নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
৪০ জন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে রাস্তা থেকে এনে চাকরি দিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। সংস্থাটির পরিচ্ছন্নতা বিভাগে তাঁদের চাকরি হয়। ভিক্ষুক পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই চাকরি দেওয়া হয়। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে তাঁরা চাকরি চালিয়ে যান ১০ বছর। কিন্তু হঠাৎ ২০২১ সালে চলে যায় তাঁদের চাকরি। আবার শুরু হয় মানবেতর জীবন। বাধ্য হয়ে এসব ব্যক্তিকে আবার ফিরতে হয় ভিক্ষাবৃত্তিতে।
চাকরিচ্যুত ৪০ ব্যক্তির মধ্যে ২৫ জন ভিক্ষাবৃত্তির ফাঁকে চালিয়ে যান চাকরি ফিরে পাওয়ার আইনি লড়াই। ভিক্ষার টাকা জমিয়ে চালানো আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি থেকে সংসদ সদস্য-মন্ত্রীর দ্বারেও ঘুরেছেন অনেকে। চাকরি পুনর্বহালের আবেদন করেন মেয়রের কাছেও। কিন্তু সবাই আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। অবশেষে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেখানে আইনি লড়াইয়ে পেয়ে যান জয়।
উচ্চ আদালতের আদেশে পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রতিবন্ধী এসব ব্যক্তির চাকরিচ্যুতি কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদনটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার উচ্চ আদালতের বিচারপতি জাফর আহমদ ও বিচারপতি এম বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ আদালতের বেঞ্চ এই রুল এবং নির্দেশনা জারি করেন।
চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের পক্ষে উচ্চ আদালতে রিটসহ আইনি সহায়তাকারী আইনজীবী হলেন খালেদ সাইফুল্লাহ ও গোলাম মাওলা মুরাদ। তাঁরা জানান, একসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে চাকরিতে থাকা প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকেরা চাকরি চলে যাওয়ার পর পুনর্বহালের আবেদন নিয়ে অনেকের কাছে যান। সব জায়গায় ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁরা উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি পুনর্বহালের আদেশ ও নির্দেশনা আসে।
২০১১ সালে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ৪০ জন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে দিনে ২০০ টাকা বেতনে চাকরি দেয় সিটি করপোরেশন। কিন্তু ২০২১ সালে কোনো নোটিশ ছাড়াই তাঁদের কাজ থেকে বিরত রাখে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ।
প্রতিবন্ধী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পক্ষে সব আন্দোলন ও পদক্ষেপে নেতৃত্ব দেওয়া কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার দুই পা অচল হওয়ায় হাঁটতে পারি না। হস্তচালিত ভ্যানে চলাফেরা করতে হয়। উচ্চ আদালতের রায়ে আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি চাকরি করে পরিবার নিয়ে কোনো রকমে চলার জন্য।’ ২৫ জনের ভিক্ষার টাকা জমিয়ে আইনি লড়াই চালানো হয়।
৪০ জন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে রাস্তা থেকে এনে চাকরি দিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। সংস্থাটির পরিচ্ছন্নতা বিভাগে তাঁদের চাকরি হয়। ভিক্ষুক পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই চাকরি দেওয়া হয়। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে তাঁরা চাকরি চালিয়ে যান ১০ বছর। কিন্তু হঠাৎ ২০২১ সালে চলে যায় তাঁদের চাকরি। আবার শুরু হয় মানবেতর জীবন। বাধ্য হয়ে এসব ব্যক্তিকে আবার ফিরতে হয় ভিক্ষাবৃত্তিতে।
চাকরিচ্যুত ৪০ ব্যক্তির মধ্যে ২৫ জন ভিক্ষাবৃত্তির ফাঁকে চালিয়ে যান চাকরি ফিরে পাওয়ার আইনি লড়াই। ভিক্ষার টাকা জমিয়ে চালানো আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি থেকে সংসদ সদস্য-মন্ত্রীর দ্বারেও ঘুরেছেন অনেকে। চাকরি পুনর্বহালের আবেদন করেন মেয়রের কাছেও। কিন্তু সবাই আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। অবশেষে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেখানে আইনি লড়াইয়ে পেয়ে যান জয়।
উচ্চ আদালতের আদেশে পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রতিবন্ধী এসব ব্যক্তির চাকরিচ্যুতি কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদনটি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার উচ্চ আদালতের বিচারপতি জাফর আহমদ ও বিচারপতি এম বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ আদালতের বেঞ্চ এই রুল এবং নির্দেশনা জারি করেন।
চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের পক্ষে উচ্চ আদালতে রিটসহ আইনি সহায়তাকারী আইনজীবী হলেন খালেদ সাইফুল্লাহ ও গোলাম মাওলা মুরাদ। তাঁরা জানান, একসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে চাকরিতে থাকা প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকেরা চাকরি চলে যাওয়ার পর পুনর্বহালের আবেদন নিয়ে অনেকের কাছে যান। সব জায়গায় ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁরা উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি পুনর্বহালের আদেশ ও নির্দেশনা আসে।
২০১১ সালে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ৪০ জন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে দিনে ২০০ টাকা বেতনে চাকরি দেয় সিটি করপোরেশন। কিন্তু ২০২১ সালে কোনো নোটিশ ছাড়াই তাঁদের কাজ থেকে বিরত রাখে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ।
প্রতিবন্ধী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পক্ষে সব আন্দোলন ও পদক্ষেপে নেতৃত্ব দেওয়া কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার দুই পা অচল হওয়ায় হাঁটতে পারি না। হস্তচালিত ভ্যানে চলাফেরা করতে হয়। উচ্চ আদালতের রায়ে আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি চাকরি করে পরিবার নিয়ে কোনো রকমে চলার জন্য।’ ২৫ জনের ভিক্ষার টাকা জমিয়ে আইনি লড়াই চালানো হয়।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সমন্বিত মৎস্য খামার। মাছ চাষের পাশাপাশি একই স্থানে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন করে বেশ ভালো লাভ করছেন খামারিরা। তবে অর্থনৈতিক সুবিধার আড়ালে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য এক অদৃশ্য হুমকি হয়ে উঠেছে সমন্বিত এ খামারপদ্ধতি।
২ ঘণ্টা আগেবিশাল সেতু। তারই দুই পাশে পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। কেউ নির্মাণ করছে বাড়ি। কেউ কেউ নির্মাণ করছে দোকানপাট। এ ছাড়া মাটি কেটে নিজেদের ইচ্ছামাফিক সীমানা তৈরি করে সেতুর জমি ভোগদখল করছে। স্থাপনা নির্মাণের জন্য কেউ কেউ সেতুর সিসি ব্লকও কেটে ফেলেছে।
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন জান মোহাম্মদ। এই প্রতিষ্ঠানের খাদ্য পরিদর্শক ও সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিলা নাসরিন। এই দুজনের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে দুর্নীতির সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে জান মোহাম্মদকে বদলি করা হয়েছে। তবে তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে...
২ ঘণ্টা আগেফুটে আছে জারুল, কৃষ্ণচূড়া, হিজল, সোনালু, বন বেলি। দিনে ক্যাম্পাসজুড়ে এমন ফুল চোখে পড়ছে। আর রাতে আলোর রোশনাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে আলোর ঝলকানি। প্রতিটি ভবনে করা হয়েছে লাল-নীল রঙের আলোকসজ্জা। এই চিত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি)।
২ ঘণ্টা আগে