কবিতা

নিজের লাশের পাশে দ হয়ে বসে আছি আদুরে আঙুলে শুনছি নিজেরই কঙ্কাল সে কোন জঞ্জাল ফুঁড়ে এসেছি আমি

আমাকে ভালোবাসো?  তাহলে মুখে বলো না আমার চোখ, আমার কণ্ঠস্বর  আমার নিশ্বাস অনুবাদ করো।

না-জাগানো শরীরেরা তপ্ত অপচয়ে বহুদিন ভয়ে ভয়ে                 শুয়েছিল একে অপরকে জড়িয়ে মুক্তার মালা যে রকম আটকে তাই এসেছে নিঃসাড় দম দেহ ছুঁয়ে রাতের ভেতর                যেসব অঙ্গার ভোর

এক শীত সকালে সবিনয়ে এক মুঠো রোদ্দুর চেয়েছিলে,  সেই থেকে হাত ভরে রোদ্দুর নিয়ে বসে আছি,  তোমাকে দেওয়া হয়ে ওঠেনি।

এই সেই অরণ্যের পাতাঢাকা গোপন নদীটি যে কিনা নিজের দেহ আগুনের কাছে  বন্ধক রেখেছে।  স্রোতের বিপক্ষে গিয়ে যে ধারা নিজের জলে পিপাসা মেটায়।‌

মানুষের যাপন-ভাঙন বুঝে  পাখি বলে গেল,        অনেক উত্তর-যুগ শুরু হয়ে গেছে,         শস্যকণা রেখেছ কোথায়?             প্রহরগুলি হৃদয়রক্তমাংসক্ষরণ।

ধরো, আর কালো পর্দা সরিয়ে হাসল না পৃথিবী, প্রজাপতির পাখনা হতে আর ছুটল না বৈরী মাকড়সার জটিল বন্ধন, আর একটি গাছেও লাগল না সুপ্রিয় বসন্ত সবুজ...

মধুগ্রামের সেই বিকেলের শোভা মহৎ শিল্পের মতো আজও রেঙে আছে হৃদয়ের পটে ছোট নদী, সাঁকো পারাপার, একটুখানি দৃষ্টি বিনিময় 

অমি বাবার সঙ্গে এসেছে চিড়িয়াখানায়। এই তার প্রথমবার চিড়িয়াখানায় আসা। ক্লাস টুতে উঠলে বাবা চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসবেন, এমনটাই বলেছিলেন—তাই আসা। প্রথমেই বানরের খাঁচার সামনে এসে দাঁড়াল তারা দুজন। বানরের কাণ্ডকারখানা দেখে অমি বেশ মজা পেল, হাসিও পেল। তার মনে হলো বানরগুলোর অনেক বুদ্ধি। সে বাবাকে বলল,

কাচ-পুকুরে মাছের চাষ কেন রে তুই করতে চাস? যে মাছ থাকে সমুদ্দুরে আনন্দ পায় ঘুরে ঘুরে তাকে কেন চার দেয়ালে বন্দী করিস নিজ খেয়ালে?

কত যে আঁধার সাঁতার পারায়ে তোমার দিকে যাই হাঙরের ঘাঁই, শিরদাঁড়া ভাঙে যেন হাওয়াই মিঠাই— দিকহারা ঢেউ পাহাড় হয়ে আসে, ভাসায় সব ঠাঁই বন্ধুর পথ ঠিকানা তোমার—নাই নাই নাই