শিখ নেতা হরদিপ সিং নিজার হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। হত্যাকাণ্ডে দিল্লির হাত আছে বলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরাসরি অভিযোগ করেছেন। এমন অভিযোগ এনে ভারতীয় এক কূটনীতিককেও বহিষ্কার করে কানাডা। পলকেই অবশ্য এর জবাব দেয় ভারত। তারাও কানাডার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। অর্থনীতি সমৃদ্ধ এই দুই দেশের মুখ দেখাদেখি একরকম বন্ধই বলা চলে। এমন পরিস্থিতি দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর কী প্রভাব তা ভেবে অনেকের কপালেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেছে।
দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কে যে প্রভাব পড়তে পারে
এই টানাপোড়েন শুরুর আগেই কানাডা ভারতে আগামী মাসের বাণিজ্য মিশন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। মাত্র তিন মাস আগেই দুই দেশই বলেছিল, তারা এ বছর একটি প্রাথমিক চুক্তি করতে যাচ্ছে।
কানাডা-ভারতের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি দ্বিমুখী বাণিজ্যকে ৬৫০ কোটি মার্কিন ডলার বাড়িয়ে দিত। যা ২০৩৫ সালের মধ্যে কানাডার জিডিপি ৩৮০ কোটি ডলার থেকে ৫৯০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে পারত।
দুই দেশের মধ্যে যেসব পণ্যের বাণিজ্য হয়
২০২২ সালের হিসাবমতে, ভারতের সঙ্গে কানাডা প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের ব্যবসা হয়। ভারত থেকে কানাডায় ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। ভারতও কানাডা থেকে ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে। ভারত যেসব পণ্য আমদানি করে সেগুলোর মধ্যে সার ছাড়াও রয়েছে জ্বালানি পণ্য কয়লা, কোক ও ব্রিকেট। ভারত যেসব পণ্য রপ্তানি করে সেগুলোর মধ্যে ভোগ্যপণ্যই বেশি—তৈরি পোশাক যার অন্যতম। এ ছাড়া ভারত মোটর যন্ত্রাংশ, এয়ারক্রাফট ইকুইপমেন্ট ও ইলেকট্রনিক পণ্য কানাডায় রপ্তানি করে।
ট্রেডিং ইকোনমিকস/ইউএন কমট্রেডের তথ্যমতে, ২০২২ সালে ভারতে কানাডার শীর্ষ রপ্তানি ছিল প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জীবাশ্ম জ্বালানি ও এ-সম্পর্কিত পণ্য। এরপর প্রায় ৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সার এবং প্রায় ৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের কাঠের সজ্জা এবং উদ্ভিদ তন্তু ভারতে রপ্তানি করে। কানাডার ক্যানপোটেক্স কোম্পানি সারের কাঁচামাল পটাশের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ভারতের। কানাডার বড় তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান কানাডার সারের ওপর নির্ভরশীল। গত বছর সেপ্টেম্বরে তারা ক্যানপোটেক্সের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকও সই করে। চুক্তিতে পরবর্তী তিন বছরের জন্য প্রতিবছর ১৫ লাখ টন সার আমদানির কথা বলা হয়।
গত বছর ভারত থেকে কানাডায় সবচেয়ে বেশি ৪ কোটি ১৮ লাখ ডলারের ওষুধশিল্পের পণ্য রপ্তানি হয়। লোহা ও ইস্পাত পণ্য রপ্তানি হয় ৩ কোটি ২৮ লাখ ডলারের। নিউক্লিয়ার রিয়েক্টর ও বয়লার রপ্তানি হয় প্রায় ২ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের।
ভারতে আমদানি করা মসুর ডালের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। যা কানাডীয় কৃষকদের উপকৃত করেছে। অন্যদিকে ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো কানাডার বাজারে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত করছে।
দুই দেশে কার কত বিনিয়োগ
কানাডা হলো ভারতের ১৭তম বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশ। ২০০০ সাল থেকে দেশটিতে ৩ হাজার ৬০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে কানাডা। এই সময়ের মধ্যে কানাডীয় পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় পুঁজিবাজারে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
বোম্বারডিয়ার ও এসএনসি লাভালিনসহ ৬০০টিরও বেশি কানাডীয় কোম্পানির ভারতে বড়সড়/// বিনিয়োগ রয়েছে। আর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি টিসিএস, ইনফসিস, উইপ্রোর মতো ৩০টিরও বেশি ভারতীয় কোম্পানির ব্যবসা রয়েছে কানাডায়। তাদেরও সেখানে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার কর্মী কাজ করছেন।
কানাডায় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা
২০১৮ সাল থেকে কানাডায় পড়তে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় উৎস ভারত। কানাডায় প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন। কানাডিয়ান ব্যুরো অব এডুকেশনের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশই ভারতীয়। যা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোকে কানাডীয় শিক্ষার্থীদের ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষা প্রদানে সহায়তা করছে।
শিখদের ওপর যেমন প্রভাব পড়তে পারে
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলে ভারতের শিখ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য পাঞ্জাবের হাজার হাজার শিখ পরিবারের অর্থনৈতিক স্বার্থে প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, কানাডায় শিখদের অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছেন, যাঁরা লাখ লাখ ডলার ভারতে পাঠান।
কানাডার ২০২১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কানাডায় শিখদের সংখ্যা ২০ বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সন্ধানে বিপুলসংখ্যক শিখ ভারত থেকে কানাডায় স্থানান্তরিত হন।
রয়টার্স অবলম্বনে
শিখ নেতা হরদিপ সিং নিজার হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। হত্যাকাণ্ডে দিল্লির হাত আছে বলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরাসরি অভিযোগ করেছেন। এমন অভিযোগ এনে ভারতীয় এক কূটনীতিককেও বহিষ্কার করে কানাডা। পলকেই অবশ্য এর জবাব দেয় ভারত। তারাও কানাডার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। অর্থনীতি সমৃদ্ধ এই দুই দেশের মুখ দেখাদেখি একরকম বন্ধই বলা চলে। এমন পরিস্থিতি দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর কী প্রভাব তা ভেবে অনেকের কপালেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেছে।
দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কে যে প্রভাব পড়তে পারে
এই টানাপোড়েন শুরুর আগেই কানাডা ভারতে আগামী মাসের বাণিজ্য মিশন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। মাত্র তিন মাস আগেই দুই দেশই বলেছিল, তারা এ বছর একটি প্রাথমিক চুক্তি করতে যাচ্ছে।
কানাডা-ভারতের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি দ্বিমুখী বাণিজ্যকে ৬৫০ কোটি মার্কিন ডলার বাড়িয়ে দিত। যা ২০৩৫ সালের মধ্যে কানাডার জিডিপি ৩৮০ কোটি ডলার থেকে ৫৯০ কোটি ডলারে উন্নীত করতে পারত।
দুই দেশের মধ্যে যেসব পণ্যের বাণিজ্য হয়
২০২২ সালের হিসাবমতে, ভারতের সঙ্গে কানাডা প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের ব্যবসা হয়। ভারত থেকে কানাডায় ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। ভারতও কানাডা থেকে ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে। ভারত যেসব পণ্য আমদানি করে সেগুলোর মধ্যে সার ছাড়াও রয়েছে জ্বালানি পণ্য কয়লা, কোক ও ব্রিকেট। ভারত যেসব পণ্য রপ্তানি করে সেগুলোর মধ্যে ভোগ্যপণ্যই বেশি—তৈরি পোশাক যার অন্যতম। এ ছাড়া ভারত মোটর যন্ত্রাংশ, এয়ারক্রাফট ইকুইপমেন্ট ও ইলেকট্রনিক পণ্য কানাডায় রপ্তানি করে।
ট্রেডিং ইকোনমিকস/ইউএন কমট্রেডের তথ্যমতে, ২০২২ সালে ভারতে কানাডার শীর্ষ রপ্তানি ছিল প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জীবাশ্ম জ্বালানি ও এ-সম্পর্কিত পণ্য। এরপর প্রায় ৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সার এবং প্রায় ৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের কাঠের সজ্জা এবং উদ্ভিদ তন্তু ভারতে রপ্তানি করে। কানাডার ক্যানপোটেক্স কোম্পানি সারের কাঁচামাল পটাশের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ভারতের। কানাডার বড় তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান কানাডার সারের ওপর নির্ভরশীল। গত বছর সেপ্টেম্বরে তারা ক্যানপোটেক্সের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকও সই করে। চুক্তিতে পরবর্তী তিন বছরের জন্য প্রতিবছর ১৫ লাখ টন সার আমদানির কথা বলা হয়।
গত বছর ভারত থেকে কানাডায় সবচেয়ে বেশি ৪ কোটি ১৮ লাখ ডলারের ওষুধশিল্পের পণ্য রপ্তানি হয়। লোহা ও ইস্পাত পণ্য রপ্তানি হয় ৩ কোটি ২৮ লাখ ডলারের। নিউক্লিয়ার রিয়েক্টর ও বয়লার রপ্তানি হয় প্রায় ২ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের।
ভারতে আমদানি করা মসুর ডালের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। যা কানাডীয় কৃষকদের উপকৃত করেছে। অন্যদিকে ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো কানাডার বাজারে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত করছে।
দুই দেশে কার কত বিনিয়োগ
কানাডা হলো ভারতের ১৭তম বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশ। ২০০০ সাল থেকে দেশটিতে ৩ হাজার ৬০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে কানাডা। এই সময়ের মধ্যে কানাডীয় পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় পুঁজিবাজারে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
বোম্বারডিয়ার ও এসএনসি লাভালিনসহ ৬০০টিরও বেশি কানাডীয় কোম্পানির ভারতে বড়সড়/// বিনিয়োগ রয়েছে। আর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি টিসিএস, ইনফসিস, উইপ্রোর মতো ৩০টিরও বেশি ভারতীয় কোম্পানির ব্যবসা রয়েছে কানাডায়। তাদেরও সেখানে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার কর্মী কাজ করছেন।
কানাডায় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা
২০১৮ সাল থেকে কানাডায় পড়তে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় উৎস ভারত। কানাডায় প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন। কানাডিয়ান ব্যুরো অব এডুকেশনের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশই ভারতীয়। যা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোকে কানাডীয় শিক্ষার্থীদের ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষা প্রদানে সহায়তা করছে।
শিখদের ওপর যেমন প্রভাব পড়তে পারে
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলে ভারতের শিখ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য পাঞ্জাবের হাজার হাজার শিখ পরিবারের অর্থনৈতিক স্বার্থে প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, কানাডায় শিখদের অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছেন, যাঁরা লাখ লাখ ডলার ভারতে পাঠান।
কানাডার ২০২১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কানাডায় শিখদের সংখ্যা ২০ বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সন্ধানে বিপুলসংখ্যক শিখ ভারত থেকে কানাডায় স্থানান্তরিত হন।
রয়টার্স অবলম্বনে
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। এর মূলে রয়েছে কাশ্মীর ভূখণ্ড নিয়ে আঞ্চলিক বিরোধ, ধর্ম ও আদর্শিক পার্থক্য এবং ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পরবর্তী ঐতিহাসিক ঘটনাবলী। আঞ্চলিক বিরোধ একাধিকবার সশস্ত্র যুদ্ধে গড়িয়েছে। আন্তর্জতিক হস্তক্ষেপে সাময়িক সময়ের জন্য অস্ত্রবিরতি হলেও দীর্ঘমেয়াদি
১৫ ঘণ্টা আগেভারত আবারও ‘সংঘাত উসকে দেওয়া ও সংযম দেখানো’র মধ্যে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে। এটি হলো প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধের এক ভঙ্গুর ভারসাম্য। এই পুনরাবৃত্ত চক্রটি যারা উপলব্ধি করেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম অজয় বিসারিয়া। পুলওয়ামা হামলার সময় তিনি পাকিস্তানে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন।
১৭ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন ইস্যুতে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাগ্যুদ্ধের পর প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশ সম্প্রতি পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য বিধিনিষেধ আরোপ করছে। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা সম্ভাব্য ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ দিন আগেআব্দুল বাসিত সতর্ক করে বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহই ‘পরিস্থিতি কীভাবে এগোবে তা নির্ধারণ করবে।’ তিনি বলেন, ‘জেনারেল মুনির কীভাবে এই সংকট মোকাবিলা করেন, তা তাঁকে একজন সৈনিক হিসেবে, একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে এবং পাকিস্তান কী ধরনের আঞ্চলিক অভিনেতা হতে চায়—তা সংজ্ঞায়িত করবে এবং এই মুহূর্তে সেই পছন্দটি মূল
২ দিন আগে