Ajker Patrika

চট্টগ্রাম বোর্ডে একের পর এক জালিয়াতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৪, ১১: ৩৩
Thumbnail image

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল বর্তমান বোর্ড সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে। জিপিএ-৫ না পাওয়ার পরও প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে নারায়ণ চন্দ্রের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তদন্ত করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের গঠন করা কমিটি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং ও ইভালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেন গত ২৮ মে নারায়ণ চন্দ্র নাথকে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেন। কমিটির সদস্যরা গত সোমবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে তদন্ত করেন।

তদন্ত কমিটি ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর ফর্দ চাইলে তা দিতে পারেনি বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে বেরিয়ে আসে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই পাস করেছে দুই পরীক্ষার্থী।

এদিকে নম্বর ফর্দ খোয়া যাওয়ার বিষয়ে পরদিন মঙ্গলবার মহানগরীর পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দিদারুল আলম। এর পর থেকে দিদারুল আলমের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।

তবে জিডিতে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দিদারুল আলম উল্লেখ করেন, তাঁর কক্ষে সংরক্ষিত তিনটি ট্রাঙ্কের মধ্যে একটি থেকে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার দুটি নম্বর ফর্দ গায়েব হয়ে গেছে। গত ১৯ মে সকাল ১০টার দিকে ট্রাঙ্কের তালা খোলা দেখতে পান তিনি। জিডিতে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষের ট্রাঙ্কের কথা বলা হলেও এ কক্ষের চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় চাম্বল উচ্চবিদ্যালয় থেকে অংশ নেয় ৭৩ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৭২ জন। এক শিক্ষার্থী ফেল করেছে রসায়ন বিষয়ে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া দুই শিক্ষার্থীর রোলও পাস করা তালিকায় এসেছে।

পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘জিডির ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সুরক্ষিত কক্ষের ট্রাঙ্ক থেকে নম্বর ফর্দ গায়েবের ঘটনায় থানায় কোনো জিডির কথা আমি জানি না। জিডি করার ক্ষেত্রে আমার কাছে কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি। আর দুই পরীক্ষার্থী পাসের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘নম্বর ফর্দ গায়েব ও পরীক্ষায় না বসেও দুজনের জিপিএ-৫ পাওয়ার বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নম্বর ফর্দ গায়েবের বিষয়টি আমাকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত