লবীব আহমদ, সিলেট
বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
এভাবে গত এক যুগে জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী মুক্তি মেলেনি। উল্টো নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কোনোভাবেই সম্ভব নয়, এটিকে মানিয়ে নিতে হবে। এতে নগরবাসীর মনে দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেন নির্মাণের দাবিতে সিসিকের প্রশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মো. রেজা-উন-নবীর কাছে স্মারকলিপি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন কোনো পরিকল্পনা না করে মনমতো বাজেট দিয়ে কাজ করছে। একই জায়গায় বারবার উন্নয়নকাজ হচ্ছে। সব জায়গায় একই নীতিতে কাজ চলছে। পরিকল্পনা করে কাজ করলে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব।
২০০২ সাল থেকে সিলেট নগরীর তালতলা এলাকায় বসবাস করছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মোবারক হোসেন। তখন বর্ষাকালে ওই এলাকায় শান্তিতে থাকলেও তিন বছর ধরে আর পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আগেও বৃষ্টি হতো, কিন্তু এখনকার মতো বাসায় পানি উঠত না। ২০২২-এর বন্যার সময় থেকেই যেন দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে গেছে বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি ঢোকা। এ ভোগান্তির শেষ কোথায় জানি না।’
শুধু তালতলা এলাকা নয়, নগরীর বিভিন্ন এলাকারও একই অবস্থা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিসিকে ৪৫টি খাল রয়েছে। আর ৮৮০ কিলোমিটার রাস্তায় নালা-নর্দমা রয়েছে ১ হাজার ৬৮ কিলোমিটার। আগে নগরীতে অনেক খালি জায়গা থাকায় বৃষ্টির পানি সহজেই নিষ্কাশন হতো। এখন নগরের বেশির ভাগ জায়গা পাকা হওয়ায় সেই সুযোগ কমেছে। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। তিন বছর আগেও সিটি করপোরেশনের ২২ শতাংশ এলাকা জলাধার ছিল। বর্তমানে তা ৮-১০ শতাংশে নেমে এসেছে। চলতি বছর নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালকা বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর দরগামহল্লা, পায়রা, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ী, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, সোবহানীঘাট, উপশহর, যতরপুর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদীঘিরপাড়, পাঠানটুলা, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহি ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মিরাবাজার, মাছিমপুর, মেজরটিলা, ইসলামপুর, খাসদবীর, জামতলা ও তালতলা এলাকা প্রথমেই নিমজ্জিত হয়। আর টানা ভারী বৃষ্টিপাত হলে একই চিত্র তৈরি হয় শহরজুড়েই।
নগরীর একাধিক বাসিন্দা জানান, ছড়াগুলোয় অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজ ও নর্দমার উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে চলায় পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতিপথ এখন রুদ্ধ। এ ছাড়া প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভরাট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ছড়ার উপরিভাগ ঢেকে ‘বক্স কালভার্ট’ নির্মাণ করায় পানিপ্রবাহের গতি আরও রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া খনন না করায় নাব্যতাসংকটে এখন অল্প পানিতেই ভরে যায় সুরমা নদী।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নগরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেড়েছে। এখন অনেক জায়গায় আমাদের পানি যাওয়ার ব্যবস্থা আছে এক বালতি, সেখানে বৃষ্টি হয় ১০ বালতি। এটার জন্য আমরা মানুষজনকে উঁচু করে বাসাবাড়ি তৈরি করার জন্য বলেছি। আর বৃষ্টি হলে অপেক্ষা করতে হবে পানি নামার জন্য। কারণ, কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেই জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব নয়। তবুও আমরা প্রতিবছর চেষ্টা করি যতটা পারা যায় সমস্যা দূর করার।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগের চেয়ে এখন বেশি বৃষ্টিপাত হয়। নগরে আগের পুকুর-জলাশয়গুলো এখন নেই। যে কারণে বৃষ্টির পানি জমার মতো জায়গা না থাকায় রাস্তা ডুবে যায়, বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তবে পরিকল্পনা করে কাজ করা হলে জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি ওঠে। এতে জলজটে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিবছরই শতকোটি টাকার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন খাল উদ্ধার, খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
এভাবে গত এক যুগে জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী মুক্তি মেলেনি। উল্টো নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কোনোভাবেই সম্ভব নয়, এটিকে মানিয়ে নিতে হবে। এতে নগরবাসীর মনে দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেন নির্মাণের দাবিতে সিসিকের প্রশাসক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মো. রেজা-উন-নবীর কাছে স্মারকলিপি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন কোনো পরিকল্পনা না করে মনমতো বাজেট দিয়ে কাজ করছে। একই জায়গায় বারবার উন্নয়নকাজ হচ্ছে। সব জায়গায় একই নীতিতে কাজ চলছে। পরিকল্পনা করে কাজ করলে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব।
২০০২ সাল থেকে সিলেট নগরীর তালতলা এলাকায় বসবাস করছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মোবারক হোসেন। তখন বর্ষাকালে ওই এলাকায় শান্তিতে থাকলেও তিন বছর ধরে আর পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আগেও বৃষ্টি হতো, কিন্তু এখনকার মতো বাসায় পানি উঠত না। ২০২২-এর বন্যার সময় থেকেই যেন দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে গেছে বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি ঢোকা। এ ভোগান্তির শেষ কোথায় জানি না।’
শুধু তালতলা এলাকা নয়, নগরীর বিভিন্ন এলাকারও একই অবস্থা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিসিকে ৪৫টি খাল রয়েছে। আর ৮৮০ কিলোমিটার রাস্তায় নালা-নর্দমা রয়েছে ১ হাজার ৬৮ কিলোমিটার। আগে নগরীতে অনেক খালি জায়গা থাকায় বৃষ্টির পানি সহজেই নিষ্কাশন হতো। এখন নগরের বেশির ভাগ জায়গা পাকা হওয়ায় সেই সুযোগ কমেছে। সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। তিন বছর আগেও সিটি করপোরেশনের ২২ শতাংশ এলাকা জলাধার ছিল। বর্তমানে তা ৮-১০ শতাংশে নেমে এসেছে। চলতি বছর নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালকা বৃষ্টি হলেই সিলেট নগরীর দরগামহল্লা, পায়রা, কাজলশাহ, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ী, কালীবাড়ি, হাওলাদারপাড়া, সোবহানীঘাট, উপশহর, যতরপুর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, কেওয়াপাড়া, সাগরদীঘিরপাড়, পাঠানটুলা, মিয়া ফাজিলচিশত, জালালাবাদ, হাউজিং এস্টেট, শাহি ঈদগাহ, ঘাসিটুলা, হাওয়াপাড়া, মিরাবাজার, মাছিমপুর, মেজরটিলা, ইসলামপুর, খাসদবীর, জামতলা ও তালতলা এলাকা প্রথমেই নিমজ্জিত হয়। আর টানা ভারী বৃষ্টিপাত হলে একই চিত্র তৈরি হয় শহরজুড়েই।
নগরীর একাধিক বাসিন্দা জানান, ছড়াগুলোয় অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজ ও নর্দমার উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে চলায় পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতিপথ এখন রুদ্ধ। এ ছাড়া প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভরাট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও ছড়ার উপরিভাগ ঢেকে ‘বক্স কালভার্ট’ নির্মাণ করায় পানিপ্রবাহের গতি আরও রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া খনন না করায় নাব্যতাসংকটে এখন অল্প পানিতেই ভরে যায় সুরমা নদী।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নগরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেড়েছে। এখন অনেক জায়গায় আমাদের পানি যাওয়ার ব্যবস্থা আছে এক বালতি, সেখানে বৃষ্টি হয় ১০ বালতি। এটার জন্য আমরা মানুষজনকে উঁচু করে বাসাবাড়ি তৈরি করার জন্য বলেছি। আর বৃষ্টি হলে অপেক্ষা করতে হবে পানি নামার জন্য। কারণ, কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করেই জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব নয়। তবুও আমরা প্রতিবছর চেষ্টা করি যতটা পারা যায় সমস্যা দূর করার।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগের চেয়ে এখন বেশি বৃষ্টিপাত হয়। নগরে আগের পুকুর-জলাশয়গুলো এখন নেই। যে কারণে বৃষ্টির পানি জমার মতো জায়গা না থাকায় রাস্তা ডুবে যায়, বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তবে পরিকল্পনা করে কাজ করা হলে জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ওয়াহেদ মন্ডল (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের বাজে রাউতাল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীতে সকালে বাসা থেকে বেরোনোর পর দুপুরে নালা থেকে মো. মামুন (৩৭) নামের এক রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে নগরের খুলশী থানার টাইগারপাস মোড়ে নালা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
৯ মিনিট আগেনেত্রকোনায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোররাত পৌনে ৫টার দিকে জেলা সদরের রাজুর বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগেবরিশালের আগৈলঝাড়ার বর্ষা মৌসুমে চলাচল, জীবিকা ও পণ্য পরিবহনের অন্যতম বাহন হচ্ছে নৌকা। বর্ষায় চলাচলের জন্য নৌকা কেনেন নিম্নাঞ্চলের লোকজন। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলাকার জেলেদের মাছ ধরতে ও যাতায়াতের জন্য ডিঙিনৌকা দরকার হয়। সব মিলিয়ে বর্ষা মৌসুম এলে এখানে বেড়ে যায় নৌকার কদর।
২৩ মিনিট আগে