নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের ছয়জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, দুজন রোহিঙ্গা নাগরিক ও দুজন দালাল রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার নগরের হালিশহর থানাধীন হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চবিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির নিবন্ধন ফরম, জন্মনিবন্ধন ফরমসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
আটক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা হলেন ইয়াছিন আরাফাত (২২), মো. নুরনবী ওরফে অনিক (২৫), মিজানুর রহমান (২৩), ফরহাদুল ইসলাম (২৮), ইমন দাশ (২০) ও মো. কামাল (৪২)। আটক দুই রোহিঙ্গা নাগরিক হলেন কামাল হোসেন (৪৫) ও পারভীন আক্তার (২৫)। আটক দুই দালাল মো. নুরুল আবছার (২৮) ও শামসুর রহমান ওরফে শামসু মাস্টার (৬০)।
তাঁদের বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আজ বুধবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, আটক শামসু মাস্টার কক্সবাজারের পোকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড তৈরিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তিনি চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। ২০২১ সালে ১৬ জুন তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে রোহিঙ্গাদের সংগ্রহ করে নুরুল আবছারকে দিতেন। পরে নুরুল আবছার রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন তৈরি করে নির্বাচন কমিশনের ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের সঙ্গে চুক্তি করে এনআইডি কার্ড তৈরিতে সহায়তা করতেন।
আলী হোসেন আরও বলেন, ‘এখন এনআইডি তৈরির কাজ চলছে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের এনআইডি তৈরি করছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হালিশহরে ওই স্কুলটিতে চক্রটির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হই। তাঁরা স্কুলটিতে এনআইডি তৈরিতে নিযুক্ত ছিলেন।
পরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। প্রথমে অভিযানে আটক ব্যক্তিদের মোবাইলসহ অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়ে পাঁচজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা এই কাজে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছেন। প্রতিটি এনআইডি কার্ড তৈরির জন্য ৩০ হাজার টাকা করে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নেওয়া হতো।’
অভিযানে জব্দ করা কাগজগুলোর মধ্যে হেদায়েত উল্লাহ নামে একজন রোহিঙ্গার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়, তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (জোন-৪) জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে চট্টগ্রামে আগ্রাবাদ রঙ্গীপাড়ায় স্থায়ী ঠিকানা দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। এ পর্যন্ত চক্রটি কয়েক শ এনআইডি কার্ড তৈরি করেছে। এই চক্রের আরও অনেক সদস্যের নাম পাওয়া গেছে। তাঁদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া এ কাজে নির্বাচন কমিশনের কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
চট্টগ্রামে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের ছয়জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, দুজন রোহিঙ্গা নাগরিক ও দুজন দালাল রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার নগরের হালিশহর থানাধীন হালিশহর হাউজিং এস্টেট উচ্চবিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির নিবন্ধন ফরম, জন্মনিবন্ধন ফরমসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
আটক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনের ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা হলেন ইয়াছিন আরাফাত (২২), মো. নুরনবী ওরফে অনিক (২৫), মিজানুর রহমান (২৩), ফরহাদুল ইসলাম (২৮), ইমন দাশ (২০) ও মো. কামাল (৪২)। আটক দুই রোহিঙ্গা নাগরিক হলেন কামাল হোসেন (৪৫) ও পারভীন আক্তার (২৫)। আটক দুই দালাল মো. নুরুল আবছার (২৮) ও শামসুর রহমান ওরফে শামসু মাস্টার (৬০)।
তাঁদের বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আজ বুধবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, আটক শামসু মাস্টার কক্সবাজারের পোকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড তৈরিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তিনি চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। ২০২১ সালে ১৬ জুন তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে রোহিঙ্গাদের সংগ্রহ করে নুরুল আবছারকে দিতেন। পরে নুরুল আবছার রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন তৈরি করে নির্বাচন কমিশনের ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের সঙ্গে চুক্তি করে এনআইডি কার্ড তৈরিতে সহায়তা করতেন।
আলী হোসেন আরও বলেন, ‘এখন এনআইডি তৈরির কাজ চলছে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের এনআইডি তৈরি করছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে হালিশহরে ওই স্কুলটিতে চক্রটির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হই। তাঁরা স্কুলটিতে এনআইডি তৈরিতে নিযুক্ত ছিলেন।
পরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। প্রথমে অভিযানে আটক ব্যক্তিদের মোবাইলসহ অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়ে পাঁচজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা এই কাজে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছেন। প্রতিটি এনআইডি কার্ড তৈরির জন্য ৩০ হাজার টাকা করে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নেওয়া হতো।’
অভিযানে জব্দ করা কাগজগুলোর মধ্যে হেদায়েত উল্লাহ নামে একজন রোহিঙ্গার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়, তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (জোন-৪) জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে চট্টগ্রামে আগ্রাবাদ রঙ্গীপাড়ায় স্থায়ী ঠিকানা দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। এ পর্যন্ত চক্রটি কয়েক শ এনআইডি কার্ড তৈরি করেছে। এই চক্রের আরও অনেক সদস্যের নাম পাওয়া গেছে। তাঁদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া এ কাজে নির্বাচন কমিশনের কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ডাম্প ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে রুবেল ইসলাম নামের এক মোটর মেকানিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ট্রাকের সহকারী হাবিব গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার ডোমার সড়কের আব্দুলপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। আজ সোমবার ভোরে ১ ঘণ্টার ঝড়ে উপজেলার মঘাদিয়া, ইছাখালী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এ ছাড়া গাছপালা ও বিদ্যুৎ সরবরাহের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এতে বন্ধ রয়েছে কয়েটি এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ।
১৪ মিনিট আগেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক ও ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের সাবেক জিওসি (জেনারেল অফিসার কমান্ডিং) অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল হামিদুল হক ও তাঁর স্ত্রী নুছরাত জাহান মুক্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
১৬ মিনিট আগেবরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির ১ নম্বর সদস্য রফিকুল ইসলাম লাবু পদত্যাগ করেছেন। কারণ হিসেবে লাবু পদত্যাগপত্রে কমিটির নেতাদের শৃঙ্খলাবর্জিত কর্মকাণ্ড, সমন্বয়হীনতা, অবাঞ্ছিত কার্যক্রম ও ব্যাপক অনিয়মের কথা বলেছেন। পাশাপাশি তিনি এক খোলা চিঠিতে উপজেলা নেতাদের বিরুদ্ধে
২০ মিনিট আগে