Ajker Patrika

আমতলী-তালতলীতে ডুবে গেছে ধানের বীজতলা, ঘের-ফেরিঘাট

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ও গত তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে বরগুনার আমতলীতে পায়রা নদীর ফেরিঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ও গত তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে বরগুনার আমতলীতে পায়রা নদীর ফেরিঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ও গত তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সারা দিনে সূর্যের দেখা মেলেনি। পানিতে তলিয়ে গেছে আউশের ধানের বীজতলা, মাছের ঘের ও পানের বরজ।

পৌরসভা এলাকাসহ উপজেলা দুটির নিম্নাঞ্চলে পানিতে থই থই করছে। পৌরসভার পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা ভালো না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরবাসী। পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে যাওয়ায় আমতলী-পুরাঘাটা ফেরিঘাট ডুবে গেছে। এতে তিন ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।

জানা গেছে, গত তিন দিনে আমতলীতে ১১৯ ও তালতলীতে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলী উপজেলার অধিকাংশ আউশ ধানের বীজতলা, মাছের ঘের ও পানের বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে। আমতলী ও তালতলীতে ১ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ধানের বীজতলা করা হয়েছে। এর মধ্যে আমতলীতে ৮৫০ ও তালতলীতে ১৫০ হেক্টর বীজতলা রয়েছে।

পূর্ণিমার জোয়ারে পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে বলে জানান গেজ রিডার আবুল কালাম আজাদ। এতে আমতলী-পুরাঘাটা ফেরি গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় ফেরিতে গাড়ি ওঠানামা করতে পারেনি। ফলে বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানান ইজারাদার সিদ্দিকুর রহমান।

মাছচাষিরা জানিয়েছেন, দুই উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের অধিকাংশ মাছের ঘের ও বাঁধের ভেতরের বিভিন্ন এলাকার পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। তাঁরা ঘেরের পাড়ে জাল দিয়ে মাছ আটকে রেখেছেন।

বরগুনার আমতলীর এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থই থই পানি। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরগুনার আমতলীর এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থই থই পানি। ছবি: আজকের পত্রিকা

আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোছা. ফেরদৌসি আক্তার বলেন, পানি কলেজ ভবনের বারান্দা গড়িয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছে। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এতে ক্লাসে পাঠদান বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানান তিনি।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘আমি পৌর শহরের পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকা ঘুরে দেখেছি। তাতে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রুত যেন পানি নিষ্কাশন হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত