মো. আকতারুজ্জামান চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটের দিন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তবে সনদধারীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে অসনদধারীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগের তীর আনসার ভিডিপির চৌদ্দগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাকিমুর হকের দিকে।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবেন আনসার-ভিডিপি সদস্যরাও। নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে একজন দলনেতাসহ ১৩ জন আনসার সদস্য দায়িত্বে থাকবেন। ১৪৬টি কেন্দ্রের জন্য ১৪২ গ্রুপে ১ হাজার ৮৪৬ জন সদস্য নিয়োগপ্রক্রিয়া চলছে। প্রত্যেক সদস্য দায়িত্ব পালনের জন্য ৬ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা, ২০০ টাকা যাতায়াত, ২৫০ টাকা খাওয়ার বিল পাবেন।
আনসার-ভিডিপি সূত্রে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এ দায়িত্ব পালনে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। কিন্তু আনসার-ভিডিপির চৌদ্দগ্রামের কমান্ডার মুস্তাকিমুর হক সনদধারীদের বাদ দিয়ে অসনদধারী ব্যক্তিদের নিয়োগ দিচ্ছেন। বিনিময়ে তিনি প্রত্যেক গ্রুপ থেকে ২৬ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। টাকা না দেওয়ায় সনদধারীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।
উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামের সনদধারী সরোয়ার আলম মোল্লা জানান, তিনি ২০১৯ সালে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আনসার-ভিডিপির সনদ পান। এরপর থেকে বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে ১৩ সদস্যের একটি গ্রুপের তালিকা উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা মুস্তাকিমুর হকের কাছে জমা দেন। কিন্তু মুস্তাকিমুর প্রতিজনের জন্য ২ হাজার করে টাকা হিসেবে করে মোট ২৬ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই গ্রুপকে তালিকাভুক্ত করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
আনসার ভিডিপির সনদধারী মুগ্ধ চক্রবর্তী, ইয়াকুব হোসাইন, আবদুল্লাহ, আফসার, তারিফা আক্তার, রুনা আক্তারসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, সনদ থাকলেও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না।
আনসার-ভিডিপি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কাজে দায়িত্ব পালন করতে হলে সনদধারীদের নির্দিষ্ট উপজেলার বাসিন্দা হওয়ার প্রয়োজন নেই। জেলার যেকোনো একটি উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হলে তিনি জেলার যেকোনো উপজেলায় সরকারি কাজে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়ে দেখা যায়, সনদধারী আনসার-ভিডিপি সদস্যরা কার্যালয়ে ভিড় করছেন। কর্মকর্তা মুস্তাকিমুর হক ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে অফিস সহকারী টিআই বসিরের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন। এ সময় সনদধারী বেশ কয়েকজনকে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাও দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মুস্তাকিমুর হক বলেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। এখন প্রত্যেকের তালিকা জমা করা হচ্ছে। যাচাই করে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হবে।’
আনসার-ভিডিপির কুমিল্লা জেলা কমান্ডার সাইদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে আমলে নেওয়া হয়েছে। সনদধারী প্রত্যেক সদস্যই উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। যদি কোনো সনদধারী বাদ পড়ে থাকেন, তাঁকে অবশ্যই তালিকাভুক্ত করা হবে।’
টাকার বিনিময়ে অসনদধারীদের নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাইদুল হক বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটের দিন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তবে সনদধারীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে অসনদধারীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগের তীর আনসার ভিডিপির চৌদ্দগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাকিমুর হকের দিকে।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবেন আনসার-ভিডিপি সদস্যরাও। নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে একজন দলনেতাসহ ১৩ জন আনসার সদস্য দায়িত্বে থাকবেন। ১৪৬টি কেন্দ্রের জন্য ১৪২ গ্রুপে ১ হাজার ৮৪৬ জন সদস্য নিয়োগপ্রক্রিয়া চলছে। প্রত্যেক সদস্য দায়িত্ব পালনের জন্য ৬ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা, ২০০ টাকা যাতায়াত, ২৫০ টাকা খাওয়ার বিল পাবেন।
আনসার-ভিডিপি সূত্রে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এ দায়িত্ব পালনে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। কিন্তু আনসার-ভিডিপির চৌদ্দগ্রামের কমান্ডার মুস্তাকিমুর হক সনদধারীদের বাদ দিয়ে অসনদধারী ব্যক্তিদের নিয়োগ দিচ্ছেন। বিনিময়ে তিনি প্রত্যেক গ্রুপ থেকে ২৬ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। টাকা না দেওয়ায় সনদধারীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।
উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামের সনদধারী সরোয়ার আলম মোল্লা জানান, তিনি ২০১৯ সালে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আনসার-ভিডিপির সনদ পান। এরপর থেকে বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে ১৩ সদস্যের একটি গ্রুপের তালিকা উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা মুস্তাকিমুর হকের কাছে জমা দেন। কিন্তু মুস্তাকিমুর প্রতিজনের জন্য ২ হাজার করে টাকা হিসেবে করে মোট ২৬ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই গ্রুপকে তালিকাভুক্ত করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
আনসার ভিডিপির সনদধারী মুগ্ধ চক্রবর্তী, ইয়াকুব হোসাইন, আবদুল্লাহ, আফসার, তারিফা আক্তার, রুনা আক্তারসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, সনদ থাকলেও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না।
আনসার-ভিডিপি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কাজে দায়িত্ব পালন করতে হলে সনদধারীদের নির্দিষ্ট উপজেলার বাসিন্দা হওয়ার প্রয়োজন নেই। জেলার যেকোনো একটি উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হলে তিনি জেলার যেকোনো উপজেলায় সরকারি কাজে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়ে দেখা যায়, সনদধারী আনসার-ভিডিপি সদস্যরা কার্যালয়ে ভিড় করছেন। কর্মকর্তা মুস্তাকিমুর হক ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে অফিস সহকারী টিআই বসিরের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন। এ সময় সনদধারী বেশ কয়েকজনকে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাও দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মুস্তাকিমুর হক বলেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। এখন প্রত্যেকের তালিকা জমা করা হচ্ছে। যাচাই করে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হবে।’
আনসার-ভিডিপির কুমিল্লা জেলা কমান্ডার সাইদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে আমলে নেওয়া হয়েছে। সনদধারী প্রত্যেক সদস্যই উপজেলা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। যদি কোনো সনদধারী বাদ পড়ে থাকেন, তাঁকে অবশ্যই তালিকাভুক্ত করা হবে।’
টাকার বিনিময়ে অসনদধারীদের নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাইদুল হক বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
১৯ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২১ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৩৬ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে