এস আই মুকুল, চরফ্যাশন (ভোলা)
অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে চরফ্যাশন আন্তজেলা বাস টার্মিনাল। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক মানের এ বাস টার্মিনালটিতে নোংরা পানি ও আবর্জনার স্তূপ থেকে প্রতিনিয়ত ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ ছাড়া টার্মিনালের প্রবেশদ্বারে একই অবস্থা। টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে রয়েছে ময়লার ভাগাড়। চরফ্যাশন শহরের একমাত্র ময়লার ভাগাড় এটি। বাজারের সব ধরনের আবর্জনা ও বাসাবাড়ি আবর্জনা এখানে ফেলা হয়। সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় এখান থেকেও ছড়াচ্ছে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ। চরফ্যাশন শহরের প্রধান প্রবেশদ্বার হওয়ায় যাত্রী ও পথচারীরা এখান দিয়ে নাক চেপে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনালজুড়েই ময়লা। বিভিন্ন জায়গায় জমে আছে পানি। প্রতিদিন টার্মিনালে অর্ধশত বাস ধোয়ামোছার কাজ করা হয়। সেসব পানি জমে থাকে টার্মিনালের ভেতরেই। খোলা রয়েছে টার্মিনালের সেফটিক ট্যাংকের ঢাকনা। সেখান থেকে পচা পানির দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। শৌচাগারগুলোরও বেহাল অবস্থা। টিকিট কাউন্টারগুলোতে জমেছে ধুলোর স্তূপ।
চরফ্যাশন পৌরসভার তথ্যমতে, পৌরসভার অর্থায়নে চরফ্যাশন হেলিপ্যাড সংলগ্ন ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক প্রধান সড়কের পাশে ৩ একর জায়গায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মিত হয়। ২০১৮ সালে টার্মিনালটি উদ্বোধন করা হয়। এই টার্মিনালে রয়েছে সাড়ে ৭ হাজার স্কয়ার ফুটের উন্নতমানের কাচে মোড়ানো তিনতলা ভবন। যে ভবনে সাধারণ যাত্রীদের বিশ্রামাগার ছাড়াও অত্যাধুনিক সুবিধার ভিআইপি বিশ্রামাগার, রেস্টুরেন্ট, মসজিদ, হলরুম, মিটিং রুম, দশটি চায়ের দোকান, পর্যাপ্ত শৌচাগারসহ প্রত্যেক রুটের জন্য পৃথক টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ, এসব আধুনিক সুবিধা থাকলে বাস্তবে তার সঠিক ব্যবহার নেই। দূর থেকে আসা যাত্রীরা গন্তব্যে যাওয়ার অপেক্ষায় টার্মিনালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অধিকাংশ বাসচালক ও স্টাফ ডিপোতে থাকা বাসের আশপাশেই মলমূত্র ত্যাগ করেন। এতে করে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি না থাকায় টার্মিনালের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে একসময় যাত্রীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে।
ভোলা বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, ভোলা থেকে প্রতিদিন চরফ্যাশন, চেয়ারম্যানহাট, দক্ষিণ আইচা, দৌলতখান, ইলিশা, ভেদুরিয়াসহ নয়টি রুটে ১৭৪টি বাস চলাচল করে।
স্থানীয় বাস চালক আবুল কালাম বলেন, 'বৃহৎ এ বাস টার্মিনালটি হওয়ায় আমাদের অনেক ভালো হয়েছে। আগে প্রধান সড়কে বাস রাখতে হতো। এখন আর সে সমস্যা নাই। ট্রিপ শেষ হলে টার্মিনালে বাস রেখে বাড়ি চলে যাই। তবে দু-একজন স্টাফ বাসে ঘুমায়। যত দূর জানি এরা টার্মিনালের ভেতরের শৌচাগার ব্যবহার করে।'
ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, 'এ বাস টার্মিনালটি দায়দায়িত্ব চরফ্যাশন পৌরসভার। তবে বাস চালক ও স্টাফ কর্তৃক টার্মিনাল নোংরা হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই। মূলত সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় নষ্ট হচ্ছে টার্মিনালের সৌন্দর্য ও পরিবেশ।'
চরফ্যাশন পৌরসভা মেয়র মো. মোরশেদ জানান, 'বাস টার্মিনালে অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া বাজারসহ বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনার সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য পৌরশহর থেকে কিছুটা দূরে একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে। আশকারি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।'
অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে চরফ্যাশন আন্তজেলা বাস টার্মিনাল। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আধুনিক মানের এ বাস টার্মিনালটিতে নোংরা পানি ও আবর্জনার স্তূপ থেকে প্রতিনিয়ত ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ ছাড়া টার্মিনালের প্রবেশদ্বারে একই অবস্থা। টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে রয়েছে ময়লার ভাগাড়। চরফ্যাশন শহরের একমাত্র ময়লার ভাগাড় এটি। বাজারের সব ধরনের আবর্জনা ও বাসাবাড়ি আবর্জনা এখানে ফেলা হয়। সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় এখান থেকেও ছড়াচ্ছে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ। চরফ্যাশন শহরের প্রধান প্রবেশদ্বার হওয়ায় যাত্রী ও পথচারীরা এখান দিয়ে নাক চেপে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনালজুড়েই ময়লা। বিভিন্ন জায়গায় জমে আছে পানি। প্রতিদিন টার্মিনালে অর্ধশত বাস ধোয়ামোছার কাজ করা হয়। সেসব পানি জমে থাকে টার্মিনালের ভেতরেই। খোলা রয়েছে টার্মিনালের সেফটিক ট্যাংকের ঢাকনা। সেখান থেকে পচা পানির দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। শৌচাগারগুলোরও বেহাল অবস্থা। টিকিট কাউন্টারগুলোতে জমেছে ধুলোর স্তূপ।
চরফ্যাশন পৌরসভার তথ্যমতে, পৌরসভার অর্থায়নে চরফ্যাশন হেলিপ্যাড সংলগ্ন ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক প্রধান সড়কের পাশে ৩ একর জায়গায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মিত হয়। ২০১৮ সালে টার্মিনালটি উদ্বোধন করা হয়। এই টার্মিনালে রয়েছে সাড়ে ৭ হাজার স্কয়ার ফুটের উন্নতমানের কাচে মোড়ানো তিনতলা ভবন। যে ভবনে সাধারণ যাত্রীদের বিশ্রামাগার ছাড়াও অত্যাধুনিক সুবিধার ভিআইপি বিশ্রামাগার, রেস্টুরেন্ট, মসজিদ, হলরুম, মিটিং রুম, দশটি চায়ের দোকান, পর্যাপ্ত শৌচাগারসহ প্রত্যেক রুটের জন্য পৃথক টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এ টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ, এসব আধুনিক সুবিধা থাকলে বাস্তবে তার সঠিক ব্যবহার নেই। দূর থেকে আসা যাত্রীরা গন্তব্যে যাওয়ার অপেক্ষায় টার্মিনালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অধিকাংশ বাসচালক ও স্টাফ ডিপোতে থাকা বাসের আশপাশেই মলমূত্র ত্যাগ করেন। এতে করে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি না থাকায় টার্মিনালের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে একসময় যাত্রীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে।
ভোলা বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, ভোলা থেকে প্রতিদিন চরফ্যাশন, চেয়ারম্যানহাট, দক্ষিণ আইচা, দৌলতখান, ইলিশা, ভেদুরিয়াসহ নয়টি রুটে ১৭৪টি বাস চলাচল করে।
স্থানীয় বাস চালক আবুল কালাম বলেন, 'বৃহৎ এ বাস টার্মিনালটি হওয়ায় আমাদের অনেক ভালো হয়েছে। আগে প্রধান সড়কে বাস রাখতে হতো। এখন আর সে সমস্যা নাই। ট্রিপ শেষ হলে টার্মিনালে বাস রেখে বাড়ি চলে যাই। তবে দু-একজন স্টাফ বাসে ঘুমায়। যত দূর জানি এরা টার্মিনালের ভেতরের শৌচাগার ব্যবহার করে।'
ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, 'এ বাস টার্মিনালটি দায়দায়িত্ব চরফ্যাশন পৌরসভার। তবে বাস চালক ও স্টাফ কর্তৃক টার্মিনাল নোংরা হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই। মূলত সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় নষ্ট হচ্ছে টার্মিনালের সৌন্দর্য ও পরিবেশ।'
চরফ্যাশন পৌরসভা মেয়র মো. মোরশেদ জানান, 'বাস টার্মিনালে অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টি আমার জানা নেই। এছাড়া বাজারসহ বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনার সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য পৌরশহর থেকে কিছুটা দূরে একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে। আশকারি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা।
৬ মিনিট আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রামছাড়া হয়েছে সাবেক এক ইউপি সদস্যের পরিবার। আব্দুর রাজ্জাক নামের সাবেক ওই ইউপি সদস্যের বাড়ি গোলপাশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর অভিযোগ, পাঁচ মাদক কারবারি তাঁর ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এ কারণে তিনি মামলা করলে আসামিরা তাঁকে মামলা তুলে নিতে
১০ মিনিট আগে৯ মাস পর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, মেরিনা জাহান কবিতাসহ আওয়ামী লীগের ৭৬ নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০-১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত এস এম কামাল হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ...
১৫ মিনিট আগে