আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রশ্ন: আমার বান্ধবীর স্বামী একজন প্রবাসী এবং আট বছর ধরে দেশের বাইরে আছেন। আট বছরে তার স্বামী মাত্র দুইবার দেশে এসেছেন এক বা দুই মাসের জন্য। তারা নিঃসন্তান। এদিকে সন্তান হচ্ছে না বলে বান্ধবী শ্বশুরবাড়িতে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে। পরিবার আর্থিকভাবে অতটা সচ্ছল নয়। তাই তারা মামলা-মোকদ্দমায় যেতে চাইছে না।
মেয়েকে তারা আবারও বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু বারবার বলার পরও বান্ধবীর স্বামী তাকে তালাক দিচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে বান্ধবীর বা তার পরিবারের করণীয় কী? স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থায় তাকে কি তালাক দিতে পারবে? তালাক দেওয়া গেলে কীভাবে দিতে হবে? সেক্ষেত্রে আমার বান্ধবী দেনমোহরের টাকা পাবে কি না?
আনিছা আক্তার, গোপালগঞ্জ
উত্তর: আপনার বান্ধবীর ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে তা শুনে খুব খারাপ লাগল। তাঁর স্বামী আট বছরে মাত্র দুইবার দেশে এসেছেন এবং তাঁর সন্তান না হওয়ার জন্য যে শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁকে নির্যাতন করছে, এ কারণেই তিনি তাঁর স্বামীকে তালাক দিতে পারেন। তাঁদের বিয়ের নিকাহনামার ১৮ নম্বর ক্লজে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষমতাবলেও তিনি তালাক দেওয়ার অধিকার রাখেন। এ জন্য নিকাহনামা নিয়ে যেকোনো কাজি অফিসে যেতে হবে। কাজি সাহেব তখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। যেহেতু আপনার বান্ধবীর স্বামী বিদেশে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর কাছে নোটিশ পৌঁছাতে হলে দেশের ঠিকানায়, বিদেশের ঠিকানায় এবং ই-মেইল থাকলে ই-মেইলের মাধ্যমে তালাকের নোটিশটি পাঠাতে হবে। দেশের আইন অনুযায়ী তালাকের নোটিশ পাঠানোর তিন মাস পর তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। তখন তিনি পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন।
অনেক স্বামী নিজে থেকে তালাক দিতে চায় না এ জন্য যে তারা মনে করে, তালাক যদি স্ত্রী দেন তাহলে দেনমোহরের টাকা দিতে হবে না। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। তালাক যে পক্ষই দিক না কেন দেনমোহরের টাকা স্বামীকে দিতেই হবে। এ ক্ষেত্রে আপনার বান্ধবীকে যদি দেনমোহরের টাকা দেওয়া না হয়ে থাকে তাহলে তিনি তালাকের নোটিশ পাঠানোর সময় তাঁর ইদ্দতকালীন তিন মাসের ভরণপোষণের সঙ্গে দেনমোহরের টাকাও দাবি করতে পারেন। আর শেষে বলব, দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে তা হলো, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সয়, দুজনই সমান অপরাধী।
সন্তান না হওয়ার জন্য আপনার বান্ধবীর ওপর যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে, সেটা সহ্য না করে আপনার বান্ধবীর উচিত সেই অন্যায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা। নিকটস্থ থানা বা পুলিশ স্টেশনে গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে আপনার বান্ধবী মামলা করতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
প্রশ্ন: আমার বান্ধবীর স্বামী একজন প্রবাসী এবং আট বছর ধরে দেশের বাইরে আছেন। আট বছরে তার স্বামী মাত্র দুইবার দেশে এসেছেন এক বা দুই মাসের জন্য। তারা নিঃসন্তান। এদিকে সন্তান হচ্ছে না বলে বান্ধবী শ্বশুরবাড়িতে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে। পরিবার আর্থিকভাবে অতটা সচ্ছল নয়। তাই তারা মামলা-মোকদ্দমায় যেতে চাইছে না।
মেয়েকে তারা আবারও বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু বারবার বলার পরও বান্ধবীর স্বামী তাকে তালাক দিচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে বান্ধবীর বা তার পরিবারের করণীয় কী? স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থায় তাকে কি তালাক দিতে পারবে? তালাক দেওয়া গেলে কীভাবে দিতে হবে? সেক্ষেত্রে আমার বান্ধবী দেনমোহরের টাকা পাবে কি না?
আনিছা আক্তার, গোপালগঞ্জ
উত্তর: আপনার বান্ধবীর ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে তা শুনে খুব খারাপ লাগল। তাঁর স্বামী আট বছরে মাত্র দুইবার দেশে এসেছেন এবং তাঁর সন্তান না হওয়ার জন্য যে শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁকে নির্যাতন করছে, এ কারণেই তিনি তাঁর স্বামীকে তালাক দিতে পারেন। তাঁদের বিয়ের নিকাহনামার ১৮ নম্বর ক্লজে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষমতাবলেও তিনি তালাক দেওয়ার অধিকার রাখেন। এ জন্য নিকাহনামা নিয়ে যেকোনো কাজি অফিসে যেতে হবে। কাজি সাহেব তখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। যেহেতু আপনার বান্ধবীর স্বামী বিদেশে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর কাছে নোটিশ পৌঁছাতে হলে দেশের ঠিকানায়, বিদেশের ঠিকানায় এবং ই-মেইল থাকলে ই-মেইলের মাধ্যমে তালাকের নোটিশটি পাঠাতে হবে। দেশের আইন অনুযায়ী তালাকের নোটিশ পাঠানোর তিন মাস পর তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। তখন তিনি পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন।
অনেক স্বামী নিজে থেকে তালাক দিতে চায় না এ জন্য যে তারা মনে করে, তালাক যদি স্ত্রী দেন তাহলে দেনমোহরের টাকা দিতে হবে না। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। তালাক যে পক্ষই দিক না কেন দেনমোহরের টাকা স্বামীকে দিতেই হবে। এ ক্ষেত্রে আপনার বান্ধবীকে যদি দেনমোহরের টাকা দেওয়া না হয়ে থাকে তাহলে তিনি তালাকের নোটিশ পাঠানোর সময় তাঁর ইদ্দতকালীন তিন মাসের ভরণপোষণের সঙ্গে দেনমোহরের টাকাও দাবি করতে পারেন। আর শেষে বলব, দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে তা হলো, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সয়, দুজনই সমান অপরাধী।
সন্তান না হওয়ার জন্য আপনার বান্ধবীর ওপর যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে, সেটা সহ্য না করে আপনার বান্ধবীর উচিত সেই অন্যায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা। নিকটস্থ থানা বা পুলিশ স্টেশনে গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে আপনার বান্ধবী মামলা করতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা
১ দিন আগেনারীর সংজ্ঞা জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডারদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, লিঙ্গ একটি দ্বৈত ধারণা—নারী অথবা পুরুষ। তবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা বিদ্যমান আইনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পান।
২ দিন আগেমধ্যবিত্ত এক পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের গন্তব্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া। তারপর নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মানুষ এই বৃত্ত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সে এক বিশাল লড়াই। তেমনই লড়াই করে চলেছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা ইফ্ফাত আলম জেসিকা। নিজের তো বটেই, কর্মসংস্থান করেছেন আরও প্রায় ৩২ জন নারীর।
৩ দিন আগেআমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
৩ দিন আগে