হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। অনেকটাই ফাঁকা দ্বীপের প্রধান ইলিশের বাজার চেয়ারম্যানঘাট। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কয়েকটি ট্রলারে ইলিশ আসায় এ ঘাটের আড়তের কিছু গদিতে বিক্রি হচ্ছে, তবে বেশির ভাগ গদিই ফাঁকা পড়ে থাকে সব সময়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেঘনার হাতিয়া অংশে নদী নাব্যতা ও গভীরতা কমে যাওয়ায় ইলিশ মিলছে না।
জেলেরা জানান, হাতিয়ার চারপাশে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। পশ্চিম পাশে মৌলভীর চর থেকে নিঝুম দ্বীপের চরপকিরা পর্যন্ত প্রায় ১০টি ডুবোচর রয়েছে। আবার পূর্ব পাশে ইসলাম চর থেকে শুরু করে দমারচর পর্যন্ত ৮ টির মতো ডুবোচর রয়েছে। মেঘনার এই বিশাল এলাকায় মাছ শিকার করা যায় না। এখানে জাল ফেললে তা ডুবোচরের মধ্যে আটকে যায়।
জেলেদের হাতিয়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। কিন্তু ছোট মাছধরা ট্রলারের পক্ষে তা সম্ভব নয়। এখানে নদী সব সময় উত্তাল থাকে বলেও জানান জেলেরা।
চেয়ারম্যান ঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল বলেন, এ দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা মাছ শিকার। ছোট-বড় ৪১টি ঘাট থেকে মাছ শিকারে যান প্রায় লক্ষাধিক জেলে।
ইসমাইল বলেন, গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে যান জেলেরা। এরই মধ্যে আগামী অক্টোবর মাসে ইলিশের প্রজনন সময়ের জন্য আসছে আরও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম চললেও জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় লোকসানে রয়েছেন জেলেরা। যা মাছ পাচ্ছে এর মধ্যে জাটকার সংখ্যা বেশি।
হাতিয়ার তরমদ্দি ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু মাঝি। তিন সন্তান ও এক কর্মচারীকে নিয়ে ছোট একটি মাছ ধরার ট্রলারে প্রতিদিন মেঘনায় মাছ শিকারে যান।
আবু মাঝি বলেন, এক সময় বাড়ির পশ্চিম পাশে মেঘনা নদীতে জাল ফেললে পাওয়া যেত ছোট-বড় ইলিশ। মৌসুম শেষে খরচ পুষিয়ে লাভের মুখও দেখা যেত। এখন এই অংশে অনেক ডুবোচর জেগেছে। এতে ছোট নৌকা নিয়ে গভীর পানিতে গিয়ে মাছ শিকার করা সম্ভব হয় না। ইলিশ গভীর জলের মাছ, ডুবো চরের কারণে মাছ এসব নদীতে আসে না।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, এই বছর ছোট-বড় সব ফিশিং ট্রলার আশানুরূপ মাছ পায়নি। হাতিয়াতে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকারের মতো প্রায় ৩ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় ৬ হাজার জেলে রয়েছে। ডুবোচরের কারণে এসব ট্রলারগুলোকে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। এতে জ্বালানিসহ বিভিন্ন খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন ইলিশের জীবন চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত দেরিতে শুরু হওয়ায় ইলিশ মাছের প্রজনন ও মাইগ্রেশন পিছিয়ে যাচ্ছে। ইলিশ গভীর পানির মাছ, তাই মেঘনায় নাব্যতা সংকটের কারণেও এ অঞ্চলে কমে যাচ্ছে ইলিশ বলেন হাতিয়া জাহাজমারা আমতলী ঘাটের ফিশিং ট্রলারের মালিক লুৎফুলাহিল নিশান।
ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ায় শুধু জেলেরা নয়, ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা। চেয়ারম্যান ঘাটের সবচেয়ে বড় মাছের আড়তের ব্যবস্থাপক হাবিব বলেন, ইলিশ কম থাকলেও জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণ পোয়া মাছ। তবে এতে মিটবে না ইলিশের ক্ষতি। বেশি দামে হাতিয়ার ঘাট থেকে ইলিশ কিনে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে কম দামে বিক্রি করায় বিশাল লোকসানে আছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানুষ মন্ডল বলেন, ‘ইলিশ গতিময় মাছ। এটা নদী থেকে সাগরে আবার সাগর থেকে নদীতে ভ্রমণ করে। চলাচলের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হলে এরা গভীর সমুদ্রে চলে যায়। হাতিয়ার চারপাশে পলি জমে অসংখ্য চর তৈরি হয়েছে। যা ইলিশের অবস্থানের জন্য বড় বাধা। আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বিষয়ে অনেক সার্ভে করিয়েছি। বিশেষজ্ঞ একাধিক টিম কাজ করছে। তবে অধিক বৃষ্টি হলে নদীতে পানির উচ্চতা বাড়লে এসব নদীতে ভালো মাছ পাওয়া যাবে।’
চলতি মৌসুমে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। অনেকটাই ফাঁকা দ্বীপের প্রধান ইলিশের বাজার চেয়ারম্যানঘাট। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে কয়েকটি ট্রলারে ইলিশ আসায় এ ঘাটের আড়তের কিছু গদিতে বিক্রি হচ্ছে, তবে বেশির ভাগ গদিই ফাঁকা পড়ে থাকে সব সময়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেঘনার হাতিয়া অংশে নদী নাব্যতা ও গভীরতা কমে যাওয়ায় ইলিশ মিলছে না।
জেলেরা জানান, হাতিয়ার চারপাশে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। পশ্চিম পাশে মৌলভীর চর থেকে নিঝুম দ্বীপের চরপকিরা পর্যন্ত প্রায় ১০টি ডুবোচর রয়েছে। আবার পূর্ব পাশে ইসলাম চর থেকে শুরু করে দমারচর পর্যন্ত ৮ টির মতো ডুবোচর রয়েছে। মেঘনার এই বিশাল এলাকায় মাছ শিকার করা যায় না। এখানে জাল ফেললে তা ডুবোচরের মধ্যে আটকে যায়।
জেলেদের হাতিয়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। কিন্তু ছোট মাছধরা ট্রলারের পক্ষে তা সম্ভব নয়। এখানে নদী সব সময় উত্তাল থাকে বলেও জানান জেলেরা।
চেয়ারম্যান ঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল বলেন, এ দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা মাছ শিকার। ছোট-বড় ৪১টি ঘাট থেকে মাছ শিকারে যান প্রায় লক্ষাধিক জেলে।
ইসমাইল বলেন, গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে যান জেলেরা। এরই মধ্যে আগামী অক্টোবর মাসে ইলিশের প্রজনন সময়ের জন্য আসছে আরও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম চললেও জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় লোকসানে রয়েছেন জেলেরা। যা মাছ পাচ্ছে এর মধ্যে জাটকার সংখ্যা বেশি।
হাতিয়ার তরমদ্দি ইউনিয়নের কোরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু মাঝি। তিন সন্তান ও এক কর্মচারীকে নিয়ে ছোট একটি মাছ ধরার ট্রলারে প্রতিদিন মেঘনায় মাছ শিকারে যান।
আবু মাঝি বলেন, এক সময় বাড়ির পশ্চিম পাশে মেঘনা নদীতে জাল ফেললে পাওয়া যেত ছোট-বড় ইলিশ। মৌসুম শেষে খরচ পুষিয়ে লাভের মুখও দেখা যেত। এখন এই অংশে অনেক ডুবোচর জেগেছে। এতে ছোট নৌকা নিয়ে গভীর পানিতে গিয়ে মাছ শিকার করা সম্ভব হয় না। ইলিশ গভীর জলের মাছ, ডুবো চরের কারণে মাছ এসব নদীতে আসে না।
হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন বলেন, এই বছর ছোট-বড় সব ফিশিং ট্রলার আশানুরূপ মাছ পায়নি। হাতিয়াতে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকারের মতো প্রায় ৩ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় ৬ হাজার জেলে রয়েছে। ডুবোচরের কারণে এসব ট্রলারগুলোকে গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করতে হয়। এতে জ্বালানিসহ বিভিন্ন খরচ অনেক বেশি পড়ে যায়।
জলবায়ু পরিবর্তন ইলিশের জীবন চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত দেরিতে শুরু হওয়ায় ইলিশ মাছের প্রজনন ও মাইগ্রেশন পিছিয়ে যাচ্ছে। ইলিশ গভীর পানির মাছ, তাই মেঘনায় নাব্যতা সংকটের কারণেও এ অঞ্চলে কমে যাচ্ছে ইলিশ বলেন হাতিয়া জাহাজমারা আমতলী ঘাটের ফিশিং ট্রলারের মালিক লুৎফুলাহিল নিশান।
ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ায় শুধু জেলেরা নয়, ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা। চেয়ারম্যান ঘাটের সবচেয়ে বড় মাছের আড়তের ব্যবস্থাপক হাবিব বলেন, ইলিশ কম থাকলেও জালে ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমাণ পোয়া মাছ। তবে এতে মিটবে না ইলিশের ক্ষতি। বেশি দামে হাতিয়ার ঘাট থেকে ইলিশ কিনে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে কম দামে বিক্রি করায় বিশাল লোকসানে আছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানুষ মন্ডল বলেন, ‘ইলিশ গতিময় মাছ। এটা নদী থেকে সাগরে আবার সাগর থেকে নদীতে ভ্রমণ করে। চলাচলের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হলে এরা গভীর সমুদ্রে চলে যায়। হাতিয়ার চারপাশে পলি জমে অসংখ্য চর তৈরি হয়েছে। যা ইলিশের অবস্থানের জন্য বড় বাধা। আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বিষয়ে অনেক সার্ভে করিয়েছি। বিশেষজ্ঞ একাধিক টিম কাজ করছে। তবে অধিক বৃষ্টি হলে নদীতে পানির উচ্চতা বাড়লে এসব নদীতে ভালো মাছ পাওয়া যাবে।’
আমের জন্য বিখ্যাত রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাছে গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। এই জেলার চাষিরা বলছেন, এবার আবহাওয়া আম উপযোগী। তবে শঙ্কায় রয়েছেন নওগাঁর কৃষকেরা। আবহাওয়ার কারণে একই গাছে দু-তিনবার মুকুল ফুটছে। যদিও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার আম ভালো হবে।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হাট ইজারার টেন্ডার বাক্স ভেঙে সব দরপত্র লুট করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন ছুরিকাহতও হন। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলার পবা উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের এক ছাত্রকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ ১৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, সনদপত্র বাতিলসহ বিভিন্ন ধরনের সাজা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের ১০৫ সদস্য মিলে ‘বাঁশখালী মৎস্যচাষি সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে সরকারি নিবন্ধন নিয়ে ৬৮ একর মৎস্য প্রকল্প গড়ে তোলেন ১২ বছর আগে। জুলাই আন্দোলনের পর পরিস্থিতি বদলে গেলে স্থানীয় বিএনপির নেতা মোশাররফ হোসেন লাভলুসহ তাঁর সহযোগীরা এ প্রকল্পের দখল নেওয়ার চেষ্টা...
২ ঘণ্টা আগে