রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের রামুতে আদালতের আদেশ অমান্য করে মা-বোনকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়ে লুটপাট করেছে দুই ভাই। আজ শুক্রবার সকালে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদিঘীর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত দুই ভাই হলেন শফি আলম (৩০) ও শাহ আলম (৩৫)।
আজ শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের বাইরে বসে বিলাপ ধরে কাঁদছে বৃদ্ধা আজু মেহের ও তার মেয়ে খালেদা বেগম। তাদের বাড়ির সব আসবাবপত্র ও রান্নার থালা বাসন লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মারধরের শিকার বৃদ্ধা আজু মেহের (৭৫) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে মা-মেয়ে সরকারি একটি খাস জমিতে বাস করছি। আমার দুই ছেলে এই জমি দখলের জন্য এর আগেও কয়েক দফায় আমাদের ওপর হামলা করেছে। ঘর ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমি নিরুপায়।’
গত ৩০ মার্চ মা-মেয়ের ওপর হামলা ও জমি দখলের বিষয়টি এলাকার মোক্তার আহমদসহ কয়েকজন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মাহবুবুর রহমানকে জানান। মাহবুবুর রহমান বিনা মূল্যে এই মামলা লড়ার জন্য এগিয়ে আসেন। তিনি রামু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৃদ্ধা মা আজু মেহেরের পক্ষে পারিবারিক সহিংসতা আইনে মামলা করেন। এ মামলায় রামু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফের আদালত ভুক্তোভুগির পক্ষে রায় দেন।
আজকের পত্রিকার হাতে আসা আদেশনামায় দেখা যায়, বৃদ্ধা মা আজু মেহেরকে তার ঘরে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি রামু থানা-পুলিশ যাতে বৃদ্ধাকে নিরাপত্তা দেন সে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর পরই রামু থানা-পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার বৃদ্ধা আজু মেহেরকে ঘরে পুনর্বহাল করেন।
এরপর আজ শুক্রবার সকালে আবারও বৃদ্ধার ঘর ভাঙচুর ও হামলা চালায় দুই ছেলে শফি ও শাহ আলম। ঘটনা জানার পর এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান শফি ও শাহ আলম।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হিমেল রায় বলেন, ‘আমরা আদালতের আদেশ পাওয়ার পর পরই বৃদ্ধা আজু মেহেরকে তার ঘরে পুনর্বহাল করে গিয়েছিলাম। আজ সকালে আবারও হামলা চালিয়েছে তার দুই ছেলে। ঘটনাস্থলে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে গেছে। আসামিদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
ঘটনার বিষয়ে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমাদের সমাজ এখনো অতটা অধপতন হয়নি। বৃদ্ধার পক্ষে আমরা আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি। বৃদ্ধার পক্ষে তাকে নিজ বাড়িতে পুনর্বহালের আদেশ হলেও আসামিরা বারবার বৃদ্ধার ওপর হামলা ও ঘরবাড়ি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকার বাসিন্দা মোক্তার আহমদ বলেন, ‘বৃদ্ধা আজু মেহের সর্বহারা। তার পক্ষে আমরা আদালতে গিয়েছি। আদালত বৃদ্ধার পক্ষে রায় দেওয়ার পরেও এবং রামু থানা-পুলিশ কয়েকবার এসে আসামিদের বোঝানোর পরেও তারা বেপরোয়া হয়ে গেছে।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শফি ও শাহ আলমের ঘরে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেননি।
কক্সবাজারের রামুতে আদালতের আদেশ অমান্য করে মা-বোনকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়ে লুটপাট করেছে দুই ভাই। আজ শুক্রবার সকালে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদিঘীর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত দুই ভাই হলেন শফি আলম (৩০) ও শাহ আলম (৩৫)।
আজ শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের বাইরে বসে বিলাপ ধরে কাঁদছে বৃদ্ধা আজু মেহের ও তার মেয়ে খালেদা বেগম। তাদের বাড়ির সব আসবাবপত্র ও রান্নার থালা বাসন লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মারধরের শিকার বৃদ্ধা আজু মেহের (৭৫) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে মা-মেয়ে সরকারি একটি খাস জমিতে বাস করছি। আমার দুই ছেলে এই জমি দখলের জন্য এর আগেও কয়েক দফায় আমাদের ওপর হামলা করেছে। ঘর ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমি নিরুপায়।’
গত ৩০ মার্চ মা-মেয়ের ওপর হামলা ও জমি দখলের বিষয়টি এলাকার মোক্তার আহমদসহ কয়েকজন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মাহবুবুর রহমানকে জানান। মাহবুবুর রহমান বিনা মূল্যে এই মামলা লড়ার জন্য এগিয়ে আসেন। তিনি রামু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৃদ্ধা মা আজু মেহেরের পক্ষে পারিবারিক সহিংসতা আইনে মামলা করেন। এ মামলায় রামু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফের আদালত ভুক্তোভুগির পক্ষে রায় দেন।
আজকের পত্রিকার হাতে আসা আদেশনামায় দেখা যায়, বৃদ্ধা মা আজু মেহেরকে তার ঘরে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি রামু থানা-পুলিশ যাতে বৃদ্ধাকে নিরাপত্তা দেন সে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর পরই রামু থানা-পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার বৃদ্ধা আজু মেহেরকে ঘরে পুনর্বহাল করেন।
এরপর আজ শুক্রবার সকালে আবারও বৃদ্ধার ঘর ভাঙচুর ও হামলা চালায় দুই ছেলে শফি ও শাহ আলম। ঘটনা জানার পর এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান শফি ও শাহ আলম।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হিমেল রায় বলেন, ‘আমরা আদালতের আদেশ পাওয়ার পর পরই বৃদ্ধা আজু মেহেরকে তার ঘরে পুনর্বহাল করে গিয়েছিলাম। আজ সকালে আবারও হামলা চালিয়েছে তার দুই ছেলে। ঘটনাস্থলে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে গেছে। আসামিদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
ঘটনার বিষয়ে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমাদের সমাজ এখনো অতটা অধপতন হয়নি। বৃদ্ধার পক্ষে আমরা আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি। বৃদ্ধার পক্ষে তাকে নিজ বাড়িতে পুনর্বহালের আদেশ হলেও আসামিরা বারবার বৃদ্ধার ওপর হামলা ও ঘরবাড়ি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকার বাসিন্দা মোক্তার আহমদ বলেন, ‘বৃদ্ধা আজু মেহের সর্বহারা। তার পক্ষে আমরা আদালতে গিয়েছি। আদালত বৃদ্ধার পক্ষে রায় দেওয়ার পরেও এবং রামু থানা-পুলিশ কয়েকবার এসে আসামিদের বোঝানোর পরেও তারা বেপরোয়া হয়ে গেছে।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শফি ও শাহ আলমের ঘরে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেননি।
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৯ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৯ ঘণ্টা আগে