নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আন্দোলনের মুখে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার সকালে তাঁর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ শুরু হলে দুপুর ১২টার দিকে তিনি পদত্যাগ করেন।
ডা. সাইফুল ইসলাম নিজেই আজকের পত্রিকাকে তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তিনি এই বরিশালেরই সন্তান। এ জন্য শেবাচিমের প্রতি তাঁর আবেগ আছে। কিন্তু পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরে এসেছেন। ওই পদে আর থাকছেন না।
পদত্যাগপত্রে সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘হাসপাতাল পরিচালনা করতে অপরাগ বিধায় আমি স্বেচ্ছায়–স্বজ্ঞানে অত্র হাসপাতালের পরিচালনার দায়িত্ব থেকে বিরত আছি।’ দায়িত্ব হস্তান্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে পদত্যাগপত্রে।
আন্দোলনকারীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ডা. সাইফুল ইসলাম আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ৩ আগস্ট শান্তি সমাবেশ করেছিলেন।
শেবাচিম হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান। ডা. সাইফুল ইসলাম ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল শেবাচিমের পরিচালক পদে যোগ দেন। এর আগে তিনি শেবাচিমের ক্যাম্পাসের ভেতরে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ ছিলেন।
ডা. সাইফুলের বাড়ি গৌরনদী উপজেলায়। সেখানকার সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রভাবশালী নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ শেবাচিম স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন। গুঞ্জন রয়েছে, হাসানাতের লোক হিসেবে ডা. সাইফুল শেবাচিমে পদায়ন হয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালে প্রথমে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা পরিচালকের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন সাইফুল ইসলাম। পরে সহকর্মী চিকিৎসকেরা তাঁকে নিরাপদে ক্যাম্পাস ছাড়তে সহযোগিতা করেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পরিচালক হাসপাতালে নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক লাঞ্ছিত হলে পরিচালক কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি।
উল্লেখ্য, গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসক সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ছয় চিকিৎসককে শেবাচিম ও হাসপাতালে আজীবন নিষিদ্ধ করে আন্দোলনকারীরা। তাঁদের চাপের মুখে পরিচালক ডা. সাইফুল ছয় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছিলেন।
আন্দোলনের মুখে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার সকালে তাঁর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ শুরু হলে দুপুর ১২টার দিকে তিনি পদত্যাগ করেন।
ডা. সাইফুল ইসলাম নিজেই আজকের পত্রিকাকে তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তিনি এই বরিশালেরই সন্তান। এ জন্য শেবাচিমের প্রতি তাঁর আবেগ আছে। কিন্তু পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরে এসেছেন। ওই পদে আর থাকছেন না।
পদত্যাগপত্রে সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘হাসপাতাল পরিচালনা করতে অপরাগ বিধায় আমি স্বেচ্ছায়–স্বজ্ঞানে অত্র হাসপাতালের পরিচালনার দায়িত্ব থেকে বিরত আছি।’ দায়িত্ব হস্তান্তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে পদত্যাগপত্রে।
আন্দোলনকারীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ডা. সাইফুল ইসলাম আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ৩ আগস্ট শান্তি সমাবেশ করেছিলেন।
শেবাচিম হাসপাতাল দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান। ডা. সাইফুল ইসলাম ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল শেবাচিমের পরিচালক পদে যোগ দেন। এর আগে তিনি শেবাচিমের ক্যাম্পাসের ভেতরে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ ছিলেন।
ডা. সাইফুলের বাড়ি গৌরনদী উপজেলায়। সেখানকার সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রভাবশালী নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ শেবাচিম স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন। গুঞ্জন রয়েছে, হাসানাতের লোক হিসেবে ডা. সাইফুল শেবাচিমে পদায়ন হয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালে প্রথমে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা পরিচালকের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন সাইফুল ইসলাম। পরে সহকর্মী চিকিৎসকেরা তাঁকে নিরাপদে ক্যাম্পাস ছাড়তে সহযোগিতা করেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পরিচালক হাসপাতালে নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসক লাঞ্ছিত হলে পরিচালক কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি।
উল্লেখ্য, গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসক সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ছয় চিকিৎসককে শেবাচিম ও হাসপাতালে আজীবন নিষিদ্ধ করে আন্দোলনকারীরা। তাঁদের চাপের মুখে পরিচালক ডা. সাইফুল ছয় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছিলেন।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ চড়া দামে বাইরে থেকে কিনছেন, কেউ আবার টিকা না পাওয়ার ভুগছেন দুশ্চিন্তায়।
৪ মিনিট আগেঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ শুক্রবার। পদ্মার উজানে ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজ তৈরি করে পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জমায়েত হয়েছিলেন। এখান থেকেই সেদিন মরণ বাঁধ ফারাক্কা অভিমুখে...
৮ মিনিট আগেবৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন...
১৩ মিনিট আগেরাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পলিথিন কারখানায় সারা দিন পলিথিন তৈরির পর রাতের আঁধারে বস্তায় ভরে গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হতো। একবার সিলগালার পরও গোপনে পলিথিন তৈরি করা হতো। ফের সেনাবাহিনী ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে