আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। আজকের ঘটনা এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরেই আমার বাবাকে হত্যা করেছে তারা। আমি বাবা হত্যার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির বলেন, ‘আব্দুল্লাহ নিরপেক্ষ লোক ছিলেন। এর আগে তারা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়াই এমনটা হতে পারে। খেলাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকজন রাতে তার ওপর হামলা করে আহত করে। এটা কোনো মতেই কাম্য নয়।’ এ ব্যাপারে আনোয়ার ও পরিবারের লোকজন আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাত প্রায় পৌনে ১২টায় মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার শরীরে হাতের কনুই ও পেটে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

রায়পুরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার বলেন, ‘মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত