তখন বিকেল ৪টা ২৭ মিনিট। একের পর এক জোরেশোরে হুইসেল বাজিয়ে ময়মনসিংহগামী মালবাহী ট্রেন আসছে। এদিকে শ্রীপুর বরমী আঞ্চলিক সংযোগ সড়কে একের পর এক গণপরিবহন যাতায়াত করছে রেলক্রসিং দিয়ে। ট্রেনের হুইসেল যেন কোনো পরিবহনের চালক ও যাত্রীদের কানে যাচ্ছে না। দায়িত্বে থাকা গেটম্যান জসিম তখন তার ঘরে ছিলেন না। এ সময় রেলক্রসিংয়ের পাশে সাহায্য (টাকা) তোলা অবস্থায় কয়েকজন মাদ্রাসার ছাত্র চিৎকার শুরু করেন। ফলে নিশ্চিত দুর্ঘটনায় হাত থেকে রক্ষা পায় দু-পাশের পরিবহনে থাকা যাত্রীদের প্রাণ।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ পাশে ঘুণ্টিঘর রেলক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ‘গাড়ারন শাহু হুসানিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার’ ছাত্র মোহাম্মদ কাউসার মাহমুদ জানান, একের পর এক হুইসেল দিয়ে একটি ট্রেন আসছিল। তারা বেশ কয়েকজন মিলে মাদ্রাসার টাকা ওঠাচ্ছিল। ঠিক এই সময় গেটম্যান তাঁর ঘর থেকে দূরে ছিলেন। দুই দিক থেকে একের পর এক গণপরিবহন যাতায়াত করছে। ট্রেন দ্রুতগতিতে একেবারে কাছে চলে এলেও তারা যাতায়াত করছে।
এমন সময় পোশাকশ্রমিকবাহী একটি বাস প্রায় রেললাইনে উঠে যাচ্ছিল। এ সময় তারা ‘ট্রেন আসছে, ট্রেন আসছে’ বলে ডাক চিৎকার করে বাসটি থামায়। এর কিছুক্ষণ পর গেটম্যান এসে তড়িঘড়ি করে সিগনাল নামান। সিগনাল নামাতে নামেতে ট্রেনটি পার হয়ে চলে যায়। তারা না থাকলে বেশ কয়েকটি গাড়ি আজ দুর্ঘটনার শিকার হতো, এতে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারত বলে জানায় মাদ্রাসার এই ছাত্র।
তবে শ্রমিকবাহী বাসটি কোন কারখানার তা বলতে পারেনি এই মাদ্রাসাছাত্র।
শ্রীপুর মোহাম্মদ আলী একাডেমির ছাত্র জিসান বিল্লাহ বলে, ‘আমি বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় দেখি মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্ররা ডাকাডাকি করে গাড়ি আটকাচ্ছে। এরপর আমিও ডাকচিৎকার শুরু করি। পরে পাশে আড্ডা দেওয়া গেটম্যান এসে সিগনাল নামানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে ট্রেন সিগনাল পার হয়ে দ্রুত চলে যায়।’
স্থানীয় সমাজকর্মী জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘আমি বাড়ি যাওয়ার পথে বিষয়টি জানতে পারি। এ রকম দায়িত্বে অবহেলার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। এখানে একটি বাঁক থাকার কারণে দূর থেকে রেললাইন দেখতে পান না পাকা সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। মাদ্রাসার ছোট্ট শিশুদের জন্য আজ বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল যাত্রীরা।’
ঘুণ্টিঘর রেলগেটের দায়িত্বে থাকা গেটম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এ সময় কোনো ট্রেন আসার কথা না। হঠাৎ করে ট্রেন চলে আসছে। আমি দৌড়ে এসে গেট নামাই। এটি একটি মালামাল পরিবহনের ট্রেন ছিল। আমি পাশের বাড়িতে অজু করতে গিয়েছিলাম। তাছাড়া এই গেটে কোনো ধরনের টেলিফোনে যোগাযোগ বা মোবাইলে যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই।’
আপনি তো পাশে বসে গল্প করেছিলেন, মাদ্রাসার ছাত্ররা বলছে—এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘এই যাত্রায় মাফ করে দেন।’
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। অন্য একজন দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। দায়িত্ব পালনে এ ধরনের অবহেলা দুঃখজনক। তার অবহেলায় জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। এতিমখানা মাদ্রাসার ছাত্রদের সতর্কতায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
তখন বিকেল ৪টা ২৭ মিনিট। একের পর এক জোরেশোরে হুইসেল বাজিয়ে ময়মনসিংহগামী মালবাহী ট্রেন আসছে। এদিকে শ্রীপুর বরমী আঞ্চলিক সংযোগ সড়কে একের পর এক গণপরিবহন যাতায়াত করছে রেলক্রসিং দিয়ে। ট্রেনের হুইসেল যেন কোনো পরিবহনের চালক ও যাত্রীদের কানে যাচ্ছে না। দায়িত্বে থাকা গেটম্যান জসিম তখন তার ঘরে ছিলেন না। এ সময় রেলক্রসিংয়ের পাশে সাহায্য (টাকা) তোলা অবস্থায় কয়েকজন মাদ্রাসার ছাত্র চিৎকার শুরু করেন। ফলে নিশ্চিত দুর্ঘটনায় হাত থেকে রক্ষা পায় দু-পাশের পরিবহনে থাকা যাত্রীদের প্রাণ।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনের শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ পাশে ঘুণ্টিঘর রেলক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ‘গাড়ারন শাহু হুসানিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার’ ছাত্র মোহাম্মদ কাউসার মাহমুদ জানান, একের পর এক হুইসেল দিয়ে একটি ট্রেন আসছিল। তারা বেশ কয়েকজন মিলে মাদ্রাসার টাকা ওঠাচ্ছিল। ঠিক এই সময় গেটম্যান তাঁর ঘর থেকে দূরে ছিলেন। দুই দিক থেকে একের পর এক গণপরিবহন যাতায়াত করছে। ট্রেন দ্রুতগতিতে একেবারে কাছে চলে এলেও তারা যাতায়াত করছে।
এমন সময় পোশাকশ্রমিকবাহী একটি বাস প্রায় রেললাইনে উঠে যাচ্ছিল। এ সময় তারা ‘ট্রেন আসছে, ট্রেন আসছে’ বলে ডাক চিৎকার করে বাসটি থামায়। এর কিছুক্ষণ পর গেটম্যান এসে তড়িঘড়ি করে সিগনাল নামান। সিগনাল নামাতে নামেতে ট্রেনটি পার হয়ে চলে যায়। তারা না থাকলে বেশ কয়েকটি গাড়ি আজ দুর্ঘটনার শিকার হতো, এতে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারত বলে জানায় মাদ্রাসার এই ছাত্র।
তবে শ্রমিকবাহী বাসটি কোন কারখানার তা বলতে পারেনি এই মাদ্রাসাছাত্র।
শ্রীপুর মোহাম্মদ আলী একাডেমির ছাত্র জিসান বিল্লাহ বলে, ‘আমি বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় দেখি মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্ররা ডাকাডাকি করে গাড়ি আটকাচ্ছে। এরপর আমিও ডাকচিৎকার শুরু করি। পরে পাশে আড্ডা দেওয়া গেটম্যান এসে সিগনাল নামানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে ট্রেন সিগনাল পার হয়ে দ্রুত চলে যায়।’
স্থানীয় সমাজকর্মী জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘আমি বাড়ি যাওয়ার পথে বিষয়টি জানতে পারি। এ রকম দায়িত্বে অবহেলার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। এখানে একটি বাঁক থাকার কারণে দূর থেকে রেললাইন দেখতে পান না পাকা সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। মাদ্রাসার ছোট্ট শিশুদের জন্য আজ বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল যাত্রীরা।’
ঘুণ্টিঘর রেলগেটের দায়িত্বে থাকা গেটম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এ সময় কোনো ট্রেন আসার কথা না। হঠাৎ করে ট্রেন চলে আসছে। আমি দৌড়ে এসে গেট নামাই। এটি একটি মালামাল পরিবহনের ট্রেন ছিল। আমি পাশের বাড়িতে অজু করতে গিয়েছিলাম। তাছাড়া এই গেটে কোনো ধরনের টেলিফোনে যোগাযোগ বা মোবাইলে যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই।’
আপনি তো পাশে বসে গল্প করেছিলেন, মাদ্রাসার ছাত্ররা বলছে—এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘এই যাত্রায় মাফ করে দেন।’
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। অন্য একজন দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। দায়িত্ব পালনে এ ধরনের অবহেলা দুঃখজনক। তার অবহেলায় জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। এতিমখানা মাদ্রাসার ছাত্রদের সতর্কতায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
ঈদুল আজহায় জমে উঠেছে ঢাকা ও আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকে ধীরে ধীরে পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীরা আশা শুরু করে দিয়েছে। কোরবানি ঈদের দিনেই দর্শনার্থীদের সংখ্যাটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পরে লোকসমাগম বেশি হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন
৮ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত এবং একই সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কন্ট্রোল রুমে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এই ঘোষণার কথা জানান।
১৪ মিনিট আগেশেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ডোবায় পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেঈদের চার দিন পর মেয়ের বিয়ে, তাই ঈদের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার অটোচালক জানে আলম। করেছেন আত্মীয়–স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনাও। হঠাৎ ঈদের দিন সকালে লাগা আগুন থেকে কোনো রকম প্রাণে বাঁচলেও সংসারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
২০ মিনিট আগে