দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর দাগনভূঞায় আজ রোববার ছাত্রদলের এক পক্ষের মিছিলে আরেক পক্ষের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দাগনভূঞা বাজারের গজারিয়া রোড ও কলেজ রোডে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গজারিয়া রোডের প্রবেশমুখ থেকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন জিরো পয়েন্ট থেকে একটি পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে হামলা করে।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হক রাজিব বলেন, ‘সারা দেশে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে উপজেলা ছাত্রদলের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করি। মিছিলটি গজারিয়া রোড থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা এসে জড়ো হচ্ছিলেন ওখানে। ঠিক ওই মুহূর্তে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের নির্দেশনায় কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। অপর দিকে কলেজ রোড থেকে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশ্রাফুল ইসলাম জাবেদ ও কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুমের নেতৃত্বে একটি মিছিল গজারিয়া রোডের দিকে আসার পথে ফটিকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাঁদের ওপরও হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, আশ্রাফুল, সারওয়ার পারভেজ, মাসুমসহ অন্তত ৩০ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।’
রাজিব অভিযোগ করেন, ‘আমি বিগত আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে জেল, জুলুম ও হামলার শিকার হয়েছি। আজকে দুঃশাসন বিদায় নিলেও দাগনভূঞায় ফটিকের দুঃশাসনের শিকার হচ্ছে এ দলের নেতা-কর্মীরা। ফটিক যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আজকে আমাদের ছাত্রদলের মিছিলে যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, আমি জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাদের কাছে এর বিচার চাই। আমি প্রশাসনের কাছে বলতে চাই, ফটিকের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। আপনারা ফটিকের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, এ দাবি জানাচ্ছি।’
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, ‘ফেনী জেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দাগনভূঞায় কোনো সভা, সমাবেশ বা মিছিল না করার। তারপরও বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ওই পক্ষ বারবার মিছিলের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। আর আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, তার শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার খবর পেয়ে আমি ছুটে আসি। তাদের হামলায় মিরাজ, সোহেল, সাদ্দাম, চৌধুরী হৃদয়, জিতুসহ আমাদের প্রায় ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর।’
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম জানান, দাগনভূঞাতে ছাত্রদলের মিছিলের বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই। বিএনপির কমিটি-সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। তাই বিএনপির একটি সমাবেশ বন্ধ করেছে জেলা কমিটি। তবে ছাত্রদল মিছিল, সভা-সমাবেশ করতে পারবে না এমন কোনো নির্দেশনা জেলা ছাত্রদল থেকে দেওয়া হয়নি। আর আজকের ছাত্রদলের মিছিলে বাধা দেওয়ার ঘটনায় যাঁরা সম্পৃক্ত রয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (দাগনভূঞা-সোনাগাজী সার্কেল) তসলিম হোসাইন বলেন, দলীয় কোনো কোন্দল থাকলে তা দলের নেতারা সমাধান করবেন। কিন্তু তা না করে বাজারে বা যেকোনো স্থানে এক পক্ষের মিছিলে অন্য পক্ষ হামলা করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটালে এবং জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
ফেনীর দাগনভূঞায় আজ রোববার ছাত্রদলের এক পক্ষের মিছিলে আরেক পক্ষের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দাগনভূঞা বাজারের গজারিয়া রোড ও কলেজ রোডে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গজারিয়া রোডের প্রবেশমুখ থেকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন জিরো পয়েন্ট থেকে একটি পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে হামলা করে।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হক রাজিব বলেন, ‘সারা দেশে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে উপজেলা ছাত্রদলের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করি। মিছিলটি গজারিয়া রোড থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা এসে জড়ো হচ্ছিলেন ওখানে। ঠিক ওই মুহূর্তে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের নির্দেশনায় কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। অপর দিকে কলেজ রোড থেকে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশ্রাফুল ইসলাম জাবেদ ও কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুমের নেতৃত্বে একটি মিছিল গজারিয়া রোডের দিকে আসার পথে ফটিকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাঁদের ওপরও হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, আশ্রাফুল, সারওয়ার পারভেজ, মাসুমসহ অন্তত ৩০ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।’
রাজিব অভিযোগ করেন, ‘আমি বিগত আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে জেল, জুলুম ও হামলার শিকার হয়েছি। আজকে দুঃশাসন বিদায় নিলেও দাগনভূঞায় ফটিকের দুঃশাসনের শিকার হচ্ছে এ দলের নেতা-কর্মীরা। ফটিক যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আজকে আমাদের ছাত্রদলের মিছিলে যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, আমি জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাদের কাছে এর বিচার চাই। আমি প্রশাসনের কাছে বলতে চাই, ফটিকের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। আপনারা ফটিকের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, এ দাবি জানাচ্ছি।’
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, ‘ফেনী জেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দাগনভূঞায় কোনো সভা, সমাবেশ বা মিছিল না করার। তারপরও বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ওই পক্ষ বারবার মিছিলের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। আর আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, তার শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার খবর পেয়ে আমি ছুটে আসি। তাদের হামলায় মিরাজ, সোহেল, সাদ্দাম, চৌধুরী হৃদয়, জিতুসহ আমাদের প্রায় ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর।’
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম জানান, দাগনভূঞাতে ছাত্রদলের মিছিলের বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই। বিএনপির কমিটি-সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। তাই বিএনপির একটি সমাবেশ বন্ধ করেছে জেলা কমিটি। তবে ছাত্রদল মিছিল, সভা-সমাবেশ করতে পারবে না এমন কোনো নির্দেশনা জেলা ছাত্রদল থেকে দেওয়া হয়নি। আর আজকের ছাত্রদলের মিছিলে বাধা দেওয়ার ঘটনায় যাঁরা সম্পৃক্ত রয়েছেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (দাগনভূঞা-সোনাগাজী সার্কেল) তসলিম হোসাইন বলেন, দলীয় কোনো কোন্দল থাকলে তা দলের নেতারা সমাধান করবেন। কিন্তু তা না করে বাজারে বা যেকোনো স্থানে এক পক্ষের মিছিলে অন্য পক্ষ হামলা করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটালে এবং জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
ভিডিও দেখা গেছে, গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা কয়েকজনকে হাতে বড় বড় অস্ত্র নিয়ে আশপাশে কিছু একটা খোঁজাখুঁজি করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ লুঙ্গি, ফুলপ্যান্ট ও হাফপ্যান্ট পরা ছিল। এ ছাড়া স্পিডবোট নিয়ে তাদের অস্ত্র তাক করে আসতে দেখা যায়।
১১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁরা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করেন। এ সময় তাঁরা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে কাঁটা ঝুলিয়ে দেন।
১২ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কের পাশের ঝোপের ভেতর থেকে ১ কেজি ৪৩০ গ্রাম কোকেন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পিয়ারাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগেকোস্ট গার্ডের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা-বরিশাল রুটের কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মালিক ও তাঁর ছেলেসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঈদে নৌপথে ঘরমুখী যাত্রীদের হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে হস্তক্ষেপ করায় কোস্ট গার্ড সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগে