Ajker Patrika

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িতে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক ও টেকনাফ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, ১২: ৪৩
Thumbnail image

ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ ইতিমধ্যে সেন্টমার্টিনে আঘাত হেনেছে। স্বাভাবিক অবস্থা থেকে সাগরের উচ্চতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগও। সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকাল ৯টার পর থেকেই বাতাসের গতিবেগ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টি, উত্তাল রয়েছে সাগর। গতকাল রাতে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও সকালে ফিরে গেছে নিজেদের আবাসস্থলে। 

তারা অভিযোগ করেছে, আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পানি নেই এবং পয়োনিষ্কাশনের সুবিধা নেই। তবে খাবার ছিল পর্যাপ্ত। 

স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা গতকাল রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। তবে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় সকালে বাসায় ফিরে গেছেন।

আরেক বাসিন্দা জসীমউদ্দিন শুভ বলেন, পয়োনিষ্কাশনের অসুবিধা হয়েছে। এ জন্য অনেকেই বাড়িতে ফিরে গেছেন। এ ছাড়া রাতে ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল। সাগর উত্তাল অবস্থায় আছে ৷ ঢেউয়ের পানির উচ্চতা চার থেকে পাঁচ ফুট বেড়ে গেছে। 

তবে সকালে স্থানীয় প্রশাসন থেকে তাদের আবার আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সেন্ট মার্টিনে নেটওয়ার্কের সমস্যা শুরু হয়েছে। যাঁরা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে গেছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান পানি ও পয়োনিষ্কাশনের অসুবিধার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, ‘রাতে পানির ট্যাংকি ভর্তি করা হলেও অতিরিক্ত মানুষের কারণে তা শেষ হয়ে যায়। আবার পানি সরবরাহ ঠিক করা হয়েছে। কিছু কিছু আশ্রয়কেন্দ্রে পয়োনিষ্কাশনের সমস্যা আছে। তবে সেটিও ঠিক হয়ে যাবে। অনেকেই আবার ফিরে এসেছে। যারা ফিরে গিয়েছিল, তারা গোসল ও বাথরুম শেষে আবার আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরে এসেছে। 

এই জনপ্রতিনিধি বলেন, তাঁরা সকাল থেকে যেসব বাসিন্দা ঘরে ফিরে গেছে তাদের আবার আশ্রয়কেন্দ্রে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে নেটওয়ার্কের অবস্থা আগের তুলনায় অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। এখন বাতাসের গতি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।

সেন্ট মার্টিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে মজিবুর রহমান বলেন, সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ও বাতাস ছিল। তবে ১০টার পর থেকে বাতাস বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এখন সাগর উত্তাল অবস্থায় আছে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত