চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
অতিবৃষ্টি ও উজানে ঢলে সৃষ্ট বন্যায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ৭৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আজ সোমবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই তথ্য জানায়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য পর্যালোচনা করে এ ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়।
তথ্য মতে, চলতি আমন মৌসুমে বন্যার প্রভাবে উপজেলার চার হাজার ৭১ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ২৪৫ হেক্টর আমন খেত, ৫১২ হেক্টর আমনের বীজতলা, আউশ ৭১২ হেক্টর ও ৬০২ হেক্টর জমির শাক–সবজির পানিতে নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৭৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চকরিয়া উপজেলায় আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর আগে আউশ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ১৬০ হেক্টর। বন্যার আগে সাত হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছিল। বন্যায় উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬৪ হাজার কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
মাঠপর্যায়ের চাষিরা জানান, বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কৃষি বিভাগের করা হিসেবে দ্বিগুণ। আমন, আউশ, আমনের বীজতলা ও শাকসবজির খেত বেশি ক্ষতি হয়েছে। সদ্য রোপণ করা আমনের চারাগাছ, আমনের বীজতলা ও আউশের ধানের ছড়া পানিতে পচে গেছে। এ ছাড়া খেতে নানা প্রজাতির সবজি জমিতে বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়েছে।
কাকারা ইউনিয়নের প্রপার কাকারা কৃষক আলী হোছাইন বলেন, ‘এক একর জমিতে আমনের চারা রোপণ করেছিলাম। রোপণ করার ১৫ দিনের মাথায় বন্যার পানিতে তলিয়ে সব চারা পচে গেছে। এখন নতুন করে আমনের চারা রোপণ ছাড়া কোনো উপায় নেই। কিন্তু চারা কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।’
পৌরসভার আমানপাড়ার ফরিদুল আলম বলেন, ‘দুই একর জমিতে শসা, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, করলা ও বরবটিসহ কয়েক জাতের সবজি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া তিন জাতের শাকও ছিল। এতে আমার তিন লাখ ৮০ হাজার টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় পথে বসেছি।’
ঢেমুশিয়ার আম্মারডেরার কৃষক জাফর আলম বলেন, ‘অতিবৃষ্টির সময় চোয়ারফাঁড়ি ও ছয় কুড়িটিক্কাপাড়া এলাকার স্লুইসগেটে খুলে দেওয়ার জন্য আমরা দাবি তুলে ছিলাম। কিন্তু রাতে অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিয়ে রেখেছিল একটি প্রভাবশালী মহল। মূলত পানি বের হতে না পারায় আমরা বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।’
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার বন্যায় কৃষকের বেশি ক্ষতি হয়েছে। আমরা মাঠপর্যায় থেকে হিসাব করে পেয়েছি প্রায় ৭৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার মতো ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে অবগত করা হয়েছে।’
অতিবৃষ্টি ও উজানে ঢলে সৃষ্ট বন্যায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ৭৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আজ সোমবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই তথ্য জানায়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য পর্যালোচনা করে এ ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়।
তথ্য মতে, চলতি আমন মৌসুমে বন্যার প্রভাবে উপজেলার চার হাজার ৭১ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ২৪৫ হেক্টর আমন খেত, ৫১২ হেক্টর আমনের বীজতলা, আউশ ৭১২ হেক্টর ও ৬০২ হেক্টর জমির শাক–সবজির পানিতে নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৭৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চকরিয়া উপজেলায় আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর আগে আউশ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ১৬০ হেক্টর। বন্যার আগে সাত হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছিল। বন্যায় উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬৪ হাজার কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
মাঠপর্যায়ের চাষিরা জানান, বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কৃষি বিভাগের করা হিসেবে দ্বিগুণ। আমন, আউশ, আমনের বীজতলা ও শাকসবজির খেত বেশি ক্ষতি হয়েছে। সদ্য রোপণ করা আমনের চারাগাছ, আমনের বীজতলা ও আউশের ধানের ছড়া পানিতে পচে গেছে। এ ছাড়া খেতে নানা প্রজাতির সবজি জমিতে বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়েছে।
কাকারা ইউনিয়নের প্রপার কাকারা কৃষক আলী হোছাইন বলেন, ‘এক একর জমিতে আমনের চারা রোপণ করেছিলাম। রোপণ করার ১৫ দিনের মাথায় বন্যার পানিতে তলিয়ে সব চারা পচে গেছে। এখন নতুন করে আমনের চারা রোপণ ছাড়া কোনো উপায় নেই। কিন্তু চারা কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।’
পৌরসভার আমানপাড়ার ফরিদুল আলম বলেন, ‘দুই একর জমিতে শসা, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, করলা ও বরবটিসহ কয়েক জাতের সবজি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া তিন জাতের শাকও ছিল। এতে আমার তিন লাখ ৮০ হাজার টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় পথে বসেছি।’
ঢেমুশিয়ার আম্মারডেরার কৃষক জাফর আলম বলেন, ‘অতিবৃষ্টির সময় চোয়ারফাঁড়ি ও ছয় কুড়িটিক্কাপাড়া এলাকার স্লুইসগেটে খুলে দেওয়ার জন্য আমরা দাবি তুলে ছিলাম। কিন্তু রাতে অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিয়ে রেখেছিল একটি প্রভাবশালী মহল। মূলত পানি বের হতে না পারায় আমরা বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।’
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার বন্যায় কৃষকের বেশি ক্ষতি হয়েছে। আমরা মাঠপর্যায় থেকে হিসাব করে পেয়েছি প্রায় ৭৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার মতো ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আর্থিক ক্ষতির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে অবগত করা হয়েছে।’
মাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
১২ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
৩৮ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
৪০ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে