শাহরাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
দীর্ঘ ৫৪৪ দিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হলে শিক্ষার্থীদের কলকাকলীতে শাহরাস্তির স্কুলগুলো মুখর হলেও ক্যাম্পাসে ফিরে আসেনি অনেকেই। অনেক শিক্ষক দীর্ঘ বন্ধে করোনা ও অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে বিদায় নিয়েছেন।
শাহরাস্তি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বন্ধের সময় চিতোষী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আ. রহিম, সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. হুমায়ূন কবীর, পদার্থবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক খোকন সরকার, ভোলদীঘি কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাও. মো. শাহজাহান, মেহের ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. কবিরুল ইসলাম মজুমদার, খামপাড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মাসুম বিল্লাহ, বলশীদ উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. মনির হোসেন মারা গেছেন।
এ ছাড়া কিডনি বিকল হয়ে রাগৈ মাদ্রাসার বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক মো. মমতাজুল ইসলাম, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ভোলদীঘি কামিল মাদ্রাসার অফিস সহায়ক মো. মোশারফ হোসেন মারা যান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে রায়শ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফখরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ মারা গেছেন। এ ছাড়া বিদ্যুতায়িত হয়ে খিলাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উত্তম পাল, সড়ক দুর্ঘটনায় শিমাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহসান হাবীব ও টামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যু হয়।
সরেজমিনে বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসে সবাই ফিরে এলেও মৃত শিক্ষকদের অনুপস্থিতি সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হলেও মৃত শিক্ষকদের কর্মস্থলে বিরাজ করছে শোকের আবহ। তাই তাঁদের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান দোয়া, শোকসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আবার অনেকে ক্লাস শেষে দল বেঁধে কবর জিয়ারতে যাচ্ছে।
ভোলদীঘি কামিল মাদ্রাসার ফাজিল (ডিগ্রি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আইরিন সুমাইয়া বলেন, `করোনার ছোবলে প্রিয় শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. শাহজাহান স্যারকে হারিয়েছি। ক্যাম্পাসে এলেই মনে হয় স্যার আমাদের ডাকছেন। তাঁর কাছে আমরা পিতার স্নেহ, ভাইয়ের শাসন ও বন্ধুর সহমর্মিতা পেয়েছি।'
কুলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নোমান হোসাইন ফেসবুকে লিখেছেন, 'বিদ্যালয়ে সবাই এল কিন্তু এল না অনেকেই। করোনার এই সময়ে যারা চলে গেলেন না ফেরার দেশে, আজকের দিনে তাঁদের খুব মনে পড়ে। হে আল্লাহ, যাঁরা আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছেন, তাঁদের তুমি জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করো।'
সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজের রসায়নবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল কালাম বলেন, `করোনাকালীন বন্ধে দুজন সহকর্মীকে হারিয়েছি। যাঁরা শুধু আমার সহকর্মী না, ভাই-বন্ধুর মতো ছিলেন। কলেজে এসে তাঁদের শূন্য চেয়ারের দিকে তাকালে অসীম শূন্যতা ঘিরে ধরে।'
একই কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়া বলেন, `প্রিয় সহকর্মীরা শুধু কলেজে তাঁদের আসন খালি করে যাননি, তাঁরা আমাদের হৃদয় খালি করে দিয়েছেন।'
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ চৌধুরী বলেন, `করোনাকালীন বন্ধে অনেক শিক্ষককে আমরা হারিয়েছি। তাঁদের কর্মময় স্মৃতি আমাকে আপ্লুত করে।'
দীর্ঘ ৫৪৪ দিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হলে শিক্ষার্থীদের কলকাকলীতে শাহরাস্তির স্কুলগুলো মুখর হলেও ক্যাম্পাসে ফিরে আসেনি অনেকেই। অনেক শিক্ষক দীর্ঘ বন্ধে করোনা ও অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে বিদায় নিয়েছেন।
শাহরাস্তি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বন্ধের সময় চিতোষী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আ. রহিম, সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. হুমায়ূন কবীর, পদার্থবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক খোকন সরকার, ভোলদীঘি কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাও. মো. শাহজাহান, মেহের ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. কবিরুল ইসলাম মজুমদার, খামপাড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মাসুম বিল্লাহ, বলশীদ উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. মনির হোসেন মারা গেছেন।
এ ছাড়া কিডনি বিকল হয়ে রাগৈ মাদ্রাসার বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক মো. মমতাজুল ইসলাম, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ভোলদীঘি কামিল মাদ্রাসার অফিস সহায়ক মো. মোশারফ হোসেন মারা যান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে রায়শ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফখরুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ মারা গেছেন। এ ছাড়া বিদ্যুতায়িত হয়ে খিলাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উত্তম পাল, সড়ক দুর্ঘটনায় শিমাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহসান হাবীব ও টামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের মৃত্যু হয়।
সরেজমিনে বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসে সবাই ফিরে এলেও মৃত শিক্ষকদের অনুপস্থিতি সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হলেও মৃত শিক্ষকদের কর্মস্থলে বিরাজ করছে শোকের আবহ। তাই তাঁদের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান দোয়া, শোকসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আবার অনেকে ক্লাস শেষে দল বেঁধে কবর জিয়ারতে যাচ্ছে।
ভোলদীঘি কামিল মাদ্রাসার ফাজিল (ডিগ্রি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আইরিন সুমাইয়া বলেন, `করোনার ছোবলে প্রিয় শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. শাহজাহান স্যারকে হারিয়েছি। ক্যাম্পাসে এলেই মনে হয় স্যার আমাদের ডাকছেন। তাঁর কাছে আমরা পিতার স্নেহ, ভাইয়ের শাসন ও বন্ধুর সহমর্মিতা পেয়েছি।'
কুলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. নোমান হোসাইন ফেসবুকে লিখেছেন, 'বিদ্যালয়ে সবাই এল কিন্তু এল না অনেকেই। করোনার এই সময়ে যারা চলে গেলেন না ফেরার দেশে, আজকের দিনে তাঁদের খুব মনে পড়ে। হে আল্লাহ, যাঁরা আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছেন, তাঁদের তুমি জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করো।'
সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজের রসায়নবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল কালাম বলেন, `করোনাকালীন বন্ধে দুজন সহকর্মীকে হারিয়েছি। যাঁরা শুধু আমার সহকর্মী না, ভাই-বন্ধুর মতো ছিলেন। কলেজে এসে তাঁদের শূন্য চেয়ারের দিকে তাকালে অসীম শূন্যতা ঘিরে ধরে।'
একই কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়া বলেন, `প্রিয় সহকর্মীরা শুধু কলেজে তাঁদের আসন খালি করে যাননি, তাঁরা আমাদের হৃদয় খালি করে দিয়েছেন।'
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ চৌধুরী বলেন, `করোনাকালীন বন্ধে অনেক শিক্ষককে আমরা হারিয়েছি। তাঁদের কর্মময় স্মৃতি আমাকে আপ্লুত করে।'
চেক জালিয়াতির মামলায় হাজির না হওয়ায় আসামি মোসলেম উদ্দিনের অনুপস্থিতিতেই রায় দিয়েছিলেন আদালত। দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল এক বছরের কারাদণ্ড। পাশাপাশি জরিমানা করা হয় ৬০ লাখ টাকা। এ দণ্ড মাথায় নিয়েই সাত বছর লাপাত্তা ছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে বাস ও ট্রাকের অন্তত ১৫ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ফুকরা এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করেছেন শিক্ষক। এ ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (ভাইরাল)। গতকাল বৃস্পতিবার বিকেল থেকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ৩৫ সেকেন্ডের। এর মধ্যে প্রথম ২৩ সেকেন্ড পর্যন্ত শিশুটিকে মারতে দেখা গেছে শিক্ষককে। ওই ২৩ সেকেন্ডে শিশুটিকে ২১ বার
২ ঘণ্টা আগে