সম্পাদকীয়
আইয়ুব খান প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন ফাতেমা জিন্নাহ। মৌলিক গণতন্ত্রীরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। ভোটের আগে সাধারণ মানুষ আশা করেছিল, এবার আইয়ুব খান নিশ্চয়ই পরাজিত হবেন। কিন্তু মানুষ হতাশার সঙ্গে লক্ষ করল, ফাতেমা জিন্নাহ হেরে গেছেন।
মানুষ যখন হতাশ, ঠিক সেই সময় ইত্তেফাক পত্রিকায় সিকান্দার আবু জাফরের লেখা একটি কবিতা প্রকাশিত হলো। কবিতাটি হলো, ‘জনতার সংগ্রাম চলবে, আমাদের সংগ্রাম চলবেই।’
কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হলেন কামাল লোহানী। ছুটলেন পাতলা খান লেনে বসবাসকারী গণসংগীতের প্রাণপুরুষ শেখ লুৎফর রহমানের বাড়িতে। কবিতাটি দেখে খেপে উঠলেন শেখ লুৎফর রহমান। এত খটমট শব্দে তৈরি কবিতা দিয়ে কি গান হয়? তিনি বললেন, ‘ডিকশনারি নিয়ে আয়। তারপর সুর করব।’
কামাল লোহানী কবিতাটি পুরো আবৃত্তি করে শোনালেন। শেখ লুৎফর রহমান গম্ভীর হয়ে গেলেন এবং গণসংগীতকর্মী মনুকে বললেন, ‘যা, হারমোনিয়ামটা নিয়ে আয়।’
একটু একটু করে সুর করতে শুরু করলেন শেখ লুৎফর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের বার্ষিক সম্মেলনে গানটি গাওয়া হবে। সিকান্দার আবু জাফরকে জানানো হলো, তিনি যদি বাংলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে আসেন, তাহলে নিজের লেখা কবিতাটির গান হয়ে ওঠা দেখতে পাবেন।
তিনি এলেন কি না, সেটা জানা গেল না। কিন্তু পরদিন ফোনে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন সিকান্দার আবু জাফর বললেন, গানটি তাঁর একেবারেই ভালো লাগেনি। ‘এটা কী সুর করেছে?’ বললেন তিনি। এমন উদ্দীপনামূলক সুর কেন সিকান্দার আবু জাফরের ভালো লাগল না, তা বুঝতে পারলেন না কামাল লোহানী। মনটা খারাপ হয়ে গেল তাঁর।
কিন্তু পরদিন সিকান্দার আবু জাফর শেখ লুৎফর রহমানকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে সুরের প্রশংসায় ভাসিয়ে দিলেন। থ হয়ে গেলেন কামাল লোহানী!
সূত্র: কামাল লোহানী, লড়াইয়ের গান, পৃষ্ঠা ২১
আইয়ুব খান প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিরোধী দলের প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন ফাতেমা জিন্নাহ। মৌলিক গণতন্ত্রীরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। ভোটের আগে সাধারণ মানুষ আশা করেছিল, এবার আইয়ুব খান নিশ্চয়ই পরাজিত হবেন। কিন্তু মানুষ হতাশার সঙ্গে লক্ষ করল, ফাতেমা জিন্নাহ হেরে গেছেন।
মানুষ যখন হতাশ, ঠিক সেই সময় ইত্তেফাক পত্রিকায় সিকান্দার আবু জাফরের লেখা একটি কবিতা প্রকাশিত হলো। কবিতাটি হলো, ‘জনতার সংগ্রাম চলবে, আমাদের সংগ্রাম চলবেই।’
কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হলেন কামাল লোহানী। ছুটলেন পাতলা খান লেনে বসবাসকারী গণসংগীতের প্রাণপুরুষ শেখ লুৎফর রহমানের বাড়িতে। কবিতাটি দেখে খেপে উঠলেন শেখ লুৎফর রহমান। এত খটমট শব্দে তৈরি কবিতা দিয়ে কি গান হয়? তিনি বললেন, ‘ডিকশনারি নিয়ে আয়। তারপর সুর করব।’
কামাল লোহানী কবিতাটি পুরো আবৃত্তি করে শোনালেন। শেখ লুৎফর রহমান গম্ভীর হয়ে গেলেন এবং গণসংগীতকর্মী মনুকে বললেন, ‘যা, হারমোনিয়ামটা নিয়ে আয়।’
একটু একটু করে সুর করতে শুরু করলেন শেখ লুৎফর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের বার্ষিক সম্মেলনে গানটি গাওয়া হবে। সিকান্দার আবু জাফরকে জানানো হলো, তিনি যদি বাংলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে আসেন, তাহলে নিজের লেখা কবিতাটির গান হয়ে ওঠা দেখতে পাবেন।
তিনি এলেন কি না, সেটা জানা গেল না। কিন্তু পরদিন ফোনে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন সিকান্দার আবু জাফর বললেন, গানটি তাঁর একেবারেই ভালো লাগেনি। ‘এটা কী সুর করেছে?’ বললেন তিনি। এমন উদ্দীপনামূলক সুর কেন সিকান্দার আবু জাফরের ভালো লাগল না, তা বুঝতে পারলেন না কামাল লোহানী। মনটা খারাপ হয়ে গেল তাঁর।
কিন্তু পরদিন সিকান্দার আবু জাফর শেখ লুৎফর রহমানকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে সুরের প্রশংসায় ভাসিয়ে দিলেন। থ হয়ে গেলেন কামাল লোহানী!
সূত্র: কামাল লোহানী, লড়াইয়ের গান, পৃষ্ঠা ২১
বন্ধুত্ব শুধু পারস্পরিক ভালোবাসা নয়, বরং এটি নির্ভরতা ও স্বতঃস্ফূর্ত আন্তসম্পর্কের এক জটিল বিন্যাস। নর্দান ইলিনয় ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী ও বন্ধুত্ববিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. সুজান ডেগস-হোয়াইট বলেন, বন্ধুত্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান হলো পারস্পরিক নির্ভরতা ও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ইচ্ছা।
২০ ঘণ্টা আগে১৬৪৯ সালে যশোরের ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত হন বাংলার সুবেদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খান। কপোতাক্ষ নদের তীরে যে মীর্জানগর গ্রাম, সেটি কিন্তু তাঁরই নামানুসারে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ফৌজদার হন নুরল্লা খাঁ। তিনি এই গ্রামে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে আট-দশ ফুট উঁচু...
৯ দিন আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
১২ দিন আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
১৬ দিন আগে