অনলাইন ডেস্ক
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ছায়া পড়েছে দেশের শিল্পাঙ্গনেও। শিল্পকলার বিভিন্ন শাখা চর্চার প্রাণকেন্দ্র শিল্পকলা একাডেমিতে চলছিল অস্থিরতা ও কিছুটা স্থবিরতা। সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সচেষ্ট হয়েছে কর্তৃপক্ষ। তার অংশ হিসেবে চলছে নানা কার্যক্রম। চীন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একাডেমির শিল্পীরা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ‘অ্যাক্রোবেটিক শো’ দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করলেন। একাডেমির নাট্যশালায় নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ এই আয়োজন করে।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে উল্লেখ করলেন এ দেশের মহুয়ার পালায় থাকা দড়াবাজি খেলার কথা। চীনের বিখ্যাত অ্যাক্রোবেটিক কসরতটি যে বাংলাদেশেও ঐতিহ্য হিসেবে চলে আসছে বহু বছর ধরে, তিনি মনে করিয়ে দিলেন সে কথা।
সৈয়দ জামিল আহমেদ বললেন, ‘মহুয়ার পালায় এই দড়াবাজির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মহুয়ার পালায় তিনটি প্রধান চরিত্র। নদের চাঁদ, মহুয়া, হোমরা বেদে। হোমরা বেদে ও তার দল ধলু নদের তীরে অবস্থিত কাঞ্চনপুর গ্রাম থেকে মহুয়াকে ছয় মাস বয়সে অপহরণ করে। মহুয়া বড় হয়ে ওঠে এক সুদক্ষ দড়াবাজ হিসেবে।
জামিল আহমেদ বলেন, ‘দ্বিজ কানাইয়ের লেখা মহুয়ার পালায় যে দূরবর্তী স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা হতে পারে চীন দেশ। তবে এই দেশেও এই দড়াবাজি কসরতের ইতিহাস বেশ পুরোনো। আবহমান বাংলায় কয়েক শ বছর ধরেই দড়াবাজি জনপ্রিয় ছিল। মহুয়া যদি ধারণামতে ১৬৫০ সালেই লেখা হয়ে থাকে, তাহলে দড়াবাজি নিশ্চয়ই তার আগে থেকে আছে। আজ তার অবশিষ্টাংশ কোথাও হয়তো জীর্ণ অবস্থায় টিকে আছে। তা ছাড়া, ব্রিটিশ আমলে জনপ্রিয় হয়েছিল বাঘ, হাতি, ভল্লুকসহ সার্কাস। আজ তা দেখাই যায় না প্রায়।’
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক চীন ও দেশটির জনগণকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের লুপ্তপ্রায় এই ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধারে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দড়াবাজি বাংলাদেশে তার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
গতকালের অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীতে দেখানো হয়—রোপ রাউন্ড বিল; অ্যারিয়েল হুপ; ব্ল্যাঙ্কেট ব্যালেন্স; ব্যারেল ব্যালেন্স; চেয়ার সেটিং; মাউন স্কিল; দিয়াবো ব্যালেন্স; ফায়ার/ব্যাম্প; রিং ড্যান্স; রোলার ব্যালেন্স; রিং জাম্প ও সৌদিয়াও ইত্যাদি নামের কৌশল।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ছায়া পড়েছে দেশের শিল্পাঙ্গনেও। শিল্পকলার বিভিন্ন শাখা চর্চার প্রাণকেন্দ্র শিল্পকলা একাডেমিতে চলছিল অস্থিরতা ও কিছুটা স্থবিরতা। সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সচেষ্ট হয়েছে কর্তৃপক্ষ। তার অংশ হিসেবে চলছে নানা কার্যক্রম। চীন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একাডেমির শিল্পীরা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ‘অ্যাক্রোবেটিক শো’ দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করলেন। একাডেমির নাট্যশালায় নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ এই আয়োজন করে।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে উল্লেখ করলেন এ দেশের মহুয়ার পালায় থাকা দড়াবাজি খেলার কথা। চীনের বিখ্যাত অ্যাক্রোবেটিক কসরতটি যে বাংলাদেশেও ঐতিহ্য হিসেবে চলে আসছে বহু বছর ধরে, তিনি মনে করিয়ে দিলেন সে কথা।
সৈয়দ জামিল আহমেদ বললেন, ‘মহুয়ার পালায় এই দড়াবাজির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মহুয়ার পালায় তিনটি প্রধান চরিত্র। নদের চাঁদ, মহুয়া, হোমরা বেদে। হোমরা বেদে ও তার দল ধলু নদের তীরে অবস্থিত কাঞ্চনপুর গ্রাম থেকে মহুয়াকে ছয় মাস বয়সে অপহরণ করে। মহুয়া বড় হয়ে ওঠে এক সুদক্ষ দড়াবাজ হিসেবে।
জামিল আহমেদ বলেন, ‘দ্বিজ কানাইয়ের লেখা মহুয়ার পালায় যে দূরবর্তী স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা হতে পারে চীন দেশ। তবে এই দেশেও এই দড়াবাজি কসরতের ইতিহাস বেশ পুরোনো। আবহমান বাংলায় কয়েক শ বছর ধরেই দড়াবাজি জনপ্রিয় ছিল। মহুয়া যদি ধারণামতে ১৬৫০ সালেই লেখা হয়ে থাকে, তাহলে দড়াবাজি নিশ্চয়ই তার আগে থেকে আছে। আজ তার অবশিষ্টাংশ কোথাও হয়তো জীর্ণ অবস্থায় টিকে আছে। তা ছাড়া, ব্রিটিশ আমলে জনপ্রিয় হয়েছিল বাঘ, হাতি, ভল্লুকসহ সার্কাস। আজ তা দেখাই যায় না প্রায়।’
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক চীন ও দেশটির জনগণকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের লুপ্তপ্রায় এই ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধারে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দড়াবাজি বাংলাদেশে তার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
গতকালের অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীতে দেখানো হয়—রোপ রাউন্ড বিল; অ্যারিয়েল হুপ; ব্ল্যাঙ্কেট ব্যালেন্স; ব্যারেল ব্যালেন্স; চেয়ার সেটিং; মাউন স্কিল; দিয়াবো ব্যালেন্স; ফায়ার/ব্যাম্প; রিং ড্যান্স; রোলার ব্যালেন্স; রিং জাম্প ও সৌদিয়াও ইত্যাদি নামের কৌশল।
নোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা শুধু কথাসাহিত্যের জন্যই নন, মানবিকতা ও বিশ্ব রাজনীতির প্রতি গভীর মনোযোগের জন্যও পরিচিত। বাংলাদেশে এসিড হামলার শিকার নারীদের নিয়ে তাঁর লেখা হৃদয়বিদারক প্রবন্ধ ‘Weaker sex’ প্রমাণ করে, কীভাবে যোসার কলম ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলার পীড়িত নারীদের কান্না ও সংগ্রাম।
৫ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পেরুর রাজধানী লিমায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর ছেলে আলভারো বার্গাস যোসা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগেমৃত্তিকাবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলমগীর হাইয়ের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, ৫ নম্বর গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়।
৫ দিন আগেজর্জ দুহামেল ১৮৮৪ সালের ৩০ জুন প্যারিসের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। সব মিলিয়ে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়; যা তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস লে নতেয়্যাখ দু হ্যাভখ (Le Notaire du Havre) এ ফুটে ওঠে।
৬ দিন আগে