পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদার হত্যার ঘটনায় আসামিদের হুমকিতে আতঙ্কে রয়েছে তাঁর পরিবার। মামলার প্রধান আসামি সিদ্দিকুর রহমানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও অন্য আসামি ও তাঁদের স্বজনেরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, এলাকায় মামলার প্রধান আসামি সিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর ভাই কামালের বিভিন্ন সমাজবিরোধী কাজে বাধা দেওয়ার কারণে মামুন হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন আসামিরা। আসামিদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এখনো মামুনের পরিবার ও তাঁর ভাইদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে আসামিরা। মামলা থেকে আসামিদের বাদ দিতে কৌশলে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ মামুনের পরিবারের লোকজনের।
নিহত মামুন হাওলাদারের স্ত্রী নিলুফা বেগম জানান, আসামিদের দেওয়া হুমকিতে প্রতিনিয়তই আতঙ্কে আর ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজন গ্রেপ্তার হলেও এখনো অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। আসামি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রতিনিয়তই হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। নিলুফার ছেলেরা দিনে ও রাতে আসামিদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। কেন তাদের নামে মামলা করা হলো! কেন তাদের আসামি করা হলো—এ নিয়ে তাঁরা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
মামুন হাওলাদারের বড় ছেলে রাজিব বলেন, ‘খুব নৃশংসভাবে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারা। বাবার মুখটা চেনা যাচ্ছিল না। আমার ১০ বছর বয়সী ছোট ভাইটা বাবার শোকে পাগল হয়ে গেছে। কবর দেওয়ার আগে বাবাকে চেনা যাচ্ছিল না এমনভাবে কুপিয়েছে তারা। এখন আবার বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে আমাদের ছাড়বে না। পরিবারের ছোট ছোট ভাই-বোন নিয়ে আমরা অসহায় দিন যাপন করতেছি।’
ইউপি সদস্যের বড় ভাই নান্না হাওলাদার বলেন, ‘আমরা কেউই রাতে বের হতি পারি না, দিনেও অনেক ভয়ে বের হতে হয়। কারণ তারা আমাদের অনেক হুমকি দিচ্ছে। কয়েকজন আসামি ধরা হলেও বাকিরা পলাতক রয়েছে। আমরা অনেক আতঙ্কে আছি, কখন তারা কী করে! আমার ভাই অনেক জনপ্রিয় ছিল। টানা দুবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল বিপুল ভোটের ব্যবধানে। আমাদের অবস্থা আমার ভাইয়ের মতো করবে বলে হুমকি দেয় তারা। অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছি আমরা।’
মামুনের ছোট ভাই মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের বাড়ি কাউখালীর মধ্যে হলেও চলাচল করতে হয় ভান্ডারিয়ার মধ্য দিয়ে। তাই পথ অনেক দুর্গম হওয়ায় আতঙ্ক অনেক বেশি। তারা (আসামিরা) প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাড়িতে একবারও পুলিশ আসেনি, কোনো খোঁজ-খবরও নেয়নি। দুর্গম এলাকা বলে হয়তো পুলিশ আসে না। কিন্তু আমরা অনেক আতঙ্কে আছি।’
এ বিষয়ে ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিদ্দিকুল ইসলাম ইব্রাহিম বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে সকালবেলা এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শিয়ালকাঠি ও ভিটাবাড়িয়া এলাকার মানুষ অনেক আতঙ্কে রয়েছে। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।’
ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে প্রধান আসামিসহ ঢাকা থেকে একজন এবং পিরোজপুর থেকে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ প্রতিনিয়তই এলাকায় খোঁজ-খবর নিচ্ছে এবং বিষয়টি নজরে রাখছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাণ্ডারিয়ার উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পাশের সড়কের কালভার্টের কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদারকে (৪৫)। তিনি পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। নির্বাচনী জেরে তাঁকে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদার হত্যার ঘটনায় আসামিদের হুমকিতে আতঙ্কে রয়েছে তাঁর পরিবার। মামলার প্রধান আসামি সিদ্দিকুর রহমানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও অন্য আসামি ও তাঁদের স্বজনেরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, এলাকায় মামলার প্রধান আসামি সিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর ভাই কামালের বিভিন্ন সমাজবিরোধী কাজে বাধা দেওয়ার কারণে মামুন হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন আসামিরা। আসামিদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এখনো মামুনের পরিবার ও তাঁর ভাইদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে আসামিরা। মামলা থেকে আসামিদের বাদ দিতে কৌশলে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ মামুনের পরিবারের লোকজনের।
নিহত মামুন হাওলাদারের স্ত্রী নিলুফা বেগম জানান, আসামিদের দেওয়া হুমকিতে প্রতিনিয়তই আতঙ্কে আর ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজন গ্রেপ্তার হলেও এখনো অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। আসামি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রতিনিয়তই হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। নিলুফার ছেলেরা দিনে ও রাতে আসামিদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। কেন তাদের নামে মামলা করা হলো! কেন তাদের আসামি করা হলো—এ নিয়ে তাঁরা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
মামুন হাওলাদারের বড় ছেলে রাজিব বলেন, ‘খুব নৃশংসভাবে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারা। বাবার মুখটা চেনা যাচ্ছিল না। আমার ১০ বছর বয়সী ছোট ভাইটা বাবার শোকে পাগল হয়ে গেছে। কবর দেওয়ার আগে বাবাকে চেনা যাচ্ছিল না এমনভাবে কুপিয়েছে তারা। এখন আবার বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে আমাদের ছাড়বে না। পরিবারের ছোট ছোট ভাই-বোন নিয়ে আমরা অসহায় দিন যাপন করতেছি।’
ইউপি সদস্যের বড় ভাই নান্না হাওলাদার বলেন, ‘আমরা কেউই রাতে বের হতি পারি না, দিনেও অনেক ভয়ে বের হতে হয়। কারণ তারা আমাদের অনেক হুমকি দিচ্ছে। কয়েকজন আসামি ধরা হলেও বাকিরা পলাতক রয়েছে। আমরা অনেক আতঙ্কে আছি, কখন তারা কী করে! আমার ভাই অনেক জনপ্রিয় ছিল। টানা দুবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল বিপুল ভোটের ব্যবধানে। আমাদের অবস্থা আমার ভাইয়ের মতো করবে বলে হুমকি দেয় তারা। অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছি আমরা।’
মামুনের ছোট ভাই মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের বাড়ি কাউখালীর মধ্যে হলেও চলাচল করতে হয় ভান্ডারিয়ার মধ্য দিয়ে। তাই পথ অনেক দুর্গম হওয়ায় আতঙ্ক অনেক বেশি। তারা (আসামিরা) প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাড়িতে একবারও পুলিশ আসেনি, কোনো খোঁজ-খবরও নেয়নি। দুর্গম এলাকা বলে হয়তো পুলিশ আসে না। কিন্তু আমরা অনেক আতঙ্কে আছি।’
এ বিষয়ে ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিদ্দিকুল ইসলাম ইব্রাহিম বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে সকালবেলা এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শিয়ালকাঠি ও ভিটাবাড়িয়া এলাকার মানুষ অনেক আতঙ্কে রয়েছে। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।’
ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে প্রধান আসামিসহ ঢাকা থেকে একজন এবং পিরোজপুর থেকে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ প্রতিনিয়তই এলাকায় খোঁজ-খবর নিচ্ছে এবং বিষয়টি নজরে রাখছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাণ্ডারিয়ার উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পাশের সড়কের কালভার্টের কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদারকে (৪৫)। তিনি পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। নির্বাচনী জেরে তাঁকে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহতরা রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন। আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাঁরা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের দুই পাশের সড়কে ব্যারিকেড দেন। আহত বেশ কয়েকজন সড়কের ওপর শুয়ে পড়েন।
১৩ মিনিট আগেবাংলা, আরবি, হিন্দি, উর্দু ভাষায় আখেরি মোনাজাতে গোটা দুনিয়ায় পথভ্রষ্ট মুসলমানের পাপের ক্ষমা, সঠিক পথের দিশা চেয়ে এবং তাবলিগের কাজে সবাইকে নিয়োজিত হওয়ার তৌফিক কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।
১৭ মিনিট আগেচাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক এস এম জয়নাল আবেদীনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে শহরের হাজী মহসীন রোডে মেট্রো বেকারি থেকে তাঁকে আটক করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা-পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেছাত্রদল চায় জাকসুর গঠনতন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন হোক। এ নিয়ে তারা গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
১ ঘণ্টা আগে