সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সেনবাগে ব্যক্তি উদ্যোগে ১০ জোড়া যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ১০ হাজার মানুষের জন্য মেজবানি খাবারের আয়োজন করা হয়। এছাড়া স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বরের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয় ও কনেদের পরিয়ে দেওয়া হয় আট আনা স্বর্ণের চেইন।
আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের ভূঁঞা বাড়িতে মুসলিম রীতিতে এ গণবিয়ের আয়োজন করা হয়। পুরো আয়োজনের অর্থায়ন করেন সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজিএমই পরিচালক ও টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগ দেন। বিয়ে উপলক্ষে দৌলতপুর গ্রামে ছিল সাজ সাজ রব। আনন্দ, উৎসবের কোনো কমতি ছিল না আয়োজনে। বিয়ের একদিন আগে বিতরণ করা হয় বর-কনের সাজের কাপড়সহ ফুল সাজানি। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান খাওয়ানো হয় বর-কনের আত্মীয় স্বজনসহ ১০ হাজার মানুষকে।
স্থানীয় কাউন্সিলর বেলাল হোসেন বলেন, ‘এমন বিয়ে আগে কখনো দেখিনি। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ এসেছে। রাকিব সাহেব আগে থেকেই এলাকায় দান অনুদান দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার ১০ জোড়া বিয়ে দিয়ে নতুন রেকর্ড করলেন।’
ডমুরুয়া ইউনিয়নের কাজী সাকের হোসেন বলেন, ‘১০ জোড়া অসহায় বর কনের গণবিয়ে দেওয়া নোয়াখালীতে এবারই প্রথম। যার ফলে আয়োজক আবদুল্লাহ হিল রাকিব সাহেব দুনিয়া ও আখিরাতে প্রতিদান পাবেন।’
মূল অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক গিয়াস উদ্দিন বিল্লাহ সোহেল আজকের পত্রিকাকে জানান, আগামী দিনগুলোতে মানবিক এ কাজ অব্যাহত থাকবে।
ডমুরুয়া ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্প মুজিবনগরের বাসিন্দা বর মো. সুমন বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী সালমা আক্তার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা। আমাদের সামর্থ্য ছিল না এমনভাবে বিয়ের ব্যবস্থা করার। রাকিব স্যার এমন আয়োজন করেছেন এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণ উপহার দিয়েছেন। আমাদের জন্য আপনারা দোয়া করবেন।’
সেনবাগ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কনে কহিনূর বেগম বলেন, ‘আমার বিয়ের জন্য এমন আয়োজন হবে তা আমি কখনো ভাবিনি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমি অনেক খুশি। এমন মুহূর্ত যাদের আসে কেবল তারাই বুঝতে পারে।’
কাবিলপুরের কনে বিবি ফাতেমার বাবা মো. আলম বলেন, ‘আমি বাবা হয়েও যে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি রাকিব সাহেব সে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এখন আমার ছেলের অভিভাবক। যে মেয়েকে আমরা আজ ঘরে নিচ্ছি সে আমাদের মতোই ঘরে থাকবে। আমরা যা খাব তাই খাওয়াব। আপনারা তাঁদের জন্য দোয়া করবেন।’
গণবিয়ের আহ্বায়ক সাংবাদিক এম এ আউয়াল বলেন, ‘আমরা খুঁজে খুঁজে হতদরিদ্র ১০ জোড়া বর কনেকে বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাও রয়েছেন। রাকিব সাহেব যা করেছেন তা সেনবাগের ইতিহাসে কখনো হয়নি। তিনি এক সঙ্গে ১০ হাজার মানুষের মেজবানির আয়োজন করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল বলেন, ‘দেশে অনেক শিল্পপতি আছেন কিন্তু তাঁদের মন নেই। রাকিব সাহেবের সেই মন আছে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। আশা করি আগামী দিনেও এমন মানবিক কাজের ধারা অব্যাহত রাখবেন।’
গণবিয়ের আয়োজক আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘সামাজিক মূল্যবোধ ও দায়বদ্ধতা থেকেই এই আয়োজন করা হয়েছে। আল্লাহ পাক কাউকে সামর্থ্য দিয়ে পরীক্ষা করেন কাউকে না দিয়ে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ যাকে সামর্থ্য দিয়েছে তাঁর দায়িত্ব হলো যাকে আল্লাহ সামর্থ্য দেননি তাঁকে সাহায্য করা। নিয়ত করেছি আগামীতেও আমাদের সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সহায়তা দিয়ে যাব।’
এ সময় টিম গ্রুপের মহা ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল নকিব, ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কাননসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।
নোয়াখালীর সেনবাগে ব্যক্তি উদ্যোগে ১০ জোড়া যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ১০ হাজার মানুষের জন্য মেজবানি খাবারের আয়োজন করা হয়। এছাড়া স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বরের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয় ও কনেদের পরিয়ে দেওয়া হয় আট আনা স্বর্ণের চেইন।
আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের ভূঁঞা বাড়িতে মুসলিম রীতিতে এ গণবিয়ের আয়োজন করা হয়। পুরো আয়োজনের অর্থায়ন করেন সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজিএমই পরিচালক ও টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগ দেন। বিয়ে উপলক্ষে দৌলতপুর গ্রামে ছিল সাজ সাজ রব। আনন্দ, উৎসবের কোনো কমতি ছিল না আয়োজনে। বিয়ের একদিন আগে বিতরণ করা হয় বর-কনের সাজের কাপড়সহ ফুল সাজানি। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান খাওয়ানো হয় বর-কনের আত্মীয় স্বজনসহ ১০ হাজার মানুষকে।
স্থানীয় কাউন্সিলর বেলাল হোসেন বলেন, ‘এমন বিয়ে আগে কখনো দেখিনি। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ এসেছে। রাকিব সাহেব আগে থেকেই এলাকায় দান অনুদান দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার ১০ জোড়া বিয়ে দিয়ে নতুন রেকর্ড করলেন।’
ডমুরুয়া ইউনিয়নের কাজী সাকের হোসেন বলেন, ‘১০ জোড়া অসহায় বর কনের গণবিয়ে দেওয়া নোয়াখালীতে এবারই প্রথম। যার ফলে আয়োজক আবদুল্লাহ হিল রাকিব সাহেব দুনিয়া ও আখিরাতে প্রতিদান পাবেন।’
মূল অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক গিয়াস উদ্দিন বিল্লাহ সোহেল আজকের পত্রিকাকে জানান, আগামী দিনগুলোতে মানবিক এ কাজ অব্যাহত থাকবে।
ডমুরুয়া ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্প মুজিবনগরের বাসিন্দা বর মো. সুমন বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী সালমা আক্তার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা। আমাদের সামর্থ্য ছিল না এমনভাবে বিয়ের ব্যবস্থা করার। রাকিব স্যার এমন আয়োজন করেছেন এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণ উপহার দিয়েছেন। আমাদের জন্য আপনারা দোয়া করবেন।’
সেনবাগ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কনে কহিনূর বেগম বলেন, ‘আমার বিয়ের জন্য এমন আয়োজন হবে তা আমি কখনো ভাবিনি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমি অনেক খুশি। এমন মুহূর্ত যাদের আসে কেবল তারাই বুঝতে পারে।’
কাবিলপুরের কনে বিবি ফাতেমার বাবা মো. আলম বলেন, ‘আমি বাবা হয়েও যে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি রাকিব সাহেব সে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এখন আমার ছেলের অভিভাবক। যে মেয়েকে আমরা আজ ঘরে নিচ্ছি সে আমাদের মতোই ঘরে থাকবে। আমরা যা খাব তাই খাওয়াব। আপনারা তাঁদের জন্য দোয়া করবেন।’
গণবিয়ের আহ্বায়ক সাংবাদিক এম এ আউয়াল বলেন, ‘আমরা খুঁজে খুঁজে হতদরিদ্র ১০ জোড়া বর কনেকে বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাও রয়েছেন। রাকিব সাহেব যা করেছেন তা সেনবাগের ইতিহাসে কখনো হয়নি। তিনি এক সঙ্গে ১০ হাজার মানুষের মেজবানির আয়োজন করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল বলেন, ‘দেশে অনেক শিল্পপতি আছেন কিন্তু তাঁদের মন নেই। রাকিব সাহেবের সেই মন আছে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। আশা করি আগামী দিনেও এমন মানবিক কাজের ধারা অব্যাহত রাখবেন।’
গণবিয়ের আয়োজক আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘সামাজিক মূল্যবোধ ও দায়বদ্ধতা থেকেই এই আয়োজন করা হয়েছে। আল্লাহ পাক কাউকে সামর্থ্য দিয়ে পরীক্ষা করেন কাউকে না দিয়ে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ যাকে সামর্থ্য দিয়েছে তাঁর দায়িত্ব হলো যাকে আল্লাহ সামর্থ্য দেননি তাঁকে সাহায্য করা। নিয়ত করেছি আগামীতেও আমাদের সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সহায়তা দিয়ে যাব।’
এ সময় টিম গ্রুপের মহা ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল নকিব, ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কাননসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে