অনলাইন ডেস্ক
ভূরাজনৈতিক ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান নাম দুটি প্রায়শই একসঙ্গে উচ্চারিত হয়। তবে সহিংস ও বিশৃঙ্খল প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে উচ্চারিত হওয়ার বিষয়ে পশ্চিমা কুশিলবদের কাছে বারবার আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। বর্তমানে একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে এবং চীনের বিরুদ্ধে একটি ঢাল হিসেবে ভারতের আত্মপ্রকাশ—পাকিস্তানের পাশাপাশি উচ্চারিত না হওয়ার দাবিটিকে আরও জোরদার করেছে।
তবে এমন অবস্থানের পরও সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাঁর দেশে খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং হত্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল ওই কানাডীয় নাগরিককে ভ্যাঙ্কুভারে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দারা জড়িত ছিলেন।
ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি ও ভিন্নমতাবলম্বীদের বিচারবহির্ভুত হত্যার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই আছে। তবে এসব হত্যার সবই নিজ ভূখণ্ডের ভেতরে। বন্ধুত্বপূর্ণ পশ্চিমা কোনো দেশে কোনো হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ এর আগে কখনো ওঠেনি।
জানা যায়, হরদীপ সিং নিজ্জারকে সন্ত্রাসী অভিহিত করেছিল ভারত সরকার এবং তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্য দিলে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত থাকার ভারতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন হরদীপ সিং।
ভারত হরদীপকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেও জানা গেছে, ‘ফাইভ আইজ’ চুক্তিতে থাকা মিত্রদের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করেছে কানাডা। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই কোনো প্রশ্ন তুলেছে বলে শোনা যায়নি।
পার্লামেন্টে জাস্টিন ট্রুডো ভারতকে অভিযুক্ত করার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সতর্কতার সঙ্গে কানাডার প্রতি সমর্থনসূচক বিবৃতি দিয়েছে এবং কানাডীয় তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত করার জের ধরে এরই মধ্যে ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে দুই দেশ। এই বিরোধ আরও বড় হতে পারে।
বর্তমানে হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত থাকার প্রমাণ প্রকাশে অভ্যন্তরীণ চাপে আছেন ট্রুডো। এ ঘটনায় একটি ফৌজদারি তদন্ত চলছে। আমেরিকা ও তার মিত্ররা আশা করছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই বিষয়টির সুরাহা হবে। এ ক্ষেত্রে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে মোদি সরকারের বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিতে পারে তারা।
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে নিজ দেশে সংবাদমাধ্যমকে স্তব্ধ করা, আদালতকে ভয় দেখানো এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ভারতের পশ্চিমা বন্ধুরা অবশ্য মোদির বাড়াবাড়ির সরাসরি নিন্দা করতে অনিচ্ছুক। তারা একটি কল্পকাহিনীর ওপর বিশ্বাস রেখেছে যে, ভারতের সঙ্গে তাদের অংশীদারত্ব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে, স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে নয়।
এ অবস্থায় হত্যাকাণ্ডটির তদন্তে যদি ভারতের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়, তাহলে পাশ্চাত্যে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে মোদি সরকার। কৌশলগত অংশীদারেরা কখনোই একে অপরের নোংরা বিষয়গুলো প্রকাশ করে না এবং তারা একে অপরের নাগরিকদেরও হত্যা করে না। হরদীপ হত্যায় ভারতের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে কানাডার মিত্ররা অবশ্যই মোদিকে তা স্পষ্ট করে দেবে।
দ্য ইকোনমিস্ট অবলম্বনে
ভূরাজনৈতিক ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান নাম দুটি প্রায়শই একসঙ্গে উচ্চারিত হয়। তবে সহিংস ও বিশৃঙ্খল প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে উচ্চারিত হওয়ার বিষয়ে পশ্চিমা কুশিলবদের কাছে বারবার আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। বর্তমানে একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে এবং চীনের বিরুদ্ধে একটি ঢাল হিসেবে ভারতের আত্মপ্রকাশ—পাকিস্তানের পাশাপাশি উচ্চারিত না হওয়ার দাবিটিকে আরও জোরদার করেছে।
তবে এমন অবস্থানের পরও সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাঁর দেশে খালিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং হত্যার জন্য ভারতকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল ওই কানাডীয় নাগরিককে ভ্যাঙ্কুভারে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় গোয়েন্দারা জড়িত ছিলেন।
ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি ও ভিন্নমতাবলম্বীদের বিচারবহির্ভুত হত্যার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই আছে। তবে এসব হত্যার সবই নিজ ভূখণ্ডের ভেতরে। বন্ধুত্বপূর্ণ পশ্চিমা কোনো দেশে কোনো হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ এর আগে কখনো ওঠেনি।
জানা যায়, হরদীপ সিং নিজ্জারকে সন্ত্রাসী অভিহিত করেছিল ভারত সরকার এবং তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্য দিলে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত থাকার ভারতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন হরদীপ সিং।
ভারত হরদীপকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেও জানা গেছে, ‘ফাইভ আইজ’ চুক্তিতে থাকা মিত্রদের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করেছে কানাডা। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই কোনো প্রশ্ন তুলেছে বলে শোনা যায়নি।
পার্লামেন্টে জাস্টিন ট্রুডো ভারতকে অভিযুক্ত করার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সতর্কতার সঙ্গে কানাডার প্রতি সমর্থনসূচক বিবৃতি দিয়েছে এবং কানাডীয় তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত করার জের ধরে এরই মধ্যে ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে দুই দেশ। এই বিরোধ আরও বড় হতে পারে।
বর্তমানে হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত থাকার প্রমাণ প্রকাশে অভ্যন্তরীণ চাপে আছেন ট্রুডো। এ ঘটনায় একটি ফৌজদারি তদন্ত চলছে। আমেরিকা ও তার মিত্ররা আশা করছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই বিষয়টির সুরাহা হবে। এ ক্ষেত্রে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে মোদি সরকারের বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিতে পারে তারা।
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে নিজ দেশে সংবাদমাধ্যমকে স্তব্ধ করা, আদালতকে ভয় দেখানো এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ভারতের পশ্চিমা বন্ধুরা অবশ্য মোদির বাড়াবাড়ির সরাসরি নিন্দা করতে অনিচ্ছুক। তারা একটি কল্পকাহিনীর ওপর বিশ্বাস রেখেছে যে, ভারতের সঙ্গে তাদের অংশীদারত্ব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে, স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে নয়।
এ অবস্থায় হত্যাকাণ্ডটির তদন্তে যদি ভারতের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়, তাহলে পাশ্চাত্যে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে মোদি সরকার। কৌশলগত অংশীদারেরা কখনোই একে অপরের নোংরা বিষয়গুলো প্রকাশ করে না এবং তারা একে অপরের নাগরিকদেরও হত্যা করে না। হরদীপ হত্যায় ভারতের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে কানাডার মিত্ররা অবশ্যই মোদিকে তা স্পষ্ট করে দেবে।
দ্য ইকোনমিস্ট অবলম্বনে
যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখেন ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বন্ধু ও তাঁর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী জামাতা জ্যারেড কুশনারের বক্তব্য এবং স্টিভ উইটকফের অবস্থান বিবেচনায় বলা যায়, ট্রাম্পের গাজা খালি করতে চাওয়ার পেছনে আসল উদ্দেশ্য মূলত গাজায়...
২০ মিনিট আগেহাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত বিলিয়নিয়ার জর্জ সরোসের ছেলে অ্যালেক্স সরোস ঢাকায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশে সমস্ত আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশেও মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে।
৩ দিন আগেহাংঝৌভিত্তিক এই স্টার্টআপ বা উদ্যোগটি দাবি করেছে, তারা ডিপসিক আর১ মডেলটি সিলিকন ভ্যালির সাম্প্রতিকতম মডেলগুলোর তুলনায় অনেক কম খরচে তৈরি করেছে। এই ঘোষণা এআই দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য ও শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর...
৪ দিন আগে২০১১ সালে টেক্সাসের অস্টিন থেকে আসা একজন ইগল স্কাউট রস উলব্রিচট ‘সিল্ক রোড’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি অনলাইন কালোবাজার, যেখানে মাদক, অর্থ পাচার এবং সাইবার অপরাধমূলক লেনদেন পরিচালিত হতো। ২০১৩ সালে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত সাইটটি কয়েক মিলিয়ন ডলারের রাজস্ব সংগ্রহ করেছিল।
৬ দিন আগে