ইফতিয়াজ নুর নিশান, (উখিয়া) কক্সবাজার
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বসতঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন হাজারো রোহিঙ্গা। রোববার উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহকাটা এলাকার ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ও সি ব্লকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৪৮০টি বসত ঘর, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ১০টি বসতঘর, ৫টি লার্নিং সেন্টার, ৩টি মসজিদ ও ১টি মাদ্রাসা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের একটি সূত্র।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর একটি সূত্র জানিয়েছে এ ঘটনায় অন্তত ৪৭৪টি রোহিঙ্গা পরিবারের ২ হাজার ৩৮৫ জন রোহিঙ্গা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এছাড়াও এ ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন, একজন শিশু নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকের হেডমাঝি মোহাম্মদ নুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ব্লকের ৪৬০টি ঘর পুড়ে গেছে। আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ, ঘর হারিয়ে কেউ কেউ আত্নীয় স্বজনের বাড়ি ও অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে এবং খোলা মাঠে আশ্রয় নিয়েছে।’
একই ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ কাশিম (৩৪) নামে এক রোহিঙ্গা জানান, ‘আমার ঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে, কোনরকমে স্ত্রী কন্যাসহ আগুন লাগার পর বেরিয়ে আসি। জানি না এখন কি করব! চোখে কোন দিশা দেখছি না, আমরা খুব অসহায়।’
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার ও শীতবস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। যারা ঘর হারিয়েছেন, তাদের আশ্রয়শিবিরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে এবং রাতের মধ্যেই তাদের সেখানে নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, রোববার বিকেল ৫টার দিকে ১৬ নং ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ কার্যালয় থেকে ২৫০ গজ দূরে বি ব্লকের বাসিন্দা জনৈক মোহাম্মদ আলীর শেড এর রান্নাঘরের গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট, স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডে বিস্তারিত কারণ পরবর্তীতে জানানো হবে। আমরা এখানেই অবস্থান করছি।’
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। গত বছরের মার্চে উখিয়ার তিন ক্যাম্পে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দুই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাস্তুহারা হয়ে পড়ে, মারা যান ১১ জন।
চলতি বছর শুরুর প্রথম ১০ দিনের মধ্যেই এটি দ্বিতীয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, জানুয়ারির ২ তারিখ উখিয়ার ২০ এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি করোনা হাসপাতালের ৭০টি শয্যা আগুনে পুড়ে যায়।
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বসতঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন হাজারো রোহিঙ্গা। রোববার উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহকাটা এলাকার ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ও সি ব্লকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৪৮০টি বসত ঘর, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ১০টি বসতঘর, ৫টি লার্নিং সেন্টার, ৩টি মসজিদ ও ১টি মাদ্রাসা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের একটি সূত্র।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর একটি সূত্র জানিয়েছে এ ঘটনায় অন্তত ৪৭৪টি রোহিঙ্গা পরিবারের ২ হাজার ৩৮৫ জন রোহিঙ্গা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এছাড়াও এ ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন, একজন শিশু নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকের হেডমাঝি মোহাম্মদ নুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ব্লকের ৪৬০টি ঘর পুড়ে গেছে। আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ, ঘর হারিয়ে কেউ কেউ আত্নীয় স্বজনের বাড়ি ও অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে এবং খোলা মাঠে আশ্রয় নিয়েছে।’
একই ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ কাশিম (৩৪) নামে এক রোহিঙ্গা জানান, ‘আমার ঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে, কোনরকমে স্ত্রী কন্যাসহ আগুন লাগার পর বেরিয়ে আসি। জানি না এখন কি করব! চোখে কোন দিশা দেখছি না, আমরা খুব অসহায়।’
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার ও শীতবস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। যারা ঘর হারিয়েছেন, তাদের আশ্রয়শিবিরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে এবং রাতের মধ্যেই তাদের সেখানে নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, রোববার বিকেল ৫টার দিকে ১৬ নং ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ কার্যালয় থেকে ২৫০ গজ দূরে বি ব্লকের বাসিন্দা জনৈক মোহাম্মদ আলীর শেড এর রান্নাঘরের গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট, স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডে বিস্তারিত কারণ পরবর্তীতে জানানো হবে। আমরা এখানেই অবস্থান করছি।’
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। গত বছরের মার্চে উখিয়ার তিন ক্যাম্পে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দুই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাস্তুহারা হয়ে পড়ে, মারা যান ১১ জন।
চলতি বছর শুরুর প্রথম ১০ দিনের মধ্যেই এটি দ্বিতীয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, জানুয়ারির ২ তারিখ উখিয়ার ২০ এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি করোনা হাসপাতালের ৭০টি শয্যা আগুনে পুড়ে যায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরেও আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। মনোবল হারানো পুলিশ বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে মাথাচাড়া দেওয়া অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। মানুষের মনে বেশি আতঙ্ক তৈরি করেছে ‘মব’।
২৭ মিনিট আগেআট বছর হয়ে যাচ্ছে, এখনো বরিশাল জেলা ও মহানগর যুবদল ভারমুক্ত হতে পারেনি। এর মধ্যে কারও বালুমহাল-কাণ্ডে পদ স্থগিত, কেউ কেউ নিষ্ক্রিয়, এমনকি শীর্ষ পদের কেউ মারাও গেছেন। ২০১৭ সাল থেকে এভাবেই চলছে যুবদল। এই পরিস্থিতিতে নতুন কমিটি দেওয়ার আলোচনায় পুরোনোরাই প্রাধান্য পাচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে....
১ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) কর্মী নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. ছানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন খোদ এলসিএসের (লোকাল কমিউনিটি সার্ভিস) নারী কর্মী, স্থানীয় ঠিকাদারসহ অনেকে।
১ ঘণ্টা আগেআলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কৃষকদের জন্য নওগাঁয় তৈরি করেছে আলু সংরক্ষণের অহিমায়িত মডেল ঘর। তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা ভিন্ন—এই সরকারি প্রকল্পটি এখন কৃষকের জন্য কোনো কাজেই আসছে না। এসব ঘরে রাখা আলু সময়ের আগেই পচে নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগে