৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। এই অবস্থায় শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। তবে নির্বাচনে না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকে সরব উপস্থিতি রয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী শক্তিগুলোর। এ বিষয়ে আজ শুক্রবার একটি তুলনামূলক চিত্র হাজির করে দ্য ডিপ্লোম্যাট দাবি করেছে, নির্বাচনের গতিপ্রকৃতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৫ কোটির বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন। এটি প্রাপ্তবয়স্ক মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি। মূলত তরুণেরাই সবচেয়ে বেশি হারে ফেসবুক, টুইটারে সক্রিয়। আর বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৯৩ শতাংশের বেশি মানুষ ফেসবুকে সময় কাটান।
এই অবস্থায় সুযোগটি কাজে লাগাতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের প্রচারণার একটি বড় অংশই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুককে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। খুব যত্নসহকারে এবং সাবধানতার সঙ্গে দলগুলো তাদের চিন্তা ও আদর্শ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এসব মাধ্যমে।
ডিপ্লোম্যাট জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মূলত উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনার মহত্ত্বের একটি প্রতিচ্ছবি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। আর বিএনপি প্রচার করছে, দেশের গণতন্ত্র এখন হুমকিতে। তাই ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে দলটি।
ডিজিটাল প্রচারণার তুলনামূলক একটি চিত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আরও বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে ১ হাজার ৬৫৩টি ফেসবুক পোস্টে অর্থ ঢেলেছে অর্থাৎ বুস্ট করেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৫০টি পোস্টই ছিল ২০২৩ সালে। শুধু ডিসেম্বরেই ৮৪টি পেইড পোস্ট ছিল দলটির। সব মিলিয়ে পেইড পোস্টগুলোতে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা (৪ হাজার ৪৭৯ ডলার) খরচ করেছে আওয়ামী লীগ। এ হিসাবে পোস্টপ্রতি গড়ে ২৯৬ টাকা (২ দশমিক ৭০ ডলার) খরচ করেছে তারা।
অন্যদিকে নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি আওয়ামী লীগের চেয়ে অনেক কম—মাত্র ৬৭টি পোস্টে অর্থ খরচ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শক্তিশালী উপস্থিতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের তুলনায় পেইড পোস্টের সংখ্যা অনেক কম হলেও এসব পোস্টে সাড়ে ৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে দলটি। অর্থাৎ গড়ে প্রতি পোস্টে ১৪ হাজার ২০০ টাকা করে অর্থ বিনিয়োগ করেছে বিএনপি।
দেখা গেছে, ক্রমাগত বিনিয়োগের পরও আওয়ামী লীগের পোস্টগুলোতে বেশির ভাগ মানুষ হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়েছে এবং এই পোস্টগুলোতে মানুষের অংশগ্রহণও কম। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বিএনপির পোস্টগুলো। দলটির বিভিন্ন পোস্টে ইতিবাচক রিঅ্যাকশন ও কমেন্টের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি রয়েছে।
আরেকটি বিষয় হলো, তরুণেরাই এসব পোস্টে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের মোট ভোটারের অর্ধেকের বেশি তরুণ এবং তাঁরাই সবচেয়ে বেশি হারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন। বাংলাদেশের যুব জনশক্তি বর্তমানে একটি সমালোচক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
নানামুখী পদক্ষেপ সত্ত্বেও বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ও ভুল খবর প্রকাশের প্রবণতা বেড়েছে বলেও মনে করে দ্য ডিপ্লোম্যাট। দুই পক্ষই বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র হননে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে।
বর্তমানে দুই রাজনৈতিক শাখা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৮ হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়ে একটি বিশাল অনলাইন নির্বাচনী প্রচার চালানোর পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। এই অনলাইন প্রচারাভিযান ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির আইটি সেলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। বিজেপির আইটি সেল একটি ডিজিটাল সেনাবাহিনীর মতো, যা ভারত সরকারের স্বার্থে কাজ করে।
নির্বাচন সফল করতে আওয়ামী লীগ এবং বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির প্রচার এখন তুঙ্গে। সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতিও জটিলতর হয়ে উঠছে।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। এই অবস্থায় শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। তবে নির্বাচনে না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকে সরব উপস্থিতি রয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী শক্তিগুলোর। এ বিষয়ে আজ শুক্রবার একটি তুলনামূলক চিত্র হাজির করে দ্য ডিপ্লোম্যাট দাবি করেছে, নির্বাচনের গতিপ্রকৃতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৫ কোটির বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন। এটি প্রাপ্তবয়স্ক মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি। মূলত তরুণেরাই সবচেয়ে বেশি হারে ফেসবুক, টুইটারে সক্রিয়। আর বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৯৩ শতাংশের বেশি মানুষ ফেসবুকে সময় কাটান।
এই অবস্থায় সুযোগটি কাজে লাগাতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের প্রচারণার একটি বড় অংশই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুককে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। খুব যত্নসহকারে এবং সাবধানতার সঙ্গে দলগুলো তাদের চিন্তা ও আদর্শ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এসব মাধ্যমে।
ডিপ্লোম্যাট জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মূলত উন্নয়ন এবং শেখ হাসিনার মহত্ত্বের একটি প্রতিচ্ছবি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। আর বিএনপি প্রচার করছে, দেশের গণতন্ত্র এখন হুমকিতে। তাই ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে দলটি।
ডিজিটাল প্রচারণার তুলনামূলক একটি চিত্রে বলা হয়েছে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আরও বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে ১ হাজার ৬৫৩টি ফেসবুক পোস্টে অর্থ ঢেলেছে অর্থাৎ বুস্ট করেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৫০টি পোস্টই ছিল ২০২৩ সালে। শুধু ডিসেম্বরেই ৮৪টি পেইড পোস্ট ছিল দলটির। সব মিলিয়ে পেইড পোস্টগুলোতে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা (৪ হাজার ৪৭৯ ডলার) খরচ করেছে আওয়ামী লীগ। এ হিসাবে পোস্টপ্রতি গড়ে ২৯৬ টাকা (২ দশমিক ৭০ ডলার) খরচ করেছে তারা।
অন্যদিকে নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি আওয়ামী লীগের চেয়ে অনেক কম—মাত্র ৬৭টি পোস্টে অর্থ খরচ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শক্তিশালী উপস্থিতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের তুলনায় পেইড পোস্টের সংখ্যা অনেক কম হলেও এসব পোস্টে সাড়ে ৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে দলটি। অর্থাৎ গড়ে প্রতি পোস্টে ১৪ হাজার ২০০ টাকা করে অর্থ বিনিয়োগ করেছে বিএনপি।
দেখা গেছে, ক্রমাগত বিনিয়োগের পরও আওয়ামী লীগের পোস্টগুলোতে বেশির ভাগ মানুষ হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়েছে এবং এই পোস্টগুলোতে মানুষের অংশগ্রহণও কম। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বিএনপির পোস্টগুলো। দলটির বিভিন্ন পোস্টে ইতিবাচক রিঅ্যাকশন ও কমেন্টের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি রয়েছে।
আরেকটি বিষয় হলো, তরুণেরাই এসব পোস্টে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের মোট ভোটারের অর্ধেকের বেশি তরুণ এবং তাঁরাই সবচেয়ে বেশি হারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন। বাংলাদেশের যুব জনশক্তি বর্তমানে একটি সমালোচক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
নানামুখী পদক্ষেপ সত্ত্বেও বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ও ভুল খবর প্রকাশের প্রবণতা বেড়েছে বলেও মনে করে দ্য ডিপ্লোম্যাট। দুই পক্ষই বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র হননে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে।
বর্তমানে দুই রাজনৈতিক শাখা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৮ হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়ে একটি বিশাল অনলাইন নির্বাচনী প্রচার চালানোর পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। এই অনলাইন প্রচারাভিযান ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির আইটি সেলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। বিজেপির আইটি সেল একটি ডিজিটাল সেনাবাহিনীর মতো, যা ভারত সরকারের স্বার্থে কাজ করে।
নির্বাচন সফল করতে আওয়ামী লীগ এবং বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির প্রচার এখন তুঙ্গে। সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতিও জটিলতর হয়ে উঠছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, তিনিই বিশ্ব চালাচ্ছেন। তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা সীমাহীন। কিন্তু এটি বিপজ্জনক ঔদ্ধত্যেরও ইঙ্গিত দেয় এবং একটি গুরুতর প্রশ্ন তোলে—এই বিশৃঙ্খল ও প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে পৃথিবী কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? দ্য আটলান্টিককে দেওয়া নতুন এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী আধিপত্য...
৯ ঘণ্টা আগেবড় প্রশ্ন হলো, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেবে কি না? ২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় পুলিশ নিহত হয়। এরপর পেহেলগামের হামলাই ছিল কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এমনকি এটি ১৯৮৯ সালে কাশ্মীরে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানকার
১৭ ঘণ্টা আগেবিশ্লেষকদের মতে, ভারত হয়তো কিছুটা সংযত আচরণই করবে। কারণ, দেশটির সামরিক বাহিনী এখনো পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে, তাদের প্রকাশ্যে এনে যুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মধ্যে ঝুঁকি আছে। ২০১৮ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টের এক প্রতিবেদনে দেশের ৬৮ শতাংশ সামরিক সরঞ্জামকে ‘পুরোনো মডেলের’, ২৪ শতাংশকে...
২ দিন আগেসংবাদ বা তথ্যের সংলাপমূলক উপস্থাপন চর্চার উত্থানের পাশাপাশি, পাঠকেরা এখন চ্যাটবটকে ফলোআপ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, চাহিদামতো সারসংক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেন, এমনকি বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ব্যাখ্যাও এআই–এর কাছে চাওয়া হয়। ফলে পাঠকেরা সংবাদ পাঠে চিরাচরিত নিষ্ক্রিয় গ্রহীতা থেকে সক্রিয় অংশগ্রহণকারীতে রূপান্তরিত হচ্ছে
৩ দিন আগে