চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর চাটখিলে গত এক সপ্তাহে দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে কাঁচা মরিচের দামও বেড়েই চলেছে। ক্রেতাদের মধ্যে এ নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে চাটখিল পৌর বাজার, শাহপুর বাজার, সোমপাড়া বাজার, খিলপাড়া বাজার, বদলকোট বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় সব বাজারে পেঁয়াজ খুচরা হিসেবে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাহাপুর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পেঁয়াজ ৬০ টাকা বিক্রি করেও লোকসান হচ্ছে। আগামীকাল থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে হবে।’
একই বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা স্থানীয় রুবেল বলেন, ‘কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে, তিন দিন আগেও ছিল ১০০ টাকা কেজির নিচে। এ ছাড়া সব শাক-সবজির দামও বেড়েই চলেছে। লাল শাক ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে কাঁচাবাজারের দাম লাগামহীন হওয়ায় বাজারে যাওয়ার উপায় নেই। তেল, নুন, আটা-ময়দা, চাল থেকে সবজি, মাছ, মাংস—সবই আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।’
খিলপাড়া বাজারের ক্রেতা আমেনা বেগম সবজি কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘কাঁচামরিচের দাম প্রতিদিন বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ছিল ৮০ টাকা, আজ শুক্রবার দেখছি ১২০ টাকা।’
দাম বাড়ার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ-মরিচের দারুণ ক্ষতি হয়েছে, তাই দাম কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে আলুর দামও প্রতি কেজিতে তিন-চার টাকা বেড়েছে। কচুর লতি, ডাঁটাশাক প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এমনিতেই তেল, চাল, আটা, ময়দা সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া; সেখানে সবজি কিনতে গেলেও অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
চাটখিল কাঁচাবাজারের পাইকারি বিক্রেতা তামজিদ আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন বেশির ভাগ পেঁয়াজ মজুতদারদের গুদামে চলে গেছে। ফলে সামনে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়তে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রসুনের দাম গত দুই দিনে ২০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ৫০ টাকার রসুন এখন ৭০ টাকা কেজি আর খুচরা বাজারে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।’
পাইকারি বাজারের বিক্রেতা আল আমিন জানান, মজুতদারেরা পেঁয়াজ-রসুন মজুত করে রেখেছেন। এ জন্য দাম দফায় দফায় বাড়ছে। অন্যদিকে তরমুজ এখন পড়ে আছে চাটখিলের বিভিন্ন ফলের দোকানগুলোতে। যাঁরা এত দিন বেশি দামে বিক্রি করেছিলেন তাঁরা বলছেন, তরমুজ এখন মানুষ কিনতে চায় না। একটা তরমুজ এখানে দুই সপ্তাহ আগে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে। সেই তরমুজ এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকায়ও কেউ কিনতে চাইছে না। ফলে এক জোড়া তরমুজ ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে চাটখিল পৌর মেয়র ও বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন ভিপি বলেন, ‘বাজারে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। অনেকেরই বিভিন্ন শাক-সবজি লাগানোর কথা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। সে জন্য সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে মজুতদারেরা কৃত্রিমভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন বলে মনে হয়।’
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘কৃত্রিমভাবে কেউ দাম বাড়িয়ে পণ্য বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নোয়াখালীর চাটখিলে গত এক সপ্তাহে দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে কাঁচা মরিচের দামও বেড়েই চলেছে। ক্রেতাদের মধ্যে এ নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে চাটখিল পৌর বাজার, শাহপুর বাজার, সোমপাড়া বাজার, খিলপাড়া বাজার, বদলকোট বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় সব বাজারে পেঁয়াজ খুচরা হিসেবে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাহাপুর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পেঁয়াজ ৬০ টাকা বিক্রি করেও লোকসান হচ্ছে। আগামীকাল থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে হবে।’
একই বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা স্থানীয় রুবেল বলেন, ‘কাঁচা মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে, তিন দিন আগেও ছিল ১০০ টাকা কেজির নিচে। এ ছাড়া সব শাক-সবজির দামও বেড়েই চলেছে। লাল শাক ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে কাঁচাবাজারের দাম লাগামহীন হওয়ায় বাজারে যাওয়ার উপায় নেই। তেল, নুন, আটা-ময়দা, চাল থেকে সবজি, মাছ, মাংস—সবই আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।’
খিলপাড়া বাজারের ক্রেতা আমেনা বেগম সবজি কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘কাঁচামরিচের দাম প্রতিদিন বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ছিল ৮০ টাকা, আজ শুক্রবার দেখছি ১২০ টাকা।’
দাম বাড়ার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ-মরিচের দারুণ ক্ষতি হয়েছে, তাই দাম কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে আলুর দামও প্রতি কেজিতে তিন-চার টাকা বেড়েছে। কচুর লতি, ডাঁটাশাক প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এমনিতেই তেল, চাল, আটা, ময়দা সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া; সেখানে সবজি কিনতে গেলেও অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
চাটখিল কাঁচাবাজারের পাইকারি বিক্রেতা তামজিদ আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন বেশির ভাগ পেঁয়াজ মজুতদারদের গুদামে চলে গেছে। ফলে সামনে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়তে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রসুনের দাম গত দুই দিনে ২০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ৫০ টাকার রসুন এখন ৭০ টাকা কেজি আর খুচরা বাজারে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।’
পাইকারি বাজারের বিক্রেতা আল আমিন জানান, মজুতদারেরা পেঁয়াজ-রসুন মজুত করে রেখেছেন। এ জন্য দাম দফায় দফায় বাড়ছে। অন্যদিকে তরমুজ এখন পড়ে আছে চাটখিলের বিভিন্ন ফলের দোকানগুলোতে। যাঁরা এত দিন বেশি দামে বিক্রি করেছিলেন তাঁরা বলছেন, তরমুজ এখন মানুষ কিনতে চায় না। একটা তরমুজ এখানে দুই সপ্তাহ আগে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে। সেই তরমুজ এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকায়ও কেউ কিনতে চাইছে না। ফলে এক জোড়া তরমুজ ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে চাটখিল পৌর মেয়র ও বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন ভিপি বলেন, ‘বাজারে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। অনেকেরই বিভিন্ন শাক-সবজি লাগানোর কথা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। সে জন্য সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে মজুতদারেরা কৃত্রিমভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন বলে মনে হয়।’
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘কৃত্রিমভাবে কেউ দাম বাড়িয়ে পণ্য বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৫ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৫ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৬ ঘণ্টা আগে