Ajker Patrika

মঙ্গলবার থেকে রুমা ও রোয়াংছড়িতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবান প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ৫২
মঙ্গলবার থেকে রুমা ও রোয়াংছড়িতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবান জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযানের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বান্দরবানের জেলা ম‍্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। আজ মঙ্গলবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞার আদেশ কার্যকর হবে। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে এই নিষেধাজ্ঞার আদেশ মৌখিকভাবে জারি করা হয়েছে। 

অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা জারির আগে যেসব পর্যটক রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় গেছেন, তাঁদের আজ দুপুরের মধ‍্যে এ দুটি উপজেলা থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। 

এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম‍্যাজিস্ট্রেট বলেন, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞার বলবৎ থাকবে। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুরোধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই নিষেধাজ্ঞা প্রত‍্যাহার করা হবে। 

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার মধ‍্যবর্তী রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়ন এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী ও জঙ্গি তৎপরতা দমনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান শুরু হয়। প্রথমে রাঙামাটির বিলাইছড়ির বড়থলিতে অভিযান চালানো হয়, পরে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ও রোয়াংছড়ি উপজেলার রনিনপাড়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযান বিস্তৃত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় নিরাপত্তার জন্য পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। 

শুধু তাই নয়, বড়থলি এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত চীনকুকি ন‍্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ নামে পাহাড়িদের একটি সংগঠন নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। তাদের সামরিক শাখা চীনকুকি ন‍্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ৩-৫ হাজার সশস্ত্র সদস্য রয়েছে। তাঁদের কাছে ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। কেএনএফ সংগঠনে বম, খেয়াং, খুমি, পাঙ্খো ও লুসাই জনগোষ্ঠীর লোকজন রয়েছেন। 

সূত্রে আরও জানা গেছে, কেএনফ রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নে কার্যক্রম চালালেও বান্দরবানের রুমার পাইন্দু ও রোয়াংছড়ির রনিনপাড়ায় তাদের অবস্থান রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী এই চিরুনি অভিযান (কম্বিং অপারেশন) শুরু করেছে। এরই জেরে গত শুক্রবার থেকে যৌথ বাহিনী পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী দমনে চিরুনি অভিযান (কম্বিং অপারেশন) চালাচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে সরকারি যৌথ বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তাই রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় রুমার বগা লেক, কেওক্রাডং, তাজিংডং, রিজুক ঝরনা, রোয়াংছড়ির দেবতাখুমসহ যেকোনো পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের যাওয়া আজ থেকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। 

গত শনিবার থেকে ওই সব এলাকার সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে র‍্যাব সদস্যরা হেলিকপ্টারে নজরদারি করছেন। তবে এসব বিষয়ে সরকার বা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো তথ‍্য জানা যাচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত