অনলাইন ডেস্ক
ভারতের দীর্ঘদিনের কৌশলগত অংশীদার রাশিয়া। সম্প্রতি দেশটি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এই চুক্তির আওতায় সোভিয়েত আমলে নির্মিত একটি বন্ধ ইস্পাত কারখানা পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এই পদক্ষেপ নয়াদিল্লিতে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়া-পাকিস্তানের এই মৈত্রী এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে এবং ভারত-রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে।
সম্প্রতি নিক্কেই এশিয়া রাশিয়ার দূত ডেনিস নাজারোভ ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাতে এই চুক্তির তথ্য দিয়েছে। নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়ার দূত ডেনিস নাজারোভ ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হারুন আখতার খানের মধ্যে একটি বৈঠকে এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এর লক্ষ্য হলো, পাকিস্তান স্টিল মিলস (পিএসএম) পুনর্গঠন ও আধুনিকীকরণ। ২০১৫ সালে পুরোনো যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। এই কারখানা ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় নির্মিত হয়। একসময় এখানে বছরে ১১ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করা হতো।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতি ও অপর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের কারণে এই কারখানা ২ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসানের মুখে পড়ে।
করাচির কাছে কারখানার নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে মূল ১৯ হাজার একর কারখানা এলাকার ৭০০ একর জায়গাজুড়ে। পাকিস্তানের সংরক্ষিত ১ দশমিক বিলিয়ন টন লোহার আকরিক এখানে ব্যবহৃত হবে।
উন্নত রুশ ইস্পাত উৎপাদন প্রযুক্তি দিয়ে চালিত এই পুনরুজ্জীবন প্রকল্প পাকিস্তানের বার্ষিক ইস্পাত আমদানি খরচ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে এবং ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সমান বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় থেকে বাঁচিয়ে দেবে। গত মার্চেও স্ক্র্যাপ ও অর্ধসমাপ্ত পণ্য আমদানিতে ৩২৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে পাকিস্তান। নতুন কারখানা এই খরচ ব্যাপকভাবে কমাবে।
দুই দেশের একটি যৌথ গ্রুপ প্রকল্পের অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করবে। এই সিদ্ধান্ত মস্কো ও ইসলামাবাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার গভীরতা নির্দেশ করে।
ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের প্রতি রাশিয়ার এই অপ্রত্যাশিত বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো ভারত-রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী উষ্ণ সম্পর্কে কঠিন প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। বিশেষ করে যেখানে ভূরাজনৈতিক জোটগুলোর সম্পর্ক ও গতিমুখ এখন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। আর মস্কো-ইসলামাবাদ যৌথ প্রকল্পের এই খবর এমন সময় এল যখন মস্কোর বেইজিংয়ের সঙ্গে আরও বেশি ঘনিষ্ঠতা এবং এশিয়ায় জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বিবর্তন ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে পরীক্ষার মুখে ফেলেছে। যেখানে সামরিক ও জ্বালানি খাতে ভারত অনেকাংশে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল।
যদিও রাশিয়া বলছে, এই চুক্তি শুধু অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করছেন, শিল্প ও প্রযুক্তিগত অংশীদারত্ব প্রায়ই গভীর কৌশলগত সম্পর্কের পথ তৈরি করে।
দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়াকে নির্ভরযোগ্য প্রতিরক্ষা ও শক্তি অংশীদার হিসেবে গণ্য করে আসছে ভারত। কিন্তু এই পদক্ষেপ দিল্লির কাছে মস্কোর আঞ্চলিক অগ্রাধিকারে ধীরে ধীরে পরিবর্তনের উদ্বেগ তৈরির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও আপাতদৃষ্টিতে প্রকল্পটি শুধু অর্থনৈতিক, কিন্তু কৌশলগত প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার গতিমুখের একটি বৃহত্তর পুনঃসমন্বয়ের শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও খবর পড়ুন:
ভারতের দীর্ঘদিনের কৌশলগত অংশীদার রাশিয়া। সম্প্রতি দেশটি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এই চুক্তির আওতায় সোভিয়েত আমলে নির্মিত একটি বন্ধ ইস্পাত কারখানা পুনরুজ্জীবিত করা হবে। এই পদক্ষেপ নয়াদিল্লিতে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়া-পাকিস্তানের এই মৈত্রী এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারে এবং ভারত-রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে।
সম্প্রতি নিক্কেই এশিয়া রাশিয়ার দূত ডেনিস নাজারোভ ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাতে এই চুক্তির তথ্য দিয়েছে। নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে রাশিয়ার দূত ডেনিস নাজারোভ ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হারুন আখতার খানের মধ্যে একটি বৈঠকে এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এর লক্ষ্য হলো, পাকিস্তান স্টিল মিলস (পিএসএম) পুনর্গঠন ও আধুনিকীকরণ। ২০১৫ সালে পুরোনো যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। এই কারখানা ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় নির্মিত হয়। একসময় এখানে বছরে ১১ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন করা হতো।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতি ও অপর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের কারণে এই কারখানা ২ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসানের মুখে পড়ে।
করাচির কাছে কারখানার নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে মূল ১৯ হাজার একর কারখানা এলাকার ৭০০ একর জায়গাজুড়ে। পাকিস্তানের সংরক্ষিত ১ দশমিক বিলিয়ন টন লোহার আকরিক এখানে ব্যবহৃত হবে।
উন্নত রুশ ইস্পাত উৎপাদন প্রযুক্তি দিয়ে চালিত এই পুনরুজ্জীবন প্রকল্প পাকিস্তানের বার্ষিক ইস্পাত আমদানি খরচ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে এবং ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সমান বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় থেকে বাঁচিয়ে দেবে। গত মার্চেও স্ক্র্যাপ ও অর্ধসমাপ্ত পণ্য আমদানিতে ৩২৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে পাকিস্তান। নতুন কারখানা এই খরচ ব্যাপকভাবে কমাবে।
দুই দেশের একটি যৌথ গ্রুপ প্রকল্পের অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করবে। এই সিদ্ধান্ত মস্কো ও ইসলামাবাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার গভীরতা নির্দেশ করে।
ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের প্রতি রাশিয়ার এই অপ্রত্যাশিত বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো ভারত-রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী উষ্ণ সম্পর্কে কঠিন প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। বিশেষ করে যেখানে ভূরাজনৈতিক জোটগুলোর সম্পর্ক ও গতিমুখ এখন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। আর মস্কো-ইসলামাবাদ যৌথ প্রকল্পের এই খবর এমন সময় এল যখন মস্কোর বেইজিংয়ের সঙ্গে আরও বেশি ঘনিষ্ঠতা এবং এশিয়ায় জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বিবর্তন ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে পরীক্ষার মুখে ফেলেছে। যেখানে সামরিক ও জ্বালানি খাতে ভারত অনেকাংশে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল।
যদিও রাশিয়া বলছে, এই চুক্তি শুধু অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করছেন, শিল্প ও প্রযুক্তিগত অংশীদারত্ব প্রায়ই গভীর কৌশলগত সম্পর্কের পথ তৈরি করে।
দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়াকে নির্ভরযোগ্য প্রতিরক্ষা ও শক্তি অংশীদার হিসেবে গণ্য করে আসছে ভারত। কিন্তু এই পদক্ষেপ দিল্লির কাছে মস্কোর আঞ্চলিক অগ্রাধিকারে ধীরে ধীরে পরিবর্তনের উদ্বেগ তৈরির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও আপাতদৃষ্টিতে প্রকল্পটি শুধু অর্থনৈতিক, কিন্তু কৌশলগত প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার গতিমুখের একটি বৃহত্তর পুনঃসমন্বয়ের শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও খবর পড়ুন:
তুরস্কে ২০০৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানের আগের শাসনামল এই জেন-জি দেখেনি। তবে সাম্প্রতিক আন্দোলনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে তারাই—বিশেষত ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীরা, যারা এখনকার প্রাপ্তবয়স্ক এবং মোট ভোটারদের এক চতুর্থাংশ। বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, এদের মধ্যে মাত্র ১১ শতাংশ এরদোয়ানের দল একে পার্টিকে ভোট...
১ দিন আগেপশ্চিমা দেশগুলোর কাছে জ্বালানি তেল রপ্তানির অর্থই ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশগুলো বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখলেও এখনো দেশটির কাছ থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করেনি। তথ্য বলছে, পশ্চিমা...
১ দিন আগেতবে এসব পদক্ষেপের প্রতীকী গুরুত্ব অনেক। ব্রিটিশ আইনি সংস্থা পিটার্স অ্যান্ড পিটার্সের সিনিয়র পার্টনার মাইকেল ও’কেইন বলেন, ‘এটিকে আমরা বলি সিগন্যালিং। সরকার জানিয়ে দেয়, আপনার আচরণ অগ্রহণযোগ্য।’ বিশেষ করে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির ও অর্থমন্ত্রী স্মতরিচের ওপর কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্
৩ দিন আগেচলমান আগ্রাসনে ফিলিস্তিনিদের ‘পদ্ধতিগতভাবে’ মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী—আইডিএফ। ১৯ মাস ধরে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে এটি আইডিএফের খুবই সাধারণ কৌশল হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
৩ দিন আগে